Ad 3

Education makes a door to bright future

University admission and others information,International Scholarships, Postgraduate Scholarships, College Scholarship, Study Abroad Financial Aid, Scholarship Search Center and Exam resources for PEC, JSC, SSC, HSC, Degree and Masters Examinees in Bangladesh with take from update sports News, Live score, statistics, Government, Private, current Job Circular take from this site

Education is a way to success in life

University admission and others information,International Scholarships, Postgraduate Scholarships, College Scholarship, Study Abroad Financial Aid, Scholarship Search Center and Exam resources for PEC, JSC, SSC, HSC, Degree and Masters Examinees in Bangladesh with take from update sports News, Live score, statistics, Government, Private, current Job Circular take from this site

Education is a best friend goes lifelong

University admission and others information,International Scholarships, Postgraduate Scholarships, College Scholarship, Study Abroad Financial Aid, Scholarship Search Center and Exam resources for PEC, JSC, SSC, HSC, Degree and Masters Examinees in Bangladesh with take from update sports News, Live score, statistics, Government, Private, current Job Circular take from this site

Education makes a person a responsible citizen

University admission and others information,International Scholarships, Postgraduate Scholarships, College Scholarship, Study Abroad Financial Aid, Scholarship Search Center and Exam resources for PEC, JSC, SSC, HSC, Degree and Masters Examinees in Bangladesh with take from update sports News, Live score, statistics, Government, Private, current Job Circular take from this site

Education is a key to the door of all the dreams

University admission and others information,International Scholarships, Postgraduate Scholarships, College Scholarship, Study Abroad Financial Aid, Scholarship Search Center and Exam resources for PEC, JSC, SSC, HSC, Degree and Masters Examinees in Bangladesh with take from update sports News, Live score, statistics, Government, Private, current Job Circular take from this site

Thursday, October 25, 2018

ফেসবুক থেকেই আয়-রোজগার: পর্ব-৬ || Earn Money from Facebook- Bangla Tutorial Part-6

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার বর্তমান বাজারের অত্যন্ত চাহিদাসম্পন্ন পেশা


যেহেতু সব ব্যবসায়ীপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এখন ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের দিকে অবশ্যই ঝুঁকতে হচ্ছে, এবং ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পার্ট হচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। সেই কারণে বর্তমান যুগে অত্যন্ত চাহিদাসম্পন্ন একটি ক্যারিয়ার হচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারকে কি কি কাজ করতে হয়, সেটি এবার জানানোর চেষ্টা করছি। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের দায়িত্ব শুধুমাত্র প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করার মধ্যে সীমাবদ্ধ না, এটুকু কাজের জন্য একটা প্রতিষ্ঠান সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারকে নিযুক্ত করে না, বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের প্রতিদিন কি কি কাজ করতে হয়, সেই বিষয়ে কিছু আলোচনা করব এবার-

১) সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটগুলোতে সব সময় আপডেট থাকতে হয়। অ্যানগেজিং কনটেন্ট, ছবি, ভিডিও, ব্লগ লিংক, বিভিন্ন কমেন্টে উত্তর দেয়ার মাধ্যমে আপডেট রাখা সবচেয়ে প্রথম কাজ। আর তাই সব ধরনের কনটেন্ট তৈরির দক্ষতা থাকাটা জরুরি। সব ধরনের কনটেন্ট বলতে বোঝাচ্ছি, শর্ট মেসেজ, ইমেজ তৈরি, ভিডিও তৈরি সম্পর্কে দক্ষতা থাকতে হবে।

২) সেই বিজনেস প্রতিষ্ঠানের ব্রান্ডিং হয়, এ রকম ব্লগিংয়ের পরিকল্পনা, ব্লগ পাবলিশ করা, ব্লগ লিংককে প্রমোট করার কাজটিও সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। ব্লগিংয়ের দক্ষতাটা সব ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি। ডিজিটাল মার্কেটারকে অবশ্যই ব্লগিং দক্ষতাটা থাকতেই হবে।

৩) নিয়োগপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানটির প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিসটি সম্পর্কিত কোন ধরনের কিওয়ার্ডগুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াতে, এবং সেই প্রতিষ্ঠানের ব্রান্ডটি নিয়ে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে কী ধরনের আলোচনা হয়, কেউ রিকমেন্ড কিংবা ম্যানশন করে কিনা, সেই বিষয়গুলো প্রতিদিন অ্যানালাইস করা একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের অত্যন্ত জরুরি কাজ।

৪) কম্পিটিটরদের কমিউনিটিগুলো থেকে এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লয়েন্সারদের পোস্ট এবং সেখানের কমেন্টগুলো থেকে অ্যানালাইস করে কনটেন্ট প্লান তৈরি করা , সেই অনুযায়ী কনটেন্ট ক্যালেন্ডার প্রস্তুত করা একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের অন্যতম দক্ষতা এবং প্রতিদিনের শিডিউল কাজ।

৫) সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারকে তার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কিত অন্যদের পোস্টগুলো নিয়মিত স্টাডি করতে হয়, সেগুলোকে ফিল্টারিং করে নিজের জন্যও কনটেন্ট তৈরি করতে হয়। তাই স্টাডির কাজটিও প্রতিদিনের জরুরি দায়িত্ব। শুধু নিজের মাথা থেকে পোস্ট করলেই হবে না।

৬) একই কমিউনিটির মেম্বারদের সঙ্গে সম্পর্ক মেইনটেইন করাটাও একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের কর্তব্য। এটার কারণে আপনার ব্রান্ডের ব্যাপারে ট্রাস্ট অর্জন হয় এবং অনেক জায়গাতেই আপনার ব্রান্ডকে রেফার করা হয়। এ সম্পর্ক মেইনটেইন হতে পারে, ফেসবুক ফ্রেন্ডশিপের মাধ্যমে, কমিউনিটির বিভিন্ন সেমিনার, ওয়ার্কশপগুলো অবশ্যই উপস্থিত হতে হবে, সম্ভব হলে নিজেই উদ্যোগী একই কমিউনিটি বিভিন্ন মানুষের নিয়ে বিভিন্ন প্রোগ্রামের আয়োজন করে সবার সঙ্গে সম্পর্ক মেইনটেইন করা সম্ভব হবে।

৭) ব্রান্ড সম্পর্কিত নেগেটিভ ইস্যুগুলো কিংবা নেগেটিভ আওয়াজগুলো মনিটরিং করা এবং প্রফেশনাললি মোকাবেলা করা, যাতে ব্রান্ডের অবস্থান অটুট থাকে। এ কাজটিও সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের দায়িত্ব। একজন অভিজ্ঞ সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার খুব যোগ্যতার সঙ্গেই এ দায়িত্বটুকু পালন করতে পারেন।

৮) কম্পিটিটরদের কমিউনিটি অ্যানালাইস করে ডাটা কালেক্ট করা, বাজারের ডিমান্ডগুলো, সম্ভাব্য ক্রেতাদের মনোস্তাত্ত্বিক বিষয়গুলো সম্পর্কে একটা রিপোর্ট তৈরি করা, সেই অনুযায়ী নতুন নতুন স্ট্যাটেজি তৈরি করতে পারা একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের বড় যোগ্যতা। কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের দায়িত্ব পেলে এ কাজগুলো অবশ্যই করতে হবে, এবং তা প্রতিদিনকার রুটিন।

ওপরে বর্ণিত ৮টি কাজ করার যোগ্যতা আপনার রয়েছে কিনা সেটি নিজেকে নিয়ে অ্যানালাইস করলেই পেয়ে যাবেন। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী হলে কিংবা কোনো চাকরি করতে আগ্রহী হলে ওপরের ৮টি কাজের দক্ষতাগুলো অর্জন করুন। ৮টি পয়েন্ট মনে রাখার সুবিধার্থে বিষয়গুলো ইনফোগ্রাফিক আকারে এখানে শেয়ার করছি।

ফেসবুক মার্কেটিংয়ের সঠিক পদ্ধতিগুলো জেনে নিন, ভুল মার্কেটিং ক্ষতি করছে আপনাকে

ফেসবুকে অনেককে মার্কেটিং করতে দেখি। দেখলেই বোঝা যায়, না বুঝেই মার্কেটিং করছে। বর্তমান যুগে অনেকের মধ্যেই এ ধারণা তৈরি হয়ে গেছে, ফেসবুকে পোস্ট দিলে, অফিসিয়াল পেজে লাইক বাড়লেই ফেসবুক মার্কেটিং হয়ে গেছে।

আবার ফেসবুক পেইড ক্যাম্পেইন যুগ এসে ৫ ডলার খরচ করে ৩০ হাজার মানুষের কাছে পোস্টটিকে পৌঁছাতে পেরেই অনেকে নিজেকে সফল মার্কেটার হিসেবে মনে করার শুরু করছে কেউ কেউ। হয়তো এটুকু করেই অনেকে সফলও হচ্ছে। তবে ২-১টা প্রজেক্ট সফল হওয়া মানেই আপনি মার্কেটার হয়ে গেছেন ভেবে তৃপ্তির ঢেকুর তুললে অনেক বড় ভুল করবেন।

কিছু না জেনেই আপনি সফল হয়েছেন সেটার অনেক কারণ থাকতে পারে-

- প্রোডাক্টটির কম্পিটিটর অনেক দুর্বল

- অলরেডি ব্রান্ড পপুলার হওয়ার কারণেও হয়তো সফল হয়েছে। কিংবা আরও অনেক বিষয় থাকতে পারে। আমাদের এসব কাজের আগে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বিষয়ে বিস্তারিত শেখা দরকার ও জানা দরকার।

ফেসবুক মার্কেটিং করার আগে আমাদের জেনে নেয়া দরকার, কেন ফেসবুক পেজ তৈরি হয়, কেন পেজে নিয়মিত পোস্ট ফেলতে হয়, সেখান থেকে কীভাবে প্রোডাক্ট সেল হয় (SELL BUY CYCLE) বিষয়টি জানা দরকার।

ব্যবসার জন্য কেন ফেসবুক পেজ তৈরি করা হয়?

মূলত লিড তৈরির উদ্দেশ্যেই ফেসবুক পেজ তৈরি করা হয়। লিড মানে সেল না। লিড মানে সেলের আগের ধাপ। অর্থাৎ সম্ভাব্য ক্রেতা যারা আজ হোক কিংবা পরে হলেও প্রোডাক্টটি কিনবেন। যদি সম্ভাব্য ক্রেতাকে খুঁজে বের করতে চান, তাহলে সেটা জোর করে হবে না। বিভিন্ন মিডিয়া হতে খুঁজে বের করতে হবে আপনার সম্ভাব্য ক্রেতাকে (লিড)।

সে জন্য যা করতে হবে?

- নিজের পেজটিতে মানুষের জন্য কাজে লাগবে এ রকম পোস্ট করে সেই পোস্টটির লিংক অন্যগ্রুপে শেয়ার করতে পারেন।

- মানুষের জন্য কাজে লাগে এ রকম বিভিন্ন আর্টিকেল লিখে সেটি ব্লগে এবং বিভিন্ন গেস্টব্লগিং সাইটে পোস্ট করুন। সেই পোস্টের নিচে ফেসবুক পেজের লিংকটি দিয়ে আসুন।
ওপরের এ পদ্ধতিতে যেসব মেম্বার পাবেন নিজের পেজের কিংবা গ্রুপের জন্য, এরাই হচ্ছে লিড। অর্থাৎ প্রোডাক্টের সম্ভাব্য ক্রেতা।

ফেসবুক পেজের লিড জোগাড় করার আরও কয়েকটি টিপস সংক্ষিপ্তভাবে দিচ্ছি-

১) রিলেটেড গ্রুপগুলোতে নিজের দক্ষতা প্রদর্শন।

ক) কোনো সমস্যা নিয়ে পোস্টে সমাধান দেয়া। যেমন এখন আমি দিচ্ছি।

খ) সেই গ্রুপগুলোতে টিপস রিলেটেড কিংবা উপকারী বিভিন্ন পোস্ট করা।

এ কাজটি করলে সেই গ্রুপের অন্যদের কাছে আপনার একটা ভ্যালু তৈরি হয়, আর সে তখন লিডে পরিণত হয়।

২) নিজের ফেসবুক গ্রুপটাতে নিয়মিত বাণিজ্যিক পোস্টের চাইতে উপকার হয়, এ রকম পোস্ট করা। তাহলে সেই পোস্টগুলো শেয়ার হবে, সেটা দেখে অনেকেই যারা এ টাইপ উপকারী পোস্ট চাচ্ছে, তারা গ্রুপ বা পেইজে জয়েন করবে। এরাই লিড।

৩) ব্লগিং কিংবা গেস্ট ব্লগিংয়ে ফেসবুক পেজ কিংবা গ্রুপের লিংক থাকলে সেখান থেকে যারা আগ্রহী, অর্থাৎ এ গ্রুপ বা পেজে জয়েন করতে আগ্রহবোধ করবে, তারা জয়েন করবে, এরাই লিড।

৪) ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করলেন, সেই ভিডিওতে শেষে দিয়ে নিজের পেজের লিংক দিয়ে দিলেন, আগ্রহীরা পেজে জয়েন করবে, এগুলোই লিড।

৫) কোনো স্লাইড তৈরি করলেন, সেই স্লাইডে ফেসবুক পেজের লিংক দিলেন, যারা সেই পেজে যুক্ত হবে, তাদেরই এ পেজটি প্রয়োজন ছিল। সে জন্য কারও প্ররোচনা ছাড়াই স্বেচ্ছায় পেজে যুক্ত হয়েছে। এরাই লিড।

৬) ফ্রি ই-বুক তৈরি করে সেটি ফ্রি প্রচার করতে পারেন। সেই ই-বুকটিতে ফেসবুক পেজের লিংক শেয়ার করেন। আগ্রহী হলে অর্থাৎ যাদের প্রয়োজন রয়েছে, তারা আপনার পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত হবে। এরাই লিড।

৭) কোনো প্রোগ্রামে স্পিকার হিসেবে গেলেন, বক্তৃতা শেষে নিজের ফেসবুক পেজের লিংক দিয়ে দিলেন, যারা সেটা শুনে সেই পেজে লাইক দেবে, তারাই লিড।

ফেসবুক থেকেই আয়-রোজগার: পর্ব-৬ || Earn Money from Facebook- Bangla Tutorial Part-6


লেখক: মো. ইকরাম, পরিচালক, নেক্সাস আইটি।

ফেসবুক থেকেই আয়-রোজগার: পর্ব-৫ || Earn Money from Facebook- Bangla Tutorial Part-5

আসুন দেখি কেন সেখানে প্রোডাক্ট বিক্রিতে সফলতা পেয়েছি-


১) প্রোডাক্ট সিলেকশন:

ক) প্রোডাক্ট সিলেকশনটি উপযুক্ত ছিল। এমন প্রোডাক্ট ছিল যা সবার জন্যই অত্যন্ত দরকারী।

খ) প্রোডাক্টটি খুবই আনকমন ছিল যা খুব সহজলভ্য ছিল না।

২) মার্কেটিং:

ক) প্রোডাক্টটি নিয়ে ব্লগিং হয়েছে। ব্লগের কনটেন্টেই টার্গেটেড মানুষের মনের ভেতর নাড়া দেয়ার মতো করেই সব বাক্য লিখা ছিল, সেই ব্লগ পোস্টটিতে।

যেমন: টাইটেল ছিল: “কমিয়ে ফেলুন পরিশ্রম, বাঁচিয়ে ফেলুন মূল্যবান সময়”

গ) পেজটিতে নিয়মিত টিউন দেয়া হয়েছে। সেই টিউনকে আবার প্রতিদিন প্রায় ২০টা পেজে শেয়ার করা হয়েছে।

ঘ) সবার জিজ্ঞাসার উত্তরটিও নিয়মিত প্রদান করা হয়েছে।

ঙ) প্রোডাক্টটির ব্যবহারের বিষয়ে অনুপ্রেরণা দেয়ার মতো ভিডিও তৈরি করা হয়েছে।

আরও যা যা করলে আরও বেশি সফল হওয়া যেত-

১) পেজটিতে অ্যানগেজমেন্ট বৃদ্ধির জন্য কুইজ আয়োজন করা যেত।

২) যারা অনলাইনে পরিচিত ব্যক্তি তাদের দিয়ে এটি ব্যবহার করার ভিডিও তৈরি করে শেয়ার করলে আরও বেশি সফল সেল বৃদ্ধি পাবে।

৩) আরও বেশি ইমেজবেস কনটেন্ট প্রচার করা সম্ভব হলে বিক্রি বৃদ্ধি পাবে।

৪) প্রোডাক্ট যারা কিনে ব্যবহার করছে, তাদের ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরো বেশি পোস্ট করে, সেটি বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার করা উচিত। সে রকম একটি পোস্ট করা হয়েছে।

৫) প্রোডাক্ট কিনলে বিশেষ কোনো ধরনের অফার দিয়ে দেখা যেতে পারে। সেটি হলেও আশা করা যায়, অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যেত।

৬) কমপক্ষে ২০টা গ্রুপে টার্গেট করে সেসব গ্রুপে প্রতিদিন কমপক্ষে দুইবার (সকাল, রাত) করে পোস্ট করা হলে এবং এটি যদি একটানা ১৫ দিন কোনো বিরতি ছাড়া করা যায়, তাহলে আরও বেশি সফল হওয়া যাবে। আশা করি, আপনারাও এটুকু লেখা পড়ে এফ কমার্স বিজনেস শুরু করবেন, এবং উদ্যোক্তা হয়ে উঠবেন।

ফেসবুক থেকে ই-কমার্স বিজনেস, যে কোনো স্কীলের জন্য ক্লায়েন্ট খুঁজে পাওয়া যায়। যে কোনো বিজনেসের প্রথম এবং প্রধান মার্কেটিং সেক্টর এখন ফেসবুক। সে জন্যই ফেসবুক মার্কেটিংয়ের দক্ষতাই আজকের এ যুগে সবচায়ে চাহিদাসম্পন্ন দক্ষতা। এ দক্ষতা থাকলে ঘরে বসে যে রকম ইনকাম করা যায়, ঠিক একইভাবে লোকাল বিভিন্ন কোম্পানিতেও চাকরির বিশাল সুযোগ রয়েছে।

ফেসবুক মার্কেটারদের জন্য আরেকটা বিশাল সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি, যা ইতিমধ্যে খুব ভালোভাবেই দৃশ্যমান হচ্ছে। এবং সেই সেক্টরে সামনে আরো বিশাল সম্ভাবনা তৈরি হবে ফেসবুক মার্কেটারদের জন্য। আচ্ছা, বক বক না করে সেই সেক্টরটি নিয়েও এ বইয়ে আলোচনা করছি।

ফেসবুক মার্কেটিংয়ে দক্ষদের ভবিষ্যৎ বিশাল কর্মক্ষেত্র: রাজনীতি মাঠ

রাজনীতিক নেতারা নিজেদের ভোট চাওয়ার জন্য গুণগান প্রচার করতে হয়। আর সেগুলো প্রচারের জন্য পোস্টার, লিফলেট, মাইক, টিভি, রেডিওকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে। এগুলো ট্রেডিশনাল মাধ্যম। আধুনিক যুগে সব পলিটিক্যাল ব্যক্তিকে তাদের প্রচারণা চালানোর জন্য সবচেয়ে বেশি সোশ্যাল মিডিয়া, বাংলাদেশে ফেসবুককেই বেশি ব্যবহার করছে।

কারণ সবাই জানে, অন্য জায়গাগুলোতে অনেক কম মানুষ অ্যাকটিভ থাকলেও বর্তমান যুগে সব ভোটারই সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক অ্যাকটিভ। তাই তাদের কাছে নিজেদের বাণী পৌঁছাতে হলে সবচেয়ে ইফেকটিভ মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক। ইতিমধ্যে কয়েকটি নির্বাচনে প্রার্থীদের ফেসবুকে ক্যাম্পেইনের ব্যবহার অত্যধিক মাত্রাতে দেখা গেছে। সামনে আরও বাড়বে।

আচ্ছা, ফেসবুকের প্রচারণার পেছনের লোকজনকে কখনও ভেবেছেন? পেছনের সেই লোকগুলোই হচ্ছে, একেকজন দক্ষ ফেসবুক মার্কেটার, যাকে পেমেন্টের বিনিময়ে হায়ার করা হয়েছে। আপনার দক্ষতা থাকলে এবং কিছু কাজের পোর্টফলিও থাকলে অবশ্যই আপনি সেই চাহিদাসম্পন্ন জায়গাতে চাকরি পেয়ে যেতে পারেন।

কিছু দিন আগে বেসিস (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস) এর নির্বাচনে (২০১৮ সালের ৩১ মার্চের নির্বাচন) সোশ্যাল মিডিয়াতেই ক্যাম্পেইন চলছিল। তখন একজন সদস্যকে তার ক্যাম্পেইনের ব্যাপারে সাজেশন তৈরি করে দিয়েছিলাম।

সেটি এ বইয়ে উল্লেখ করতে চাই। হয়তো, এখান থেকেই আপনারাও শিখতে পারেন। বলা তো যায় না, ভবিষ্যতে হয়তো কোনো নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর ক্যাম্পেইনের দায়িত্ব আপনি পেয়ে যেতে পারেন। তখন এ সাজেশনগুলো কাজে লাগবে।

বেসিস ইলেকসনে ডিজিটাল প্রচারণা নিয়ে পর্যালোচনা

প্রার্থীরা সবাই নিজের প্রোফালই শেয়ার করছে, কে কী করছে, এবং কী করবে সেটি নিয়ে নিউজ করে সেটির লিংক শেয়ার করছে। ভোটারদের কাছে ই-মেইল করছে, যার ফরম্যাটিং দেখলেই ভোটাররা প্রার্থীর যোগ্যতা নিয়ে, প্রফেশনালিজম নিয়ে নেগেটিভ ধারণাই পাবেন।

প্রার্থীরা কে কী, সেটা প্রচারণার মেসেজের চেয়ে তাদের প্রচারণাতে গুরুত্ব পাওয়া উচিত ছিল, উনি কী করবে, কেন তিনি করবেন, কীভাবে সেটি করবেন। তাহালে ভোটারদের ডিসিশন তৈরিতে সেটির প্রভাব পড়ত।

ডিসিশন তৈরির জন্য যে মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি করা হয়, সেই সময় আসলে মাথাতে রাখতে হয়, আমার প্রেজেন্টেশন দিয়ে আমার ওপর আস্থা ফেরানো, মেসেজ ডেলিভারির ক্ষেত্রেও স্মার্ট হতে হয়, যাতে প্রচারণা করতে গিয়ে অন্যের বিরক্তির কারণ তৈরি না হয়।

এক্ষেত্রে আমার পরামর্শগুলো:

১) প্যানেলের একটা ওয়েব সাইট থাকা জরুরি। প্যানেলের মূল এজেন্ডা থাকবে হোম পেজে। প্রত্যেক প্রার্থীর জন্য আলাদা একটা পাতা থাকবে। সেখানে কী করব, কেন তা ঠিক করলাম, কীভাবে করব, আর আমি কেন সেটা খুব ভালোভাবে করতে পারব আমার পারসোনাল যোগ্যতা আর পূর্বঅভিজ্ঞতা কী, আর সেটা কীভাবে আমার এসব করতে সাহায্য করবে তা তুলে ধরতে হবে।

সাইটের ব্লগ সেকশনে প্রতিদিনই নানা বিষয় নিয়ে লেখা দরকার। এ ক্যাম্পেইনে ভোটারদের সাইটে নিয়ে আসার জন্য সিস্টেমেটিক একটা প্রচার চালাতে হবে।

প্রতিদিন একটা লাইভ প্রোগ্রাম করতে হবে। প্যানেলের প্রত্যেকে আলাদা আলাদা দিন লাইভে আসবে। প্যানেলের টার্গেট গুলো নিয়ে আলোচনা করবে, প্রশ্নের উত্তর দেবে। সেই ভিডিওটাই হতো আসলে নতুন কনটেন্ট। সেই কনটেন্টই বিভিন্ন গ্রুপে প্রতিদিন শেয়ার করা উচিত।

প্রতিদিন গ্রুপের মেম্বাররা তাদের ওয়ালে প্লাস গ্রুপে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একটা ইমপ্যাক্টফুল লেখা লিখত। যার টার্গেট হচ্ছে সাইটে নিয়ে আসা। এই নিয়ে আসা নিয়ে ক্রিয়েটিভ অনেক আইডিয়া বের করা যায়। অনেক আইডিয়াই আসলে এই জন্য বের করা যায়।

২) ওয়েবসাইটের ব্লগ সেকশনে প্রতিদিনই আইটি ইন্ড্রাস্ট্রির সমস্যাগুলো নিজের চোখে কী রকম দেখছি, সেটি নিয়ে সবার সঙ্গে শেয়ার করার ব্যবস্থা করলে ভালো হবে এবং সেগুলো সমাধানে নিজের চিন্তাভাবনা শেয়ার করলেও অন্যরা পড়লে চিন্তাভাবনার সক্ষমতা নিয়ে একটা পজিটিভ ধারণা পাবে।

৩) প্রতিদিন লাইভ প্রোগ্রাম করলে, সেটি অনেক ভালো হতো। সেই লাইভ প্রোগ্রামে ভোটাররা যখন সরাসরি ইন্টারেকশনের সুযোগ পাবে, তখন প্রার্থীর সঙ্গে ভোটারের আত্মিক সম্পর্কটা আরও গাঢ় হতো, যা প্রার্থীর ব্যাপারে ভোটারের সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সহযোগিতা করবে।

৪) সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে প্রার্থীর জীবনের অভিজ্ঞতাগুলো নিয়ে সেশনের ব্যবস্থা করা যেত। এ সেশনগুলো লিখিত কিংবা ভিডিও আকারে হবে। সেই সেশনে সেই প্রার্থী তার সফলতা কিছু চ্যালেঞ্জিং মুহূর্ত এবং সেই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করার ঘটনাগুলো উল্লেখ করত। তাতে ভোটাররা সেই প্রার্থীর যোগ্যতার ব্যাপারে আস্থা পেত।

৫) ফেসবুকে ইউজারদের অ্যাটেনশন পাওয়ার জন্য ইনফোগ্রাফিক ইমেজ ব্যবহার করতে হবে। ইনফোগ্রাফিকগুলো কি কি বিষয়ের ওপর হতে পারে: জীবনে এখন পযন্ত আমার অর্জন, আইটি ইন্ড্রাস্ট্রিতে অবদান, বেসিসে পূর্বে দায়িত্বপালনকালীন কৃতিত্বগুলো, ভবিষ্যতে দায়িত্ব পেলে কি কি ফোকাস থাকবে ইত্যাদি।

ভাবেন তো, এ বিষয়গুলো এখন খুব বিশ্রী ফরম্যাটে মেইল করা হচ্ছে, কিংবা অনলাইন লিখে বুস্টিং করা হচ্ছে, কিংবা নিউজ পোর্টালে নিউজ করা হচ্ছে, কিন্তু কতজন সেগুলো পড়ছে, বেশির ভাগ স্কিপ করে যাচ্ছে। কিন্তু এই বিষয়গুলো ইনফোগ্রাফিক ডিজাইন করে পোস্ট করা হলে অনেক বেশি মানুষের নজরে আসত।

৬) কোটেশন সিরিজ টাইপ পোস্টের মতো নিজের করা বিভিন্ন কার্যক্রম কিংবা নিজের মেসেজ, কিংবা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে প্রতিদিন সিরিজ ইমেজ পোস্ট শুরু করা উচিত। সিরিজ ইমেজগুলো অনেক বেশি অ্যাটেনশন তৈরি করতে পারে।

৭) GIF ভিডিওর মাধ্যমে প্রতিদিন শর্ট কিছু মেসেজ শেয়ার করা যায়।

৮) শর্ট ভিডিও, সম্ভব হলে অ্যানিমিটেড ভিডিওগুলো অনেক বেশি অ্যাটেনশন পায়। সেই ভিডিও তৈরি করে প্রতিদিন পরিকল্পনামাফিক পোস্ট করা দরকার।

৯) বেসিসে দায়িত্বপালনকালীন বিভিন্ন ছবির একদিন একটা ছবি পোস্ট করে, সেটির পেছনের গল্পটা নিয়ে নিয়মিত পোস্ট থাকতে পারে, যা পুরনো কার্যক্রমকে আবার মনে করে দিত সবাইকে, যার অর্জনগুলো হয়তো সবাই ভুলে গেছে। এ রকম পদ্ধতিতে মনে করিয়ে দিলে আমি শিউর, ভোটারদের সিদ্ধান্ত তৈরিতে এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

১০) প্রতিদিনের প্রচারণা কার্যক্রম চালাতে গিয়ে সেটির কোনো অভিজ্ঞতা প্রতিদিন শেয়ার করার ব্যবস্থা করতাম, তাহলে সবাই আপডেট থাকবে। এটিও অ্যাটেনশন তৈরিতে অনেক সহযোগিতা করবে। আমার মনে হয়, এখন যেভাবে মার্কেটিং করবে, তাতে ভোটারদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে খুব বেশি প্রভাব পড়বে বলে মনে হয় না।

এটাই ইনবাউন্ড মার্কেটিং। যে কোনো নির্বাচনেও এ রকম পরিকল্পনামাফিক মার্কেটিং যারা করবে, তারাই ভোটের যুদ্ধে অনেকটুকু এগিয়ে থাকবে।

ফেসবুক থেকেই আয়-রোজগার: পর্ব-৫ || Earn Money from Facebook- Bangla Tutorial Part-5


লেখক: মো. ইকরাম, পরিচালক, নেক্সাস আইটি।

ফেসবুক থেকেই আয়-রোজগার: পর্ব-৪ || Earn Money from Facebook- Bangla Tutorial Part-4

কীভাবে অ্যানগেজমেন্ট বৃদ্ধি করবেন?


প্রতিদিন ফেসবুক পেজটিতে ৩টি করে পোস্ট দেবেন। কী পোস্ট করবেন, সেগুলো নিয়ে আগে কিছুটা ব্রেন স্ট্রোমিং করে নিন। ব্রেন স্ট্রোমিং করার ব্যাপারে কিছু পরামর্শ দিতে পারি।

ধরি, আপনার ব্যবসাটি হবে দেশীয় ভেজালমুক্ত খাবার, যেমন: ফরমালিনমুক্ত আম। তাহলে ফরমালিনের আপনার কন্টেন্টগুলো হবে, ফরমালিনের ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়, আম নিয়ে বিভিন্ন টপিকসও এখানে যুক্ত হতে পারে।

এবার তাহলে এ সম্পর্কিত অনলাইনে কি কি পোস্ট আছে সেগুলো খুঁজে বের করে আগে সব লিস্ট করে রাখুন।

লিস্ট করে রাখা সব পোস্টগুলো থেকে এবার কন্টেন্ট তৈরি করুন। ফেসবুকের কন্টেন্ট সাইজ বেশি বড় না হওয়াটাই ভালো। ব্লগের কনটেন্ট হতে হয় বড়। অনলাইন থেকে খুঁজে বের করা আর্টিকেলগুলো থেকে নিজের মতো করে কন্টেন্ট তৈরি করুন।

কপি কন্টেন্ট না করে নিজের মতো করে কন্টেন্ট উপস্থাপন করুন। কপি কন্টেন্ট ব্যবহার করলে ব্রান্ডিংয়ে কম সফল হবেন। এমন কন্টেন্ট তৈরি করুন, যা মানুষের জন্য উপকারী হবে।

মানুষের উপকারী তথ্য দিয়ে কোনো পোস্ট করলেই, পেজের মেম্বাররা আপনাকে বন্ধু মনে করা শুরু করবে, আপনার ওপর আস্থা শুধুমাত্র তখনই তৈরি হবে।

শুরুতে কখনোই বিজ্ঞাপন টাইপ কোন পোস্ট করবেন না, তাতে বন্ধুত্ব তৈরি হবে না, দূরত্ব তৈরি হবে।

প্রতিদিনের ৩টি পোস্টের মধ্যে একটি পোস্ট কুইজ টাইপ হতে পারে। কুইজ টাইপ পোস্টে কমেন্ট এবং লাইক প্রচুর পাওয়া যায়।

সপ্তাহের একদিন ইনফোগ্রাফিকস ধরনের পোস্ট করতে পারেন। ছবি সম্পর্কিত পোস্টগুলো প্রচুর শেয়ার হয় এবং অ্যানগেজিংও প্রচুর বৃদ্ধি পায়।

আমি আমার একটি ফেসবুক পেজে (https://www.facebook.com/dr.foyzunnahar) এ কাজটি করেছিলাম। সেই রকম একটি ইমেজ এখানে শেয়ার করছি। ইমেজটি লক্ষ্য করলে দেখবেন, সেখানে মানুষের জন্য উপকারী তথ্য দেওয়া আছে এবং ছবিটি দেখতেও আকর্ষণীয় হওয়ার কারণে অবশ্যই এটা শেয়ার হবে।

ছবিটির নিচের ফেসবুক পেজের নাম থাকার কারণে, যাদের ওয়্যালে শেয়ার হচ্ছে, তাদের কাছ থেকে তাদের বন্ধুরা পেজটি সম্পর্কে জানতে পারবে। আর বারবার এ পেজটির নাম জানলেই, সেটি ব্রান্ড হয়ে দাঁড়াবে। ব্যবসায়িক কারণে তৈরি কোনো ইমেজ কেউ সেটি শেয়ার করবে না।

কোনো একজন ডিজাইনারকে দিয়ে একটিমাত্র ছবি তৈরি করে নিন। পরে প্রতি সপ্তাহে শুধুমাত্র লেখা আর ছবি খুব সহজে নিজেই পরিবর্তন করে নিন। কাজটি তাহলে সহজ হয়ে যাবে।

শুরুর দিকে খুব সতর্কভাবে প্রতি ৩দিন পরপর কোনো একটি পোস্টে আপনার ব্যবসার কথা বলতে পারেন, তবে এত তাড়াতাড়ি সরাসরি প্রোডাক্ট বিক্রির কথা বললে, সেটি ব্রান্ডিংয়ের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।

সে রকম একটি পোস্টের উদাহরণ দিচ্ছি এখানে:

গত সপ্তাহে রাজশাহীতে আমার নিজের পরিচিত একটি বাগান থেকে ইকরাম ভাইয়ের কাছে এক মণ আম বিক্রি করেছিলাম। উনার পরিকল্পনা ছিল, আমগুলো এক মাস ধরে খাবে। কিন্তু ২ দিন পর দেখেছে, বেশির ভাগ আম পচে কাল হয়ে গেছে। হুমম, এটিই হচ্ছে, ফরমালিনমুক্ত আমের প্রধান বৈশিষ্ট্য।

- মানুষের জন্য উপকারী এবং আপনার ব্যবসা সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে মাঝে মাঝে চেষ্টা করুন, ব্লগে পোস্ট করেন। ব্লগপোস্টটির নিচে শুধু পেজে লাইক দেয়ার অনুরোধ করে পেজের লিংক দিয়ে এলেই হবে। ব্লগপোস্টে আর অন্য কোনো বিজ্ঞাপন চালানোর লোভ সংবরণ করুন। এ রকম ব্লগের জন্য পোস্ট মাসে ২টি হলেই চলবে। আরও বেশি করতে পারলে তো কথাই নেই। ভালোই হবে।

- কাছের মানুষদের কাছ থেকে পেজের রিভিউ অংশে ভালো রিভিউ লিখে নিন। অনুরোধের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে আদায় করে নিতে পারে শুরুর দিকে। যারা একটু অনলাইনে বেশি পরিচিত তাদের কাছ থেকে রিভিউ নিতে পারলে বেশি ভালো হবে। এ রিভিউ দেখে মানুষের মনে আপনার কাছ হতে প্রোডাক্ট কেনার ব্যাপারে আস্থা তৈরি হবে। কাছের মানুষের কাছে প্রোডাক্ট বিক্রি করেই রিভিউ নিন, মিথ্যা রিভিউ নেয়ার দরকার নেই।

- ১ মাস পর থেকে প্রতিদিনের ৩টি পোস্টের মধ্যে একটি পোস্ট অবশ্যই একটি বিজ্ঞাপনধর্মী পোস্ট হবে। দুটিও হতে পারে। চেষ্টা করুন, সেই ব্যবসা সম্পর্কিত নিজের যেকোনো কার্যক্রমগুলোই সেখানে পোস্ট করার জন্য্। তাহলে অ্যানগেজিংটা অনেক বাড়বে। তবে সব সময়ই বিজ্ঞাপনের বাইরেও সবার জন্য উপকারী কনটেন্ট অবশ্যই করার দিকে সচেতন থাকতে হবে।

- যেসব পোস্টগুলো সবার জন্য কাজে লাগবে, সেই পোস্টগুলো অন্যগ্রুপেও শেয়ার করুন। তাহলে এ ফেসবুক পেজটির লাইক বাড়তে থাকবে।

- ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন। ভিডিও শেয়ার হয় প্রচুর। সেখান থেকেও অনেক লাইক বৃদ্ধি পাবে। মাসে একটি ভিডিও আপলোড করার পরিকল্পনা রাখলেই ভালো হবে।

- মাসে একটি করে বিশেষ অফার দিতে পারেন। তবে সব সময় ব্যতিক্রম কিছু উদ্যোগ নিলে সেটি মানুষের নজরে খুব সহজে আসবে। এ রকম একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ফেসবুকে দেখলাম। সেটি শেয়ার করলাম।

Food Republic is calling all foodies for an Epic Challenge! Introducing The Abomination Challenge! Finish it all in 30 minutes and get all for free! Are you Ready?

Rules:
1. This challenge applies for one person

2. Time starts as soon as the timer starts

3. The challenger needs to clear all of the food and drink that is served

4. Food Republic reserves the right to change or omit any part of the challenge without prior announcement.

এ রকম ক্যাম্পেইন কমপক্ষে ৩ মাসে একবার হলেও অবশ্যই করতে হবে। এটি আপনার ব্রান্ডিং কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেবে।

- যদি লোকাল ব্যবসা হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে অফলাইন বিভিন্ন উদ্যোগও অবশ্যই নিতে হবে। নাহলে ব্রান্ডিং করা যাবে না। গরিব কিংবা এতিমদের বিনা মূল্যে ফ্রি ফল খাওয়ানোর উদ্যোগ, এ রকম কিছু অফলাইন ক্যাম্পেইন ব্রান্ডিংয়ের কাজকে অনেক সহজ করে দেবে। নিজের মাথা থেকে ব্যতিক্রম কিছু এ রকম উদ্যোগ নিতে পারেন।

অ্যানগেজমেন্ট এবং পেজের লাইক বৃদ্ধির আরও অনেক ধরনের উপায় বের করা যেতে পারে। এগুলো এখানে আর আলোচনা করলাম না।

সপ্তম ধাপ: প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য পেমেন্ট সিস্টেম): সব পেমেন্ট সিস্টেমের ব্যবস্থা করা না গেলেও চেষ্টা করতে পারেন জনপ্রিয় সব পেমেন্ট সিস্টেমগুলোতে ক্লায়েন্টের পেমেন্ট দেয়ার ব্যবস্থা করা। বাংলাদেশের জন্য বিকাশ, ব্র্যাক ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক এই জনপ্রিয় পেমেন্ট গেটওয়েগুলোর মাধ্যমে পেমেন্টের ব্যবস্থা অবশ্যই রাখতে হবে।

সব লেনদেন যতটুকু সম্ভব স্বচ্ছ রাখার চেষ্টা করবেন। তাহলেই সবার মধ্যে ব্যবসা সম্পর্কে আস্থা তৈরি হবে। এবং ব্যবসা অনেক বড় হবে, এবং সেই সঙ্গে টিকবেও অনেক দিন।

পেজের অ্যানগেজমেন্ট বৃদ্ধির জন্য পরিকল্পনা আগে সাজিয়ে নিন। তাহলে কাজের সুবিধা হবে।

বাংলাদেশে সফল দুটি ই-কমার্স বিজনেস পেজের নাম এবং লিংক দিচ্ছি, তাদের পোস্টগুলোও অনুসরণ করেন। ওদের কনসালটেন্সি আমি করি। এবং তারা অনেক বেশি সফলও। তাদের পেজ দেখলেই পোস্টের ধরন সম্পর্কে আইডিয়া পাবেন।

১) জামদানি শাড়ি: https://web.facebook.com/JamdaniVille/

২) শুঁটকি: https://web.facebook.com/coxsbazarEshop/

ফেসবুক থেকেই আয়-রোজগার: পর্ব-৪ || Earn Money from Facebook- Bangla Tutorial Part-4


লেখক: মো. ইকরাম, পরিচালক, নেক্সাস আইটি।

ফেসবুক থেকেই আয়-রোজগার: পর্ব-৩ || Earn Money from Facebook- Bangla Tutorial Part-3

ফেসবুক পেজ থেকে কীভাবে ইনকাম করতে হয়? আসুন, ফেসবুকের মাধ্যমে ইনকামগুলো দেখি: ইনকাম-১: ধরি, আপনার পেজ থেকে নারীদের জন্য ড্রেস বিক্রি করবেন।


♦ কী করবেন?:

একটা পেজ তৈরি করবেন। তারপর সেই পেজে নিয়মিত সুন্দর সুন্দর ড্রেসের ছবি আপলোড করবেন। আপনি যেই ড্রেস বিক্রি করবেন, আমি শুধু সেই ড্রেসের কথা বলছি না। যে কোনো সুন্দর সুন্দর ড্রেসের ছবি আপলোড করেন। আর সাজগুজ সম্পর্কিত পোস্ট পেজে আপ করতে থাকেন।

এবার এ পেজে যে পোস্টগুলো রয়েছে সেটা সবাইকে জানানোর জন্য সেই পোস্টগুলোর লিংক অন্যগ্রুপে শেয়ার করতে পারেন। একদম বেসিক পযায়ে এটা বললাম। বাকি বিস্তারিত পরে আলোচনা করেছি।

তাহলে এত সুন্দর সুন্দর পোস্ট আপনার পেজটিতে আসে জেনে যারা আপনার পেজে নিজের ইচ্ছাতে লাইক দেবে, তারাই এখানে লিড। যারা লাইক দিল, বোঝা যাবে, এরা সুন্দর ড্রেস দেখতে পছন্দ করে। এবার কিছুদিন পর থেকে পেজে যদি আপনি নিজের ড্রেস বিক্রি করতে চান, সেটি পোস্ট দিলে এ পেজের মানুষজন ড্রেস কিনার ব্যাপারে আগ্রহী হবে।

♦ যা করবেন না:

ক) কাউকে লাইক দিতে রিকোয়েস্ট পাঠানোর দরকার নেই।

খ) পেজে সেলসম্যানের মতো প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য সারাক্ষণ বিক্রির পোস্ট দিবেন না।

ইনকাম-২: ধরি, অ্যাফিলিয়েশন কিংবা সিপিএর মাধ্যমে ইনকাম করবেন।

এবার ধরি, অ্যাফিলিয়েশন কিংবা সিপিএ মাধ্যমে ইনকামের জন্য স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কোনো পেজ খুললেন। ধরি, আপনি ওয়েট লস প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করবেন।

♦ কী করবেন:

পেজে নিয়মিত স্বাস্থ্য সচেতনামূলক পোস্ট করবেন। পোস্ট হতে পারে, ওজন কমানোর বিভিন্ন টিপস নিয়ে। কিংবা ওজন বৃদ্ধির ক্ষতিকর দিক নিয়ে। ইনফ্রোগ্রাফিক, ভিডিও পোস্টগুলো বেশি ইফেকটিভ হবে। সেই পোস্টগুলোর লিংক, কিংবা ইমেজটি কিংবা ভিডিওটি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আমেরিকা কিংবা ইউরোপ ভিত্তিক বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে শেয়ার করুন।

সেখানে নিয়মিত পেজের এত ভালো ভালো পোস্টগুলো পেলে আপনার পেজে লাইক দিতে আগ্রহী হবে। যেহেতু আপনি স্বাস্থ্য কমানোর টিপস নিয়ে পোস্টগুলো শেয়ার করছেন, সে জন্য আপনার পেজে লাইক যারা দেবে, তারা অবশ্যই ওজন বেশি নিয়ে চিন্তিত। ওজন কমানোর ব্যাপারে আগ্রহী দেখেই আপনার পেজে গিয়ে লাইক দেবে।

এবার পেজে সিপিএ লিংক কিংবা অ্যাফিলিয়েশন লিংক দিয়ে সেখান থেকে সেল পাবেন এবং অবশ্যই ভালো ইনকাম করতে পারবেন।

♦ যা করবেন না:

ক) ফেক লাইক বাড়াবেন না। তাতে প্রোডাক্ট সেল হবে না।

খ) উদ্দেশ্যহীনভাবে কোনো পোস্ট পেজে করবেন না।

এখানে ২টি উপায়ে ইনকাম নিয়ে বিস্তারিত লিখেছি। আগের অধ্যায়ে ৯টি উপায়ে ইনকামের কথা বলেছি। তাছাড়া ফেসবুক মার্কেটিংয়ের দক্ষতা থাকলে লোকাল বিভিন্ন কোম্পানিতে ভালো বেতনে চাকরির সুযোগও রয়েছে।

ফেসবুকের বিশাল জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়ে এখন মানুষ প্রচুর ইনকাম করছেন। যদিও কিছু খারাপ দিকও আছে। এ ইনকামের কথা জেনে, মানুষ ফেসবুকের বুকে মার্কেটিং করে পুরো পরিবেশ নষ্ট করে ফেলছে। এভাবে মার্কেটিং করে ইনকাম সম্ভব হয় না।

ফেসবুকের মাধ্যমে ই-কমার্স (এফ কমার্স) ব্যবসা করার বিস্তারিত টিপস

ফেসবুকে সারা দিন বিনা কারণে আমরা প্রচুর সময় নষ্ট করি। কিন্তু ফেসবুকে ব্যয় করা এ সময়টুকু ব্যয় করে ঘরে বসেই অনেক বড় ব্যবসা গড়ে তোলা সম্ভব। ঘরে বসেই সম্ভব প্রচুর আয় করা।

ইতিমধ্যে আমার কয়েকজন নারী স্টডেন্ট সেই অনুযায়ী কাজ করে সফল হয়েছে। আপনাদের জন্য বিস্তারিত গাইডলাইন তৈরির চেষ্টা করছি, চেকলিস্টের মতো করে লেখার।

এফ কমার্স:

ফেসবুকের মাধ্যমে যে ব্যবসা তাকে, এফ কমার্স বলে। টাকা খরচ করে ওয়েবসাইট তৈরির প্রয়োজন নেই এক্ষেত্রে। শুধুমাত্র ফেসবুকে একটি পেজ খুলেই ব্যবসা শুরু করা যাবে। ইতিমধ্যে দেশে অনেকেই করছেন এ রকম কিছু।

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যে কয়টি আমার চোখে পড়েছে, সেই অনুযায়ী বলতে পারি, এখন পর্যন্ত রাজশাহীর খাঁটি আম, সুন্দরবনের খাঁটি মধু, জামদানি শাড়ি, কক্সবাজার ই-শপ বিভিন্ন গিফট আইটেম, ড্রেস সম্পর্কিত প্রোডাক্ট নিয়ে অনেকে ব্যবসা শুরু করেছেন। এই এফ কমার্স ব্যবসা করার জন্য শুরুতে কম খরচেই শুরু করতে পারবেন।

প্রথম ধাপ (ব্যবসা সম্পর্কিত সঠিক নাম বাছাই করে ফেসবুক পেজ তৈরি):

ফেসবুকে ব্যবসা সম্পর্কিত একটি পেজ তৈরি করতে হবে। পেজের নামটি হবে ব্যবসার নাম। লং টাইম ব্যবসা করার টার্গেট করেই নামটা ঠিক করতে হবে।

দ্বিতীয় ধাপ (প্রফেশনাল লোগো তৈরি):

ব্যবসা সম্পর্কিত একটি সুন্দর লোগো ডিজাইন করে নিতে হবে। প্রফেশনাল কাউকে দিয়ে লোগোটা ডিজাইন করাবেন। কারণ লোগোটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবশ্যই।

তৃতীয় ধাপ (পেজের জন্য ব্যবসা সম্পর্কিত কভার ছবি তৈরি):

সুন্দর এবং অবশ্যই প্রফেশনাল একটি ফেসবুক কভার ডিজাইন করিয়ে নিন।

চতুর্থ ধাপ (পেজে About সেকশনে ব্যবসা সম্পর্কিত তথ্য যুক্ত করা):

ফেসবুক পেজটির About পেজটিতে ব্যবসা সম্পর্কিত তথ্যগুলো ভালোভাবে পূরণ করুন।

উদাহরণ- https://www.facebook.com/JamdaniVille/ এ পেজের About পেজটি দেখতে পারেন। সেখান থেকে আইডিয়া নিয়ে ভালো কিছু লিখতে পারেন।

পঞ্চম ধাপ (পেজে প্রাথমিকভাবে মেম্বার যুক্ত করা):

পেজটি প্রস্তুত। ওপরের ৪টি ধাপের প্রস্তুতির জন্য সময় ২ দিনের বেশি ব্যয় করা মোটেই উচিত হবে না। তাহলে শুরুতেই আপনার পদক্ষেপ ভুল হবে। পঞ্চম ধাপটিতে, পেজের মেম্বার বাড়ানো শুরু করতে হবে। সবার প্রথমে নিজের ফ্রেন্ড লিস্টের সবাইকে, নিজের কাছের কোনো বন্ধুকে অনুরোধ করে, তার ফ্রেন্ডলিস্টের সবাইকে এ পেজে যুক্ত করে নেয়ার জন্য ইনভাইট করুন। এ পদ্ধতিতেই চেষ্টা করুন পেজে ১০০০টা লাইক যুক্ত করার।

ষষ্ঠ ধাপ (পেজে অ্যানগেজমেন্ট বৃদ্ধি):

এ ধাপটিতে এসেই অ্যানগেজমেন্ট বৃদ্ধি শুরু করতে হবে। অ্যানগেজমেন্ট বৃদ্ধি শুরু করলে, পেজ মেম্বারও নিয়মিত বৃদ্ধি পাবে।

কেন অ্যানগেজমেন্ট বৃদ্ধি করতে হবে?

মার্কেটপ্লেসের বাইরে গিয়ে অনলাইনে এসব ব্যবসার ক্ষেত্রে, যে ক্রেতা, তার কাছে আপনি (ব্যবসার মালিক) একদম অপরিচিত এবং অবিশ্বস্ত। সুতরাং, ক্রেতা কখনও প্রোডাক্ট হাতে পাওয়ার আগে আপনাকে পেমেন্ট করতে সাহস পাবে না। আবার আপনি নিজেও পেমেন্ট পাওয়ার আগে অপরিচিত একজনকে প্রোডাক্ট দিতে রিস্ক নিবেন না।

যদি ক্রেতা আপনার পরিচিত হতো, তাহলে ক্রেতা আপনাকে বিশ্বাস করত,সেক্ষেত্রে প্রোডাক্ট হাতে পাওয়ার আগেই পেমেন্ট দিতে তার আপত্তি থাকত না। তেমনি আপনি নিজেও পেমেন্ট বাকি রেখে তাকে প্রোডাক্ট দিতে হয়তো আপত্তি করবেন না।

তাহলে দেখা গেল, পরিচিত হওয়াটাই আসল। অনলাইনের মাধ্যমেই এখন মানুষের বন্ধুত্ব তৈরি হয়। আর এ বন্ধুত্ব তৈরির জন্যই অ্যানগেজমেন্ট বৃদ্ধির চেষ্টা করতে হবে। আর অ্যানগেজমেন্ট বৃদ্ধি হলেই বিশ্বাস এবং আস্থা তৈরি হবে। তখনই ক্রেতা প্রোডাক্ট হাতে পাওয়ার আগেই পেমেন্ট দিতে আপত্তি করবে না।

ফেসবুক থেকেই আয়-রোজগার: পর্ব-৩ || Earn Money from Facebook- Bangla Tutorial Part-3

লেখক: মো. ইকরাম, পরিচালক, নেক্সাস আইটি।

ফেসবুক থেকেই আয়-রোজগার: পর্ব-২ || Earn Money from Facebook- Bangla Tutorial Part-2

ফেসবুকের মাধ্যমে ইনকাম করবেন বলেছি, কিন্তু ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে পারেন কিংবা বিভিন্ন গ্রুপে গিয়ে লিংক শেয়ার করতে পারেন কিংবা পেজে লাইক বৃদ্ধি করতে পারেন দেখে ফেসবুক মার্কেটার হয়ে গেছেন ভেবে আত্মতৃপ্তিতে ভোগার দরকার নেই।


নিচের দক্ষতাগুলোকে ফেসবুক মার্কেটিংয়ের দক্ষতা ভাববেন না-

১) ফেসবুকে স্ট্যাটাসে কিছু লিখতে পারা

২) অন্যের পোস্টে কমেন্ট করতে পারা

৩) ভালো লেখালেখি করতে পারা

৪) অন্য গ্রুপে পোস্ট করতে পারা

৫) ফেকলাইক বৃদ্ধি করতে পারা

৬) অন্যের গ্রুপে কিংবা অন্যের পোস্টে গিয়ে লিংক শেয়ার করা

ফেসবুক মার্কেটার হিসেবে যে যে দক্ষতা থাকতে হবে-

১) লিড সংগ্রহ:

ফেসবুকে লাইক বৃদ্ধি করে ব্যবসার জন্য লাভ নেই। লিড বৃদ্ধি করতে হবে। ওজন কমানোর কোনো ওষুধ বিক্রি করার জন্য পেজ খুলছেন। সে পেজে ১০ হাজার লাইক রয়েছে, যার মধ্যে ৯ হাজার ৯৯৯ হচ্ছে চিকন মানুষের লাইক। তাহলে তাদের কাছে জীবনে ওষুধ বিক্রি করা যাবে না। যারা মোটা এবং মোটা নিয়ে চিন্তিত তাদেরই আপনার পেজে নিয়ে আনা উচিত। এদেরকেই পেজে নিয়ে আনাকে লিড সংগ্রহ বলে।

২) লিড পরিচর্যা:

পেজে যখন লিড তৈরি হলো তাদের জন্য সচেতনতামূলক পোস্ট দিয়ে দিয়ে মোটা থেকে চিকন হওয়ার গুরুত্বমূলক, সচেতনতা তৈরি মূলক পোস্ট তৈরি করতে হবে। এগুলো দেখে সেই পেজের মানুষজনের মধ্যে চিকন হওয়ার প্রোডাক্ট কেনার আগ্রহ তৈরি হবে। একেই বলে লিড নার্সিং বা লিড পরিচযা।

৩) সেলস ফানেল:

আমরা মার্কেটিং করার সময় সব সময় প্রোডাক্টি কেনা সম্পর্কিত পোস্টটাই দিয়ে থাকি। প্রোডাক্টের মূল্য, প্রোডাক্ট কেন ভালো এ টাইপ পোস্ট প্রতিনিয়ত দিয়ে থাকি। এটা করলে একটা পর্যায়ে সেল বন্ধ হয়ে যায় কিংবা সেল ভালো পাওয়া যায় না। কিন্তু দেখা যায় পরিশ্রম প্রচুর করা হচ্ছে। এটাকে সহজ একটা ব্যাখ্যা দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছি।

বাসাবাড়িতে পানির ট্যাংকি থাকে। ঘরের ভেতরে কল ছেড়ে রেখে দিয়েছেন। পানি পড়তে পড়তে একসময় ট্যাংকি খালি হয়ে যাবে। যে রকম কল ছেড়েছেন, সে রকম মোটর চালিয়ে নিয়মিত ট্যাংকিতেও পানি ভরতে হবে।

মোটর চালিয়ে পানি উঠাবেন, এটাকে লিড সংগ্রহ বলে। ট্যাংকিতে পানি ভরেছে, সেটাকে লিড পরিচর্যা বলে। পরে কল ছেড়েছেন, সেটা হচ্ছে সেল শুরু হয়েছে। আর পুরো প্রক্রিয়াটিকে সেলস ফানেল বলে। সেলস ফানেল নিয়ে একটি অধ্যায় করা হয়েছে, সেখানেই আরও বিস্তারিত বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

৪) কনটেন্ট ডেভেলপ:

কনটেন্ট বলতে আর্টিকেল, কোনো লিখার লিংক, গ্রাফিক, ভিডিও সবকিছুকে কনটেন্ট বলে। কনটেন্ট ডেভেলপের ক্ষেত্রে প্রোডাক্ট সেল করা বিষয়টি মাথাতে রেখেই পরিকল্পনা করতে হবে। লিড সংগ্রহ, লিড নার্সিং, সেলস ফানেল তৈরির চিন্তা করে কনটেন্ট ডেভেলপ করতে হবে।

৫) সম্ভাব্য কাস্টমারের আচরণ বোঝা:

সম্ভাব্য কাস্টমারের বয়স, সেক্স, তাদের কেনার ক্ষমতা, কেনার অভ্যাস, তাদের আচরণ বুঝতে হবে, সেই অনুযায়ি কনটেন্ট ডেভেলপ করতে হবে। সম্ভাব্য কাস্টমারদের ডাটা কালেক্ট করা এবং তাদের আচরণটা অ্যানালাইস করা জানতে হবে।

৬) নিউজ ফিড অ্যালগরিদম:

ফেসবুকে কার ওয়্যালে কোন পোস্ট দেখাবে এটা একটা অ্যালগরিদম মেইনটেইন করে চলে, যেটাকে EDGE Rank বলে। আর এ অ্যালগরিদমের কারণেই আপনাকে ফ্রেন্ড লিস্টের সবার পোস্ট আপনি দেখেন না, আপনার পোস্টও সবাই দেখে না। এটা না বুঝে মার্কেটিং করেন দেখেই কোনো উপকার পাচ্ছেন না। আপনি ১০০ গ্রুপে হয়তো মার্কেটিং করছেন, কিন্তু আসলে আপনার পোস্টকে ফেসবুক কারও ওয়্যালে শো করতেছে না শুধুমাত্র এ অ্যালগরিদমটার কারণে।

৭) সঠিক অডিয়েন্স টার্গেট করা:

সঠিক অডিয়েন্স খুঁজে বের করে শুধুমাত্র তাদের কাছেই মার্কেটিং করেন। এ সঠিক অডিয়েন্স কারা সেটা বোঝার জন্য অনেক টুলস রয়েছে যার ব্যবহার না জেনে অন্ধের মতো মার্কেটিং করলে সময়টাই নষ্ট হবে। ইনকাম আর হবে না।

৮) পেইড অ্যাডভার্টাইজিং:

ফেসবুকে পেইড অ্যাডভার্টাইজিং চমৎকার একটা মার্কেটিং সলিউশন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমাদের দেশে মনে করে ১ ডলার খরচ করে কত বেশি মানুষের কাছে রিচ করতে পারলাম, তত আমি বড় মার্কেটার হয়ে গেছি। আসলে কত বেশি মানুষ পোস্টটা দেখল, সেটাতে আপনার স্বার্থকতা না, কতজন আপনার প্রোডাক্টটি কিনল, সেটাতে মার্কেটিংয়ে সফলতা। সে জন্য সঠিক পেইড মার্কেটিংয়ের সঠিক পদ্ধতিগুলো শিখতে হবে।

৯) রিমার্কেটিং টেকনিক:

ফেসবুক পেইড মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে কোন প্রোমোশন যদি একই ব্যক্তির কাছে বারবার নিয়ে আসতে পারেন, তাহলে প্রোডাক্টটি ব্রান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে। এজন্য অডিয়েন্স ধরে রাখা, তাদের কাছে বারবার মার্কেটিং করে মেসেজ পৌঁছে দেয়াটাই হচ্ছে রিমার্কেটিং। এই টেকনিকটি বিক্রির জন্য অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

১০) ইনফ্লুয়েন্সার হওয়া:

কোন বিষয়ে নিজেকে এক্সপার্ট হিসেবে অনলাইনে মানুষের ধারণা প্রতিষ্ঠা করতে পারাকে ইনফ্লুয়েন্সার বলে। ইনফ্লুয়েন্সার হলে মার্কেটিং করার কষ্ট কমে যায়। অল্প কষ্টে বেশি লাভ করা যায়। এ ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার টেকনিক জানা থাকতে হবে। মার্কেটিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্ট এটি।

১১) মাসিক মার্কেটিং রিপোর্ট পযবেক্ষণ:

প্রতিটা মার্কেটিংয়ের প্রতিটা ফলাফল দেখার ব্যবস্থা রয়েছে ফেসবুকের কিছু টুলসে। সেগুলো অ্যানালাইস করতে না জেনে মার্কেটিং করলে কোনো লাভ নেই। সেগুলো না জেনেই মার্কেটিং করলে অন্ধের মতো সমুদ্রে সাঁতরানো হবে। ক্লায়েন্টকে রিপোর্টটি করার জন্য এবং রিপোর্ট দেখে পরবর্তী পরিকল্পনার সাজানোর জন্য একজন মার্কেটারকে অবশ্যই রিপোর্ট বের করার টেকনিক জানা গুরুত্বপূর্ণ।

১২) রিপোর্ট অনুযায়ী মার্কেটিং প্লান তৈরি:

মাসিক রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী মাসের মার্কেটিং প্লানটা সাজাতে হয়। কোন ধরনের কনটেন্ট মানুষকে আকর্ষণ করছে, কোন সময়ে মানুষজন অনলাইনে বেশি থাকে সেগুলো জেনে মার্কেটিং করলে পরিশ্রম অনেক কমে যাবে, ইনকামটাও বাড়বে।

১৩) কম্পিটিটরদের অ্যানালাইস করা:

আপনার যারা কম্পিটিটর তাদের অ্যানালাইস না করে মার্কেটিংয়ে নামলে মার্কেটিং করে তো কোনো লাভ হবে না। হতাশাটাই শুধু পাবেন। কম্পিটিটিরদের অ্যানালাইস করলে তাদের ক্লায়েন্টদের চাহিদা সম্পর্কে জানতে পারবেন, তাদের দুর্বলতা, শক্তির দিক সম্পর্কে জানতে পারবেন। কম্পিটিটরদের ডাটা অ্যানালাইস করেই আপনার মার্কেটিং প্লান সাজালে সফলতার দেখা পাবেন।

ফেসবুক থেকেই আয়-রোজগার: পর্ব-২ || Earn Money from Facebook-Part-2


লেখক: মো. ইকরাম, পরিচালক, নেক্সাস আইটি।

ফেসবুক থেকেই আয়-রোজগার: পর্ব-১ || Earn Money from Facebook- Bangla Tutorial Part-1

ফেসবুকে আমরা সবাই আসক্ত হয়ে পড়ছি। অনেকে বলছেন কিংবা বিশ্বাস করছেন, ফেসবুক মানেই সময় নষ্টের জায়গা, ফেসবুক মানেই বর্তমান যুগে সব কুকর্মের স্থান। ফেসবুক মানেই হলো তরুণ ছেলেমেয়েদের বিপথে যাওয়ার জায়গা। কথাগুলো কিন্তু মিথ্যা নয়। আসলে এ ঘটনাগুলো এখন ফেসবুকের মাধ্যমেই ঘটছে।


পড়ালেখা বাদ দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কম বয়সী ছেলেমেয়েরা ফেসবুকে সময় নষ্ট করছে। কিন্তু এ ফেসবুকের মাধ্যমে ভালো ভালো ঘটনাও ঘটছে, অনেক অপরাধীকে পাকড়াও করা, রক্ত জোগাড় করা, বিভিন্ন জনের বিপদে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে টাকা উঠিয়ে তার চিকিৎসা করানোসহ আরও অনেক ভালো কাজের উদাহরণ রয়েছে, যা ফেসবুক থাকার কারণেই হয়েছে।

সব কিছুর ভালো এবং খারাপ দুটো দিকই রয়েছে। সচেতনতার অভাবে আমরা হয়তো খারাপ কাজেই বেশির ভাগ সময় ফেসবুককে ব্যবহার করছি, কিন্তু যারা অনলাইন প্রফেশনাল, তারা ফেসবুককে বর্তমান যুগের সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ মনে করছে।

বিশ্বের সব জায়গার এত মানুষ এখন ফেসবুকে রয়েছে, এত মানুষকে খুব সহজেই ফেসবুকের মাধ্যমে টাচ করা যায়। পৃথিবী এখন সত্যিকারের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে ফেসবুকের কল্যাণে। ফেসবুকের কল্যাণে এখন বাংলাদেশে বসে আমেরিকার একজনের বন্ধুত্ব হচ্ছে, আমেরিকার প্রতিটা মুহূর্তের আপডেট জেনে যাচ্ছি।

ফেসবুকের মাধ্যমে যেহেতু আমেরিকার একজনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব হচ্ছে। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে, ফেসবুক কত ছোট করে ফেলেছে দুনিয়াটাকে। এই সুবিধাটা কাজে লাগিয়ে কেউ বিষয়টিকে কাজে লাগাচ্ছে। আর কেউ হয়তো আড্ডা দিয়ে সময় নষ্ট করছে।

আপনি কীভাবে কাজে লাগাবেন, সেটি আপনার সিদ্ধান্ত। এ বইটা মূলত তৈরি করেছি, যারা ফেসবুকে সময় নষ্ট না করে এই নেশাটাকে কাজে লাগিয়ে নিজেকে প্রফেশনালি কাজে লাগাতে পারে। আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার বিশাল সুযোগ এনে দিয়েছে ফেসবুক, সেটি যাতে কাজে লাগিয়ে নিজেও স্বাবলম্বী হতে পারে, সেই ব্যাপারেই গাইডলাইন দেয়ার চেষ্টা করছি পুরো বইটাতে।

আমরা সবাই ফেসবুক ব্যবহারটা জানি। এখানে আর কিছু বিষয় জেনে নিলে ফেসবুক থেকে মাসে ভালো একটা ইনকাম করা সম্ভব। আগে জেনে নেই, ফেসবুক ব্যবহার জেনেই কীভাবে ইনকাম করতে পারবেন?

১) এফ-কমার্স:

ফেসবুকে পেজ খুলেই বাংলাদেশে ই-কমার্স ব্যবসা করা যায়। যেটা ইদানীং সবাই ফেসবুকে দেখছেন। যারা এভাবে কাজ করছেন, যারা এভাবে কাজ করছেন, তাদের মাসিক আয় হচ্ছে ১০,০০০ টাকা – ৩০,০০০ টাকা। কারও কারও ভালো ইনভেস্ট থাকার কারণে আরও বেশি ইনকাম হচ্ছে। সেটা ১ লাখ থেকে ২ লাখও হতে পারে।

প্রোডাক্ট: শাড়ি, মেয়েদের ড্রেস, গিফট আইটেম ইত্যাদি।

চ্যালেঞ্জ: ছোট ইনভেস্ট, প্রোডাক্ট সিলেক্ট, প্রোডাক্ট ডেলিভারি, মার্কেটিং

২) টি-শার্ট অ্যাফিলিয়েশন:

বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয় ইনকাম সোর্স হচ্ছে টি-শার্ট অ্যাফিলিয়েশন। এ অ্যাফিলিয়েশনের জন্য শুধুমাত্র ফেসবুককেই ব্যবহার করা হয়। এভাবে মাসে ১০,০০০ টাকা থেকে ১ লাখ টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

প্রোডাক্ট: টি-শার্ট, মগ, হুডি ইত্যাদি

চ্যালেঞ্জ: নিশ সিলেক্ট, অডিয়েন্স টার্গেট, মার্কেটিং

৩) হোস্টিং অ্যাফিলিয়েশন:

হোস্টিং অ্যাফিলিয়েশনের জন্য শুধুমাত্র ফেসবুক মার্কেটিং করে ইনকাম করা যায়। ইনকাম কয়টা সেল করেছেন, সেই অনুযায়ী বাড়তে থাকে। ইনকাম মাসে ৫০০০ টাকা – ৮০,০০০ টাকা হতে পারে। তবে হোস্টিং অ্যাফিলিয়েশনকে ক্যারিয়ার হিসেবে নেয়া সম্ভব না। কারণ নিয়মিত ইনকাম সম্ভব হবে না।

প্রোডাক্ট: বিভিন্ন কোম্পানির হোস্টিং

চ্যালেঞ্জ: কনটেন্ট ডেভেলপ, সম্ভাব্য কাস্টমার খুঁজে বের করা, মার্কেটিং

৪) লোকাল ব্যবসা:

লোকাল যে কোন ব্যবসার প্রফিট বৃদ্ধির জন্য এখন ফেসবুক মার্কেটিংকে সবাই ব্যবহার করছে। রেস্টুরেন্ট ব্যবসা, ফ্যাশন হাউস থেকে শুরু করে আরও অন্যান্য ব্যবসাতেও ফেসবুকে মার্কেটিং করেই ইনকাম বৃদ্ধি করতে হয়।

প্রোডাক্ট: সার্ভিস, ট্রেনিং, প্রোডাক্ট ইত্যাদি

চ্যালেঞ্জ: ইনভেস্ট, প্রোডাক্ট বাছাই, দক্ষ ব্যক্তি, মার্কেটিং

৫) লোকাল চাকরি:

যে কোনো ব্যবসাতে যেহেতু ফেসবুক মার্কেটিং এখন বড় একটি ফ্যাক্ট। সুতরাং, প্রতিটা প্রতিষ্ঠানে এ কাজটি করার জন্য ফেসবুক মার্কেটিংয়ের এক্সপার্ট লোকজনের চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের বাজারে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা বেতনে এ সেক্টরে চাকরিতে নিচ্ছে।

প্রোডাক্ট: সার্ভিস, ট্রেনিং, প্রোডাক্ট ইত্যাদি

চ্যালেঞ্জ: রিয়েল কাজের অভিজ্ঞতা, ব্যবসাতে প্রফিট বৃদ্ধি করা

৬) সাইটে ট্রাফিক আর সেখান থেকে অ্যাডসেন্স:

একটা সাইটে যত বেশি ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারবেন, তত সাইটের অ্যাডভার্টাইজ থেকে ইনকাম বৃদ্ধি পাবে। ইনকাম ৫ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ হতে পারে।

প্রোডাক্ট: একটা ব্লগ সাইট

চ্যালেঞ্জ: নিশ সিলেকশন, সাইট প্রস্তুত, কনটেন্ট ডেভেলপ, মার্কেটিং

৭) নিজের দক্ষতাকে ব্রান্ডিং:

আপনি যদি নিজেকে দক্ষ মনে করেন, কিন্তু কোথাও তারপরও চাকরি হচ্ছে না, তাহলে সেক্ষেত্রে বলব, আপনি আপনার দক্ষতাকে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রমোশন চালান। তাহলে ফেসবুকের মাধ্যমেই অনেকে দক্ষতার ব্যাপারে জানতে পারলে আপনার কাজের অভাব হবে না। কাজ আপনাকে খুঁজে বের করবে। তখন কাজ করে শেষ করতে পারবেন না।

প্রোডাক্ট: নিজের দক্ষতা

চ্যালেঞ্জ: কনটেন্ট ডেভেলপ, দক্ষতা সম্পর্কিত গ্রুপগুলোতে অ্যাক্টিভ থাকা, মার্কেটিং

৮) ফাইভারের গিগ সেল বৃদ্ধি:

ফাইভারে গিগের যত বেশি প্রমোশন চালাবেন, ততই গিগ সেল বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু ফেসবুক প্রমোশন চালাতেও সঠিক জ্ঞান থাকতে হবে। সঠিক জ্ঞান ছাড়া গিগ প্রমোশন চালালে ফাইভারে ইনকাম বাড়বে, উল্টো ফাইভার অ্যাকাউন্টটাই নষ্ট হয়ে যাবে।

প্রোডাক্ট: ফাইভার গিগ

চ্যালেঞ্জ: অডিয়েন্স টার্গেট করতে পারা, কনটেন্ট ডেভেলপ করতে পারা, মার্কেটিং

৯) মার্কেটপ্লেসে কাজ:

ফেসবুক যেহেতু মার্কেটিংয়ের অনেক বড় প্ল্যাটফর্ম, সেহেতু মার্কেটপ্লেসে এখন প্রচুর কাজ পাওয়া যাচ্ছে এ সম্পর্কিত। মাসে ৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন।

প্রোডাক্ট: বায়ার রিকোয়েরমেন্ট অনুযায়ী সার্ভিস

চ্যালেঞ্জ: কাজের পূর্বঅভিজ্ঞতার প্রমাণ, বায়ার কনভেন্স করতে পারা এবং রিপোর্টিং।

ফেসবুক থেকেই আয়-রোজগার: পর্ব-১  || Earn Money from Facebook- Bangla Tutorial Part-1


লেখক: মো. ইকরাম, পরিচালক, নেক্সাস আইটি।

Thursday, October 11, 2018

Bangladesh Bank Job Circular 2018 | ৭ ব্যাংকে ও ২ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ১ হাজার ৯২৯ জন নিয়োগ

Bangladesh Bank Job Circular 2018 | ৭ ব্যাংকে ও ২ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ১ হাজার ৯২৯ জন নিয়োগ


সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, জনতা ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড, কর্মসংস্থান ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা (সাধারণ) পদে যথাক্রমে ২৬০, ৪০০, ৩৯৭, ১২, ১০৭, ৩৬, ৫ ও ১২ জনসহ ১ হাজার ২২৯ জনকে নিয়োগ করা হবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক তাঁদের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটি https://erecruitment.bb.org.bd/onlineapp/joblist.php এই লিংক থেকে ডাউনলোড করা যাবে। এসব পদে ইতিমধ্যে অনলাইনে আবেদন শুরু হয়ে গেছে। আবেদন করা যাবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। এ ছাড়া পূবালী ব্যাংকের দুই পদে ৭০০ জন লোক নেওয়ার আলাদা দুটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

আবেদনের যোগ্যতা:

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই পদে আবেদন করতে হলে শিক্ষাগত যোগ্যতা কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বা চার বছর মেয়াদি স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি পাস হতে হবে। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান এবং তদূর্ধ্ব পর্যায়ের পরীক্ষাসমূহে ন্যূনতম দুটিতে প্রথম বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে। কোনো পর্যায়েই তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি/সমমানের গ্রেড পয়েন্ট গ্রহণযোগ্য হবে না। বয়স হতে হবে ১-১০-২০১৮ তারিখে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং প্রতিবন্ধী প্রার্থী ব্যতীত সব প্রার্থীর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ বছর। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়স সর্বোচ্চ ৩২ বছর।

আবেদনপদ্ধতি:

এসব পদে আবেদন করতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট (www.erecruitment.bb.org.bd) এ অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ফরম পূরণের মাধ্যমে। ফরম পূরণ করার নিয়ম ও অন্যান্য শর্তাবলি ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। অনলাইনে আবেদন করার পর প্রাপ্ত Tracking Number Form টি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। প্রার্থীদের প্রাথমিকভাবে কোনো কাগজপত্র প্রেরণ করতে হবে না। বিবাহিত নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে স্বামীর স্থায়ী ঠিকানা ব্যবহার করতে হবে। প্রার্থীদের ১০০ নম্বরের এমসিকিউ, ২০০ নম্বরের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।

বেতন ও সুবিধাদি:

চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা (সাধারণ) জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ২২ হাজার টাকা স্কেলে বেতন ও অন্যান্য সুবিধা পাবে।

পূবালী ব্যাংকে ২ পদে ৭০০ নিয়োগ:

দুই পদে ৭০০ জন লোক নেওয়ার আলাদা দুটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পূবালী ব্যাংক লিমিটেড। তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি থেকে এ নিয়োগের বিষয়টি জানা গেছে।
প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটিতে প্রবেশনারি জুনিয়র অফিসার পদে ২০০ জন এবং ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট জুনিয়র অফিসার (ক্যাশ) পদে ৫০০ জনকে নিয়োগ করা হবে। পদগুলোতে ইতিমধ্যে অনলাইনে আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। আবেদন করা যাবে আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত।

প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রবেশনারি জুনিয়র অফিসার পদের প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম দুটিতে প্রথম বিভাগ/শ্রেণি/সমমানের জিপিএসহ যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর পাস। অন্যদিকে, ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট জুনিয়র অফিসার (ক্যাশ) পদের প্রার্থীদের যোগ্যতা স্নাতক উত্তীর্ণ হতে হবে। উভয় পদের প্রার্থীদের শিক্ষাজীবনে কোনো তৃতীয় শ্রেণি বা সমমানের জিপিএ গ্রহণযোগ্য হবে না। বয়স হতে হবে ৩১ আগস্ট ২০১৮ তারিখে সর্বোচ্চ ৩০ বছর।

পদ দুটিতে আবেদনপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে অনলাইনে শুরু হয়ে গেছে। আগ্রহী প্রার্থীদের https://www.pubalibangla.com/career.asp এই ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য ও কাগজপত্র দিয়ে আবেদন করতে হবে।

চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রবেশনারি জুনিয়র অফিসার পদে প্রথম এক বছর প্রবেশনারি হিসেবে মাসিক ২৫ হাজার এবং ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট জুনিয়র অফিসার (ক্যাশ) পদে প্রবেশনারি হিসেবে প্রথম এক বছর মাসিক মাসিক ২০ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হবে। পরবর্তী সময়ে পদগুলোতে পদোন্নতি এবং সে অনুযায়ী বেতন–ভাতা দেওয়া হবে।
Bangladesh Bank Job Circular 2018 | ৭ ব্যাংকে ও ২ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ১ হাজার ৯২৯ জন নিয়োগ

Blog Archive