Ad 3

Education makes a door to bright future

University admission and others information,International Scholarships, Postgraduate Scholarships, College Scholarship, Study Abroad Financial Aid, Scholarship Search Center and Exam resources for PEC, JSC, SSC, HSC, Degree and Masters Examinees in Bangladesh with take from update sports News, Live score, statistics, Government, Private, current Job Circular take from this site

Education is a way to success in life

University admission and others information,International Scholarships, Postgraduate Scholarships, College Scholarship, Study Abroad Financial Aid, Scholarship Search Center and Exam resources for PEC, JSC, SSC, HSC, Degree and Masters Examinees in Bangladesh with take from update sports News, Live score, statistics, Government, Private, current Job Circular take from this site

Education is a best friend goes lifelong

University admission and others information,International Scholarships, Postgraduate Scholarships, College Scholarship, Study Abroad Financial Aid, Scholarship Search Center and Exam resources for PEC, JSC, SSC, HSC, Degree and Masters Examinees in Bangladesh with take from update sports News, Live score, statistics, Government, Private, current Job Circular take from this site

Education makes a person a responsible citizen

University admission and others information,International Scholarships, Postgraduate Scholarships, College Scholarship, Study Abroad Financial Aid, Scholarship Search Center and Exam resources for PEC, JSC, SSC, HSC, Degree and Masters Examinees in Bangladesh with take from update sports News, Live score, statistics, Government, Private, current Job Circular take from this site

Education is a key to the door of all the dreams

University admission and others information,International Scholarships, Postgraduate Scholarships, College Scholarship, Study Abroad Financial Aid, Scholarship Search Center and Exam resources for PEC, JSC, SSC, HSC, Degree and Masters Examinees in Bangladesh with take from update sports News, Live score, statistics, Government, Private, current Job Circular take from this site

Showing posts with label Tips. Show all posts
Showing posts with label Tips. Show all posts

Friday, April 16, 2021

প্রেমের কবিতা: সেরা ৩০টি ভালোবাসার কবিতা || বাংলা সেরা প্রেমের কবিতা সমগ্র || Best Romantic Bangla Premer Kobita

 প্রেমের কবিতা - প্রেম ও প্রেমের কবিতা পড়তে প্রতিটি মানুষই পছন্দ করেন । আপনি কি ইন্টারনেটে সেরা প্রেমের কবিতা ( Premer Kobita )  বা ভালোবাসার কবিতা (Valobashar Kobita ) খুঁজছেন ? তাহলে বলবো আপনার খোঁজ এখানে শেষ হতে পারে । কারন এই পোস্টে বং কানেকশনের তরফ থেকে রয়েছে বাংলার সেরা কবিদের সেরা কিছু ভালোবাসায় মাখানো সেরা প্রেমের কবিতা । ভালোবাসা আর প্রিয় ভালোবাসার মানুষটির  জন্য এই ভালোবাসার কবিতাগুলো আপনার প্রেমকে নিয়ে যাবে এক অন্য আঙ্গিকে ।

এখানে রয়েছে :-

বিবাহিতাকে - জয় গোস্বামী
কথা আছে - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
হঠাৎ দেখা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমার ভিতরে বাহিরে - রুদ্র শহীদুল্লাহ
প্রেমিক - জয় গোস্বামী
চন্দরীতি - মহাদেব সাহা
নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পাগলী তোমার সঙ্গে - জয় গোস্বামী
একবার ভালোবেসে দেখো - মহাদেব সাহা
প্রেমিক জনের চিঠি - শ্রীজাত
একটি মেয়ের জন্য - রুদ্র গোস্বামী
গোপন প্রিয়া - কাজী নজরুল ইসলাম
হৃদয়ের ঋণ - হেলাল হাফিজ
তুই কি আমার হবি - আনিসুল হক
তোকে নিয়ে এলোমেলো - হাবিব কাশফ
ভালোবাসি ভালোবাসি - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
তোমার চোখ এত লাল কেন ? - নির্মলেন্দু গুণ
আমি খুব অল্প কিছু চাই - হুমায়ুন আহমেদ
একবার তুমি - শক্তি চট্টোপাধ্যায়
যদি বাসোই - তসলিমা নাসরিন
আকাশলীনা - জীবনানন্দ দাশ
তুমি - রাজদ্বীপ দত্ত

                               

                                         বিবাহিতাকে
                                       – জয় গোস্বামী



কিন্তু ব্যাপারটা হচ্ছে, তুমি আমার সামনে দাড়ালেই আমি
তোমার ভিতরে একটা বুনো ঝোপ দেখতে পাই।
ওই ঝোপে একটা মৃতদেহ ঢাকা দেওয়া আছে।
অনেকদিন ধ’রে আছে। কিন্তু আশ্চর্য যে
এই মৃতদেহ জল, বাতাস, রৌদ্র ও সকলপ্রকার
কীট-বীজাণুকে প্রতিরোধ করতে পারে। এরপচন নেই।
বন্য প্রাণীরাও এর কাছে ঘেঁষে না।
রাতে আলো বেরোয় এর গা থেকে।
আমি জানি, মৃতদেহটা আমার।
কিন্তু ব্যাপারটা হচ্ছে, এই জারিজুরি এবার ফাঁস হওয়া প্রয়োজন।
আর তা হবেও, যেদিন চার পায়ে গুঁড়ি মেরেগিয়ে
পা কামড়ে ধ’রে, ওটাকে, ঝোপ থেকে
টেনে বার করব আমি।

            

                   কথা আছে

                         – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
 
 
বহুক্ষণ মুখোমুখি চুপচাপ, একবার চোখ তুলে সেতু
আবার আলাদা দৃষ্টি, টেবিলে রয়েছে শুয়ে
পুরোনো পত্রিকা
প্যান্টের নিচে চটি, ওপাশে শাড়ির পাড়ে
দুটি পা-ই ঢাকা
এপাশে বোতাম খোলা বুক, একদিন না-কামানো দাড়ি
ওপাশে এলো খোঁপা, ব্লাউজের নীচে কিছু
মসৃণ নগ্নতা
বাইরে পায়ের শব্দ, দূরে কাছে কারা যায়
কারা ফিরে আসে
বাতাস আসেনি আজ, রোদ গেছে বিদেশ ভ্রমণে।
আপাতত প্রকৃতির অনুকারী ওরা দুই মানুষ-মানুষী
দু‘খানি চেয়ারে স্তব্ধ, একজন জ্বলে সিগারেট
অন্যজন ঠোঁটে থেকে হাসিটুকু মুছেও মোছে না
আঙুলে চিকচিকে আংটি, চুলের কিনারে একটু ঘুম
ফের চোখ তুলে কিছু স্তব্ধতার বিনিময়,
সময় ভিখারী হয়ে ঘোরে
অথচ সময়ই জানে, কথা আছে, ঢের কথা আছে।
 
 
             হঠাৎ দেখা
              - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


রেলগাড়ির কামরায় হঠাৎ দেখা,
ভাবি নি সম্ভব হবে কোনোদিন।
আগে ওকে বারবার দেখেছি
লালরঙের শাড়িতে
দালিম ফুলের মতো রাঙা;
আজ পরেছে কালো রেশমের কাপড়,
আঁচল তুলেছে মাথায়
দোলনচাঁপার মতো চিকনগৌর মুখখানি ঘিরে।
মনে হল, কালো রঙে একটা গভীর দূরত্ব
ঘনিয়ে নিয়েছে নিজের চার দিকে,
যে দূরত্ব সর্ষেখেতের শেষ সীমানায়
শালবনের নীলাঞ্জনে।
থমকে গেল আমার সমস্ত মনটা;
চেনা লোককে দেখলেম অচেনার গাম্ভীর্যে।
হঠাৎ খবরের কাগজ ফেলে দিয়ে
আমাকে করলে নমস্কার।
সমাজবিধির পথ গেল খুলে,
আলাপ করলেম শুরু —
কেমন আছ, কেমন চলছে সংসার
ইত্যাদি।
সে রইল জানলার বাইরের দিকে চেয়ে
যেন কাছের দিনের ছোঁয়াচ-পার-হওয়া চাহনিতে।
দিলে অত্যন্ত ছোটো দুটো-একটা জবাব,
কোনোটা বা দিলেই না।
বুঝিয়ে দিলে হাতের অস্থিরতায় —
কেন এ-সব কথা,
এর চেয়ে অনেক ভালো চুপ করে থাকা।
আমি ছিলেম অন্য বেঞ্চিতে
ওর সাথিদের সঙ্গে।
এক সময়ে আঙুল নেড়ে জানালে কাছে আসতে।
মনে হল কম সাহস নয়;
বসলুম ওর এক-বেঞ্চিতে।
গাড়ির আওয়াজের আড়ালে
বললে মৃদুস্বরে,
“কিছু মনে কোরো না,
সময় কোথা সময় নষ্ট করবার।
আমাকে নামতে হবে পরের স্টেশনেই;
দূরে যাবে তুমি,
দেখা হবে না আর কোনোদিনই।
তাই যে প্রশ্নটার জবাব এতকাল থেমে আছে,
শুনব তোমার মুখে।
সত্য করে বলবে তো?
আমি বললেম, “বলব।”
বাইরের আকাশের দিকে তাকিয়েই শুধোল,
“আমাদের গেছে যে দিন
একেবারেই কি গেছে,
কিছুই কি নেই বাকি।”
একটুকু রইলেম চুপ করে;
তারপর বললেম,
“রাতের সব তারাই আছে
দিনের আলোর গভীরে।”
খটকা লাগল, কী জানি বানিয়ে বললেম না কি।
ও বললে, “থাক্‌, এখন যাও ও দিকে।”
সবাই নেমে গেল পরের স্টেশনে;
আমি চললেম একা।


আমার ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে
                 – রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ


আমার ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে ,
আছো তুমি হৃদয় জুড়ে।

ঢেকে রাখে যেমন কুসুম, পাপড়ির আবডালে ফসলের ঘুম।
তেমনি তোমার নিবিঢ় চলা, মরমের মূল পথ ধরে।

পুষে রাখে যেমন ঝিনুক , খোলসের আবরণে মুক্তোর সুখ।
তেমনি তোমার গভীর ছোঁয়া, ভিতরের নীল বন্দরে।

ভাল আছি ভাল থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো।
দিয়ো তোমার মালাখানি, বাউলের এই মনটারে।
আমার ভিতরে বাহিরে………

Valobasar Kobita


                          প্রেমিক 
                                 – জয় গোস্বামী

তুমি আমাকে মেঘ ডাকবার যে বইটা দিয়েছিলে একদিন
আজ খুলতেই দেখি তার মধ্যে এক কোমর জল।
পরের পাতায় গিয়ে সে এক নদীর অংশ হয়ে দূরে বেঁকে
গেছে।

আমাকে তুমি উদ্ভিদ ভরা যে বইটা দিয়েছিলে
আজ সেখানে এক পা-ও এগোনো যাচ্ছে না, এত জঙ্গল।
গাছগুলো এত বড় হয়েছে যে মাটিতে আলো আসতে
দিচ্ছে না।

তুমি আমাকে ঝর্ণা শেখবার যে বইটা দিয়েছিলে
আজ সেখানে মস্ত এক জলপ্রপাত লাফিয়ে পড়ছে
সারাদিন।

এমনকি তোমার দেওয়া পেজ-মার্কের সাদা পালকটাও
যে বইতে রেখেছিলাম, সেখানে আজ
কত সব পাখি উড়ছে, বসছে, সাঁতার কাটছে।
তোমার দেওয়া সব বই এখন মরুভূমি আর পর্বতমালা,
সব বই আজ সূর্য, সব বই দিগন্ত …

অথচ আজকেই যে আমার লাইব্রেরি দেখতে আসছে বন্ধুরা
আমার পড়াশোনা আছে কিনা জানার জন্য! তাদের আমি
কী দেখাবো? তাদের সামনে কোন মুখে দাঁড়াবো আমি!

তুমি আমাকে ঝর্ণা শেখবার যে বইটা দিয়েছিলে
আজ সেখানে মস্ত এক জলপ্রপাত লাফিয়ে পড়ছে
সারাদিন।

এমনকি তোমার দেওয়া পেজ-মার্কের সাদা পালকটাও
যে বইতে রেখেছিলাম, সেখানে আজ
কত সব পাখি উড়ছে, বসছে, সাঁতার কাটছে।
তোমার দেওয়া সব বই এখন মরুভূমি আর পর্বতমালা,
সব বই আজ সূর্য, সব বই দিগন্ত …

অথচ আজকেই যে আমার লাইব্রেরি দেখতে আসছে বন্ধুরা
আমার পড়াশোনা আছে কিনা জানার জন্য! তাদের আমি
কী দেখাবো? তাদের সামনে কোন মুখে দাঁড়াবো আমি!


        ছন্দরীতি
            – মহাদেব সাহা

তোমাদের কথায় কথায় এতো ব্যকরণ
তোমাদের উঠতে বসতে এতো অভিধান,
কিন্তু চঞ্চল ঝর্ণার কোনো ব্যাকরণ নেই
আকাশের কোনো অভিধান নেই, সমুদ্রের নেই।
ভালোবাসা ব্যাকরণ মানে না কখনো
হৃদয়ের চেয়ে বড়ো কোনো সংবিধান নেই
হৃদয় যা পারে তা জাতিসঙ্ঘ পারে না
গোলাপ ফোটে না কোনো ব্যাকরণ বুঝে।
প্রেমিক কি ছন্দ পড়ে সম্বোধন করে?
নদী চিরছন্দময়, কিন্তু সে কি ছন্দ কিছু জানে,
পাখি গান করে কোন ব্যাকরণ মেনে?
তোমারাই বলো শুধু ব্যাকরণ, শুধু অভিধান!
বলো প্রেমের কি শুদ্ধ বই, শুদ্ধ ব্যাকরণ
কেউ কি কখনো সঠিক বানান খোঁজে প্রেমের চিঠিতে
কেউ কি জানতে চায় প্রেমালাপ স্বরে না মাত্রায়?
নীরব চুম্বনই জানি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ছন্দরীতি।


 
নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে
                  – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে
রয়েছ নয়নে নয়নে,
হৃদয় তোমারে পায় না জানিতে
হৃদয়ে রয়েছ গোপনে।

বাসনা বসে মন অবিরত,
ধায় দশ দিশে পাগলের মতো।
স্থির আঁখি তুমি ক্ষরণে শতত
জাগিছ শয়নে স্বপনে।

সবাই ছেড়েছে নাই যার কেহ
তুমি আছ তার আছে তব কেহ
নিরাশ্রয় জন পথ যার যেও
সেও আছে তব ভবনে।

তুমি ছাড়া কেহ সাথি নাই আর
সমুখে অনন্ত জীবন বিস্তার,
কাল পারাপার করিতেছ পার
কেহ নাহি জানে কেমনে।

জানি শুধু তুমি আছ তাই আছি
তুমি প্রাণময় তাই আমি বাঁচি,
যতো পাই তোমায় আরো ততো যাচি
যতো জানি ততো জানি নে।

জানি আমি তোমায় পাবো নিরন্তন
লোক লোকান্তরে যুগ যুগান্তর
তুমি আর আমি, মাঝে কেহ নাই
কোনো বাঁধা নাই ভুবনে।

নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে
রয়েছ নয়নে নয়নে।
 

      পাগলী, তোমার সঙ্গে
                          – জয় গোস্বামী


পাগলী, তোমার সঙ্গে ভয়াবহ জীবন কাটাব
পাগলী, তোমার সঙ্গে ধুলোবালি কাটাব জীবন
এর চোখে ধাঁধা করব, ওর জল করে দেব কাদা
পাগলী, তোমার সঙ্গে ঢেউ খেলতে যাব দু’কদম।

অশান্তি চরমে তুলব, কাকচিল বসবে না বাড়িতে
তুমি ছুঁড়বে থালা বাটি, আমি ভাঙব কাঁচের বাসন
পাগলী, তোমার সঙ্গে বঙ্গভঙ্গ জীবন কাটাব
পাগলী, তোমার সঙ্গে ৪২ কাটাব জীবন।

মেঘে মেঘে বেলা বাড়বে, ধনে পুত্রে লক্ষ্মী লোকসান
লোকাসান পুষিয়ে তুমি রাঁধবে মায়া প্রপন্ঞ্চ ব্যন্জ্ঞন
পাগলী, তোমার সঙ্গে দশকর্ম জীবন কাটাব
পাগলী, তোমার সঙ্গে দিবানিদ্রা কাটাব জীবন।

পাগলী, তোমার সঙ্গে ঝোলভাত জীবন কাটাব
পাগলী, তোমার সঙ্গে মাংসরুটি কাটাব জীবন
পাগলী, তোমার সঙ্গে নিরক্ষর জীবন কাটাব
পাগলী, তোমার সঙ্গে চার অক্ষর কাটাব জীবন।

পাগলী, তোমার সঙ্গে বই দেখব প্যারামাউন্ট হলে
মাঝে মাঝে মুখ বদলে একাডেমি রবীন্দ্রসদন
পাগলী, তোমার সঙ্গে নাইট্যশালা জীবন কাটাব
পাগলী, তোমার সঙ্গে কলাকেন্দ্র কাটাব জীবন।

পাগলী, তোমার সঙ্গে বাবুঘাট জীবন কাটাব
পাগলী, তোমার সঙ্গে দেশপ্রিয় কাটাব জীবন
পাগলী, তোমার সঙ্গে সদা সত্য জীবন কাটাব
পাগলী, তোমার সঙ্গে ‘কী মিথ্যুক’ কাটাব জীবন।

এক হাতে উপায় করব, দুহাতে উড়িয়ে দেবে তুমি
রেস খেলব জুয়া ধরব ধারে কাটাব সহস্র রকম
লটারি, তোমার সঙ্গে ধনলক্ষ্মী জীবন কাটাব
লটারি, তোমার সঙ্গে মেঘধন কাটাব জীবন।

দেখতে দেখতে পুজো আসবে, দুনিয়া চিত্‍কার করবে সেল
দোকানে দোকানে খুঁজব রূপসাগরে অরূপরতন
পাগলী, তোমার সঙ্গে পুজোসংখ্যা জীবন কাটাব
পাগলী, তোমার সঙ্গে রিডাকশনে কাটাব জীবন।

পাগলী, তোমার সঙ্গে কাঁচা প্রুফ জীবন কাটাব
পাগলী, তোমার সঙ্গে ফুলপেজ কাটাব জীবন
পাগলী, তোমার সঙ্গে লে আউট জীবন কাটাব
পাগলী, তোমার সঙ্গে লে হালুয়া কাটাব জীবন।

কবিত্ব ফুড়ুত্‍ করবে, পিছু পিছু ছুটব না হা করে
বাড়ি ফিরে লিখে ফেলব বড়ো গল্প উপন্যাসোপম
পাগলী, তোমার সঙ্গে কথাশিল্প জীবন কাটাব
পাগলী, তোমার সঙ্গে বকবকম কাটাব জীবন।

নতুন মেয়ের সঙ্গে দেখা করব লুকিয়ে চুরিয়ে
ধরা পড়ব তোমার হাতে, বাড়ি ফিরে হেনস্তা চরম
পাগলী, তোমার সঙ্গে ভ্যাবাচ্যাকা জীবন কাটাব
পাগলী, তোমার সঙ্গে হেস্তনেস্ত কাটাব জীবন।

পাগলী, তোমার সঙ্গে পাপবিদ্ধ জীবন কাটাব
পাগলী, তোমার সঙ্গে ধর্মমতে কাটাব জীবন
পাগলী, তোমার সঙ্গে পুজা বেদি জীবন কাটাব
পাগলী, তোমার সঙ্গে মধুমালা কাটাব জীবন।

দোঁহে মিলে টিভি দেখব, হাত দেখাতে যাব জ্যোতিষীকে
একুশটা উপোস থাকবে, ছাব্বিশটা ব্রত উদযাপন
পাগলী, তোমার সঙ্গে ভাড়া বাড়ি জীবন কাটাব
পাগলী, তোমার সঙ্গে নিজ ফ্ল্যাট কাটাব জীবন।

পাগলী, তোমার সঙ্গে শ্যাওড়াফুলি জীবন কাটাব
পাগলী, তোমার সঙ্গে শ্যামনগর কাটাব জীবন
পাগলী, তোমার সঙ্গে রেল রোকো জীবন কাটাব
পাগলী, তোমার সঙ্গে লেট স্লিপ কাটাব জীবন।

পাগলী, তোমার সঙ্গে আশাপূর্ণা জীবন কাটাব
আমি কিনব ফুল, তুমি ঘর সাজাবে যাবজ্জীবন
পাগলী, তোমার সঙ্গে জয় জওয়ান জীবন কাটাব
পাগলী, তোমার সঙ্গে জয় কিষান কাটাব জীবন।

সন্ধেবেলা ঝগড়া হবে, হবে দুই বিছানা আলাদা
হপ্তা হপ্তা কথা বন্ধ মধ্যরাতে আচমকা মিলন
পাগলী, তোমার সঙ্গে ব্রক্ষ্মচারী জীবন কাটাব
পাগলী, তোমার সঙ্গে আদম ইভ কাটাব জীবন।

পাগলী, তোমার সঙ্গে রামরাজ্য জীবন কাটাব
পাগলী, তোমার সঙ্গে প্রজাতন্ত্রী কাটাব জীবন
পাগলী, তোমার সঙ্গে ছাল চামড়া জীবন কাটাব
পাগলী, তোমার সঙ্গে দাঁতে দাঁত কাটাব জীবন।

এর গায়ে কনুই মারব রাস্তা করব ওকে ধাক্কা দিয়ে
এটা ভাঙলে ওটা গড়ব, ঢেউ খেলব দু দশ কদম
পাগলী, তোমার সঙ্গে ধুলোঝড় জীবন কাটাব
পাগলী, তোমার সঙ্গে ‘ভোর ভয়োঁ’ কাটাব জীবন।

  একবার ভালোবেসে দেখো
                    – মহাদেব সাহা

তুমি যদি আমাকে না ভালোবাসো আর
এই মুখে কবিতা ফুটবে না,
এই কণ্ঠ আবৃতি করবে না কোনো প্রিয় পঙ্‌ক্তিমালা
তাহলে শুকিয়ে যাবে সব আবেগের নদী।
আমি আর পারবো না লিখতে তাহলে
অনবদ্য একটি চরণ, একটিও ইমেজ হবে না রচিত,
তুমি যদি আমাকে না ভালোবাসো তবে
কবিতার পান্ডুলিপি জুড়ে দেখা দেবে ঘুরে ঘুরে অনাবৃষ্টি, খরা।
তুমি যদি না তাকাও এই চোখ দেখবে না কিছু
উজ্জ্বল আলোর ভোর ঘন অন্ধকারে ঢেকে যাবে,
সন্ধ্যাতারা মনে হবে মৃত নিষ্পলক চোখ
যদি ফিরে না তাকাও মর্মে আর পল্লবিত হবে না কবিতা।
তুমি যদি না দাও চুম্বন এই মুখে ফুটবে না ভাষা
মরা গাঙে জাগবে না ঢেউ, দুই তীরে প্রাণের স্পন্দন,
হবে না শস্যের মাঠে শ্রাবণের ব্যাপক বর্ষণ
হৃদয়ে হৃদয়ে আর অঙ্কুরিত হবে না কবিতা, বাজবে না গান।
তুমি যদি আমাকে না ভালোবাসো আর
প্রকৃতই আমি আগের মতন পারবো না লিখতে কবিতা
আমার আঙুলে আর খেলবে না জাদুর ঝিলিক,
এই শাদা পৃষ্ঠা জুড়ে ফুটবে না জুঁই আর চাঁপা।
একবার ভালোবেসে দেখো, একবার কাছে ডেকে দেখো
আবার আগের মতো কীভাবে ফুটাই এক লক্ষ একটি গোলাপ
অনায়াসে কীভাবে আবার অনুভূতি করি সঞ্চারিত,
একবার ভালোসেবে দেখো আবার কীভাবে লিখি দুহাতে কবিতা।


    প্রেমিক জনের চিঠি 
                               – শ্রীজাত

ওই কথা কি এভাবে কেউ বলতে পারে?
হঠাৎ করে, সিড়ির বাঁকে, অন্ধকারে

নিশ্বাস নাক গন্ধ পোহায়, চনমিয়া…
ঘুপচি মতাে মুঠোর ভেতর একলা টিয়া

ছটফটাচ্ছে দেখতে পাচ্ছি। চাই না উড়ান?
ঠাকুর ঘরের চাল থেকে পাহাড়চূড়া?

ঠোটের উপর ঘাম মুছে নাও। ডাকছে নীচে।
নখের ঘরে কেটেছে হাত, ওষুধ মিছে।

বুকটুকুনির ওঠানামায় ধুকপুকুনি
জড়িয়ে নেওয়ার মন হলে কে ছাড়ত শুনি?

কিন্তু এখন সবটা ইচ্ছে করছে না যে
হয়তো হঠাৎ উড়ে টিয়া, ভিড়ের মাঝে…

এইটুকু তো অতৃপ্তি দাও প্রেমিক জনে,
একটা চুমু না-খাওয়া থাক, এই জীবনে!



     একটি মেয়ের জন্য
              – রুদ্র গোস্বামী

একা ফুটপাথ
আলো ককটেল
ভিজে নাগরিক রাত পদ্য।

তুই হেঁটে যাস
কাঁচ কুয়াশায়
জল ভ্রূণ ভাঙা চাঁদ সদ্য।

আমি প্রশ্ন
তুই বিস্ময়
চোখ চশমার নীচে বন্ধ।

ঠোঁট নির্বাক
চাওয়া বন্য
আমি ভুলে যাই দ্বিধা দ্বন্দ্ব।

জাগা রাত্রি
ঘুম পস্তায়
মোড়া রূপকথা পিচ রাস্তা

পোষা স্বপ্ন
ছিঁড়ে ছারখার
প্রিয় রিংটোন লাগে সস্তা।

তুই সত্যি
আরও সত্যি
তুই শিশিরের কুঁড়ি পদ্ম।

বাকি মিথ্যে
সব মিথ্যে
চেনা চার দেয়ালের গদ্য।

                  গোপন প্রিয়া 

                      – কাজী নজরুল ইসলাম

পাইনি ব’লে আজো তোমায় বাসছি ভালো, রাণি,
মধ্যে সাগর, এ-পার ও-পার করছি কানাকানি!
আমি এ-পার, তুমি ও-পার,
মধ্যে কাঁদে বাধার পাথার
ও-পার হ’তে ছায়া-তরু দাও তুমি হাত্‌ছানি,
আমি মরু, পাইনে তোমার ছায়ার ছোঁওয়াখানি।

নাম-শোনা দুই বন্ধু মোরা, হয়নি পরিচয়!
আমার বুকে কাঁদছে আশা, তোমার বুকে ভয়!
এই-পারী ঢেউ বাদল-বায়ে
আছড়ে পড়ে তোমার পায়ে,
আমার ঢেউ-এর দোলায় তোমার ক’রলো না কূল ক্ষয়,
কূল ভেঙেছে আমার ধারে-তোমার ধারে নয়!

চেনার বন্ধু, পেলাম না ক’ জানার অবসর।
গানের পাখী ব’সেছিলাম দু’দিন শাখার’ পর।
গান ফুরালো যাব যবে
গানের কথাই মনে রবে,
পাখী তখন থাকবো না ক’-থাকবে পাখীর ঘর,
উড়ব আমি,-কাঁদবে তুমি ব্যথার বালুচর!

তোমার পারে বাজল কখন আমার পারের ঢেউ,
অজানিতা! কেউ জানে না, জানবে না ক’ কেউ।
উড়তে গিয়ে পাখা হ’তে
একটি পালক প’ড়লে পথে
ভুলে’ প্রিয় তুলে যেন খোঁপায় গুঁজে নেও!
ভয় কি সখি? আপনি তুমি ফেলবে খুলে এ-ও!

বর্ষা-ঝরা এমনি প্রাতে আমার মত কি
ঝুরবে তুমি একলা মনে, বনের কেতকী?
মনের মনে নিশীথ-রাতে
চুমু দেবে কি কল্পনাতে?
স্বপ্ন দেখে উঠবে জেগে, ভাববে কত কি!
মেঘের সাথে কাঁদবে তুমি, আমার চাতকী!

দূরের প্রিয়া! পাইনি তোমায় তাই এ কাঁদন-রোল!
কূল মেলে না,-তাই দরিয়ায় উঠতেছে ঢেউ-দোল!
তোমায় পেলে থামত বাঁশী,
আসত মরণ সর্বনাশী।
পাইনি ক’ তাই ভ’রে আছে আমার বুকের কোল।
বেণুর হিয়া শূন্য ব’লে উঠবে বাঁশীর বোল।

বন্ধু, তুমি হাতের-কাছের সাথের-সাথী নও,
দূরে যত রও এ হিয়ার তত নিকট হও।
থাকবে তুমি ছায়ার সাথে
মায়ার মত চাঁদনী রাতে!
যত গোপন তত মধুর-নাই বা কথা কও!
শয়ন-সাথে রও না তুমি নয়ন-পাতে রও!

ওগো আমার আড়াল-থাকা ওগো স্বপন-চোর!
তুমি আছ আমি আছি এই তো খুশি মোর।
কোথায় আছ কেমনে রাণি
কাজ কি খোঁজে, নাই বা জানি!
ভালোবাসি এই আনন্দে আপনি আছি ভোর!
চাই না জাগা, থাকুক চোখে এমনি ঘুমের ঘোর!

রাত্রে যখন এক্‌লা শোব-চাইবে তোমার বুক,
নিবিড়-ঘন হবে যখন একলা থাকার দুখ,
দুখের সুরায় মস্ত্‌ হ’য়ে
থাকবে এ-প্রাণ তোমায় ল’য়ে,
কল্পনাতে আঁকব তোমার চাঁদ-চুয়ানো মুখ!
ঘুমে জাগায় জড়িয়ে র’বে, সেই তো চরম সুখ!

গাইব আমি, দূরের থেকে শুনবে তুমি গান।
থামবে আমি-গান গাওয়াবে তোমার অভিমান!
শিল্পী আমি, আমি কবি,
তুমি আমার আঁকা ছবি,
আমার লেখা কাব্য তুমি, আমার রচা গান।
চাইব না ক’, পরান ভ’রে ক’রে যাব দান।

তোমার বুকে স্থান কোথা গো এ দূর-বিরহীর,
কাজ কি জেনে?- তল কেবা পায় অতল জলধির।
গোপন তুমি আসলে নেমে
কাব্যে আমার, আমার প্রেমে,
এই-সে সুখে থাকবে বেঁচে, কাজ কি দেখে তীর?
দূরের পাখী-গান গেয়ে যাই, না-ই বাঁধিলাম নীড়!

বিদায় যেদিন নেবো সেদিন নাই-বা পেলাম দান,
মনে আমায় ক’রবে না ক’-সেই তো মনে স্থান!
যে-দিন আমায় ভুলতে গিয়ে
করবে মনে, সে-দিন প্রিয়ে
ভোলার মাঝে উঠবে বেঁচে, সেই তো আমার প্রাণ!
নাই বা পেলাম, চেয়ে গেলাম, গেলে গেলাম গান!

        হৃদয়ের ঋণ
              – হেলাল হাফিজ

আমার জীবন ভালোবাসাহীন গেলে
কলঙ্ক হবে কলঙ্ক হবে তোর,
খুব সামান্য হৃদয়ের ঋণ পেলে
বেদনাকে নিয়ে সচ্ছলতার ঘর

বাঁধবো নিমেষে। শর্তবিহীন হাত
গচ্ছিত রেখে লাজুক দু’হাতে আমি
কাটাবো উজাড় যুগলবন্দী হাত
অযুত স্বপ্নে। শুনেছি জীবন দামী,

একবার আসে, তাকে ভালোবেসে যদি
অমার্জনীয় অপরাধ হয় হোক,
ইতিহাস দেবে অমরতা নিরবধি
আয় মেয়ে গড়ি চারু আনন্দলোক।

দেখবো দেখাবো পরস্পরকে খুলে
যতো সুখ আর দুঃখের সব দাগ,
আয় না পাষাণী একবার পথ ভুলে
পরীক্ষা হোক কার কতো অনুরাগ।
 

   তুই কি আমার দুঃখ হবি 
                  – আনিসুল হক


তুই কি আমার দুঃখ হবি?
এই আমি এক উড়নচন্ডী আউলা বাউল
রুখো চুলে পথের ধুলো
চোখের নীচে কালো ছায়া।
সেইখানে তুই রাত বিরেতে স্পর্শ দিবি।
তুই কি আমার দুঃখ হবি?

তুই কি আমার শুষ্ক চোখে অশ্রু হবি?
মধ্যরাতে বেজে ওঠা টেলিফোনের ধ্বনি হবি?
তুই কি আমার খাঁ খাঁ দুপুর
নির্জনতা ভেঙে দিয়ে
ডাকপিয়নের নিষ্ঠ হাতে
ক্রমাগত নড়তে থাকা দরজাময় কড়া হবি?
একটি নীলাভ এনভেলাপে পুরে রাখা
কেমন যেন বিষাদ হবি।

তুই কি আমার শুন্য বুকে
দীর্ঘশ্বাসের বকুল হবি?
নরম হাতের ছোঁয়া হবি?
একটুখানি কষ্ট দিবি।
নিজের ঠোট কামড়ে ধরা রোদন হবি?
একটুখানি কষ্ট দিবি।
প্রতীক্ষার এই দীর্ঘ হলুদ বিকেল বেলায়
কথা দিয়েও না রাখা এক কথা হবি?
একটুখানি কষ্ট দিবি।

তুই কি একা আমার হবি?
তুই কি আমার একান্ত এক দুঃখ হবি?


      তোকে নিয়ে এলোমেলো 
                               – হাবীব কাশফ

নিঃসঙ্গতার সাথে সখ্য গড়েছিলাম ভালোই,
তারপর…

চোখে মোটা গ্লাসের চশমা
রুক্ষ চুলের লুকোচুরি
আর তার বন্য হাসির উচ্ছলতা,
ভেবেছিলাম তোকে নিয়ে লিখবো কবিতা,
এলোমেলো বন্য কবিতা।

আগুনঝরা ফাগুনে ঝাপসা চোখে
বাসন্তি শাড়ি জড়িয়ে খুজেছিলি আমাকে
হাজারো ভীড়ের মাঝে,
রঙ্গিন বৈশাখের তপ্ত রৌদ্দুরের নিঃস্বঙ্গতায়
হারিয়ে ফেলেছি তোকে
হাজারো রঙের ভীড়ে,
ভেবেছিলাম তোকে নিয়ে লিখবো আরো একটি কবিতা
এলোমেলো রঙ্গিন কবিতা।

তোর আঙ্গুলের ফাঁকে আঙ্গুল জড়িয়ে
ইচ্ছে ছিলো কাটাবো কতো অলস দুপুর,
তুই চেয়েরবি আমার চোখে
মোটা গ্লাসের চশমার ফাকে,
ভেবেছিলাম তোকে নিয়ে লিখবো একটি কবিতা
এলোমেলো অলস দুপুরের কবিতা।

একটি বর্ষা পেরিয়ে যায়
অঝোর বর্ষনে বিষন্নতার চাদর হয়ে,
শরতের স্নিগ্ধ বিকেলে
হাটবো কি দুজন আবারো একই ধারে?

অচেনা পথের ধুলো মাড়িয়ে
আঙ্গুলের ফাকে আঙ্গুল জড়িয়ে,
সেই মোটা গ্লাসের চশমা চোখে
পাড় হবে কতো শত গোধূলী বেলা।
ভেবেছিলাম তোকে নিয়ে লিখবো গোধুলি মাখা একটি কবিতা,

শত শত কবিতা
এলোমেলো কবিতা
কিছু তুচ্ছ কবিতা।
 

  ভালোবাসি, ভালোবাসি
             – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

ধরো কাল তোমার পরীক্ষা,
রাত জেগে পড়ার
টেবিলে বসে আছ,
ঘুম আসছে না তোমার
হঠাত করে ভয়ার্ত কন্ঠে উঠে আমি বললাম-
ভালবাসো?
তুমি কি রাগ করবে?
নাকি উঠে এসে জড়িয়ে ধরে বলবে,
ভালোবাসি, ভালোবাসি…..

ধরো ক্লান্ত তুমি,
অফিস থেকে সবে ফিরেছ,
ক্ষুধার্ত তৃষ্ণার্ত পীড়িত,
খাওয়ার টেবিলে কিছুই তৈরি নেই,
রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে
ঘর্মাক্ত আমি তোমার
হাত ধরে যদি বলি- ভালবাসো?
তুমি কি বিরক্ত হবে?
নাকি আমার হাতে আরেকটু চাপ দিয়ে বলবে,
ভালোবাসি, ভালোবাসি…..

ধরো দুজনে শুয়ে আছি পাশাপাশি,
সবেমাত্র ঘুমিয়েছ তুমি
দুঃস্বপ্ন দেখে আমি জেগে উঠলাম
শতব্যস্ত হয়ে তোমাকে ডাক দিয়ে যদি বলি-ভালবাসো?
তুমি কি পাশ ফিরে শুয়ে থাকবে?
নাকি হেসে উঠে বলবে,
ভালোবাসি, ভালোবাসি…..

ধরো রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি দুজনে,
মাথার উপর তপ্ত রোদ,
বাহন পাওয়া যাচ্ছেনা এমন সময়
হঠাত দাঁড়িয়ে পথ
রোধ করে যদি বলি-ভালবাসো?
তুমি কি হাত সরিয়ে দেবে?
নাকি রাস্তার সবার
দিকে তাকিয়ে
কাঁধে হাত দিয়ে বলবে,
ভালোবাসি, ভালোবাসি…..

ধরো শেভ করছ তুমি,
গাল কেটে রক্ত পড়ছে,
এমন সময় তোমার এক ফোঁটা রক্ত হাতে নিয়ে যদি বলি- ভালবাসো?
তুমি কি বকা দেবে?
নাকি জড়িয়ে তোমার গালের রক্ত আমার
গালে লাগিয়ে দিয়ে খুশিয়াল গলায় বলবে,
ভালোবাসি, ভালোবাসি…..

ধরো খুব অসুস্থ তুমি,
জ্বরে কপাল পুড়েযায়,
মুখে নেই রুচি,
নেই কথা বলার অনুভুতি,
এমন সময় মাথায় পানি দিতে দিতে তোমার মুখের
দিকে তাকিয়ে যদি বলি-ভালবাসো?
তুমি কি চুপ করে থাকবে?
নাকি তোমার গরম শ্বাস আমার শ্বাসে বইয়ে দিয়ে বলবে,
ভালোবাসি, ভালোবাসি..

ধরো যুদ্ধের দামামা বাজছে ঘরে ঘরে,
প্রচন্ড যুদ্ধে তুমিও অংশীদার,
শত্রুবাহিনী ঘিরে ফেলেছে ঘর
এমন সময় পাশে বসে পাগলিনী আমি তোমায়
জিজ্ঞেস করলাম-
ভালবাসো?
ক্রুদ্ধস্বরে তুমি কি বলবে যাও….
নাকি চিন্তিত আমায় আশ্বাস দেবে, বলবে,
ভালোবাসি, ভালোবাসি…….

ধরো দূরে কোথাও যাচ্ছ
তুমি,
দেরি হয়ে যাচ্ছে,বেরুতে যাবে,
হঠাত বাধা দিয়ে বললাম-ভালবাসো?
কটাক্ষ করবে?
নাকি সুটকেস ফেলে চুলে হাত বুলাতে বুলাতে বলবে,
ভালোবাসি, ভালোবাসি

ধরো প্রচন্ড ঝড়,উড়ে গেছে ঘরবাড়ি,
আশ্রয় নেই
বিধাতার দান এই পৃথিবীতে,
বাস করছি দুজনে চিন্তিত তুমি
এমন সময় তোমার
বুকে মাথা রেখে যদি বলি ভালবাসো?
তুমি কি সরিয়ে দেবে?
নাকি আমার মাথায় হাত রেখে বলবে,
ভালোবাসি, ভালোবাসি..

ধরো সব ছেড়ে চলে গেছ কত দুরে,
আড়াই হাত মাটির নিচে শুয়ে আছ
হতভম্ব আমি যদি চিতকার করে বলি-
ভালবাসো?
চুপ করে থাকবে?
নাকি সেখান থেকেই
আমাকে বলবে,
ভালোবাসি, ভালোবাসি…..

যেখানেই যাও,যেভাবেই থাক,
না থাকলেও দূর
থেকে ধ্বনি তুলো,
ভালোবাসি, ভালোবাসি, ভালোবাসি..

দূর থেকে শুনব তোমার কন্ঠস্বর,
বুঝব তুমি আছ, তুমি আছ
ভালোবাসি,ভালোবাসি……..!

  তোমার চোখ এতো লাল কেন?
                            – নির্মলেন্দু গুণ

আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে , আমি চাই
কেউ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করুক,
শুধু ঘরের ভেতর থেকে দরোজা খুলে দেবার জন্য ।
বাইরে থেকে দরোজা খুলতে খুলতে আমি এখন ক্লান্ত ।

আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ আমাকে খেতে দিক । আমি হাতপাখা নিয়ে
কাউকে আমার পাশে বসে থাকতে বলছি না,
আমি জানি, এই ইলেকট্রিকের যুগ
নারীকে মুক্তি দিয়েছে স্বামী -সেবার দায় থেকে ।
আমি চাই কেউ একজন জিজ্ঞেস করুক :
আমার জল লাগবে কি না, নুন লাগবে কি না,
পাটশাক ভাজার সঙ্গে আরও একটা
তেলে ভাজা শুকনো মরিচ লাগবে কি না ।
এঁটো বাসন, গেঞ্জি-রুমাল আমি নিজেই ধুতে পারি ।

আমি বলছি না ভলোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ একজন ভিতর থেকে আমার ঘরের দরোজা
খুলে দিক । কেউ আমাকে কিছু খেতে বলুক ।
কাম-বাসনার সঙ্গী না হোক, কেউ অন্তত আমাকে
জিজ্ঞেস করুক : ‘তোমার চোখ এতো লাল কেন ?’


    আমি খুব অল্প কিছু চাই
                       – হুমায়ুন আহমেদ

আমাকে ভালবাসতে হবে না,
ভালবাসি বলতে হবে না.
মাঝে মাঝে গভীর আবেগ
নিয়ে আমার ঠোঁট
দুটো ছুয়ে দিতে হবে না.
কিংবা আমার জন্য রাত
জাগা পাখিও
হতে হবে না.
অন্য সবার মত আমার
সাথে রুটিন মেনে দেখা
করতে হবে না. কিংবা বিকেল বেলায় ফুচকাও
খেতে হবে না. এত
অসীম সংখ্যক “না”এর ভিড়ে
শুধু মাত্র একটা কাজ
করতে হবে আমি যখন
প্রতিদিন এক বার “ভালবাসি” বলব
তুমি প্রতিবার
একটা দীর্ঘশ্বাস
ফেলে একটু
খানি আদর মাখা
গলায় বলবে “পাগলি”

           একবার তুমি 
             –  শক্তি চট্টোপাধ্যায়

একবার তুমি ভালোবাসতে চেষ্টা কর–
দেখবে, নদির ভিতরে, মাছের বুক থেকে পাথর ঝরে পড়ছে
পাথর পাথর পাথর আর নদী-সমুদ্রের জল
নীল পাথর লাল হচ্ছে, লাল পাথর নীল
একবার তুমি ভাল বাসতে চেষ্টা কর ।

বুকের ভেতরে কিছু পাথর থাকা ভাল–ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
সমস্ত পায়ে-হাঁটা পথই যখন পিচ্ছিল, তখন ওই পাথরের পাল একের পর এক বিছিয়ে
যেন কবিতার নগ্ন ব্যবহার, যেন ঢেউ, যেন কুমোরটুলির সলমা-চুমকি-জরি-মাখা প্রতিমা
বহুদূর হেমন্তের পাঁশুটেনক্ষত্রের দরোজা পর্যন্ত দেখে আসতে পারি ।

বুকের ভেতরে কিছু পাথর থাকা ভাল
চিঠি-পত্রের বাক্স বলতে তো কিছু নেই–পাথরের ফাঁক-ফোকরে রেখে এলেই কাজ হাসিল–
অনেক সময় তো ঘর গড়তেও মন চায় ।

মাছের বুকের পাথর ক্রমেই আমাদের বুকে এসে জায়গা করে নিচ্ছে
আমাদের সবই দরকার । আমরা ঘরবাড়ি গড়বো–সভ্যতার একটা স্থায়ী স্তম্ভ তুলে ধরবো ।

রূপোলি মাছ পাথর ঝরাতে-ঝরাতে চলে গেলে
একবার তুমি ভালবাসতে চেষ্টা করো ।

              যদি বাসোই 
                      – তসলিমা নাসরিন

তুমি যদি ভালোই বাসো আমাকে, ভালোই যদি বাসো,
তবে বলছো না কেন যে ভালো বাসো! কেন সব্বাইকে জানিয়ে দিচ্ছ না যে ভালোবাসো!
আমার কানের কাছেই যত তোমার দুঃসাহস!

যদি ভালোবাসো, ওই জুঁইফুলটি কেন জানে না যে ভালোবাসো!
ফুলটির দিকে এত যে চেয়ে রইলাম, আমাকে একবারও তো বললো না যে ভালোবাসো!
এ কীরকম ভালোবাসা গো! কেবল আমার সামনেই নাচো!
এরকম তো দুয়োর বন্ধ করে চুপি চুপি তুমি যে কারও সামনেই নাচতে পারো।
আমি আর বিশ্বাস করছি না, যতই বলো।
আগে আমাকে পাখিরা বলুক, গাছেরা গাছের পাতারা ফুলেরা বলুক,
আকাশ বলুক, মেঘ বৃষ্টি বলুক, রোদ বলুক চাঁদের আলো বলুক, নক্ষত্ররা বলুক,
পাড়া পড়শি বলুক, হাট বাজারের লোক বলুক, পুকুরঘাট বলুক, পুকুরের জল বলুক যে
তুমি ভালোবাসো আমাকে!
শুনতে শুনতে যখন আর তিষ্ঠোতে না পারবো তখন তোমাকে ওই চৌরাস্তায় তুলে একশ
লোককে দেখিয়ে চুমু খাবো, যা হয় হবে।

ভালোবাসা কি গোপন করার জিনিস! দেখিয়ে দেখিয়েই তো
শুনিয়ে শুনিয়েই তো ভালোবাসতে হয়।
ভালোবাসা নিয়ে আমরা জাঁকালো উৎসব করবো, ধেই ধেই নাচবো, নাচাবো,
সুখবর বুঝি আমরা চারদিকে ঢোল বাজিয়ে জানিয়ে দিই না!
জুইঁফুলটি যেদিন বলবে যে তুমি আমাকে ভালোবাসো, সেদিনই কিন্তু তোমাকে বলবো যে
তোমাকেও বাসি, তার আগে একটুও নয় !


       আকাশলীনা 
             – জীবনানন্দ দাশ


সুরঞ্জনা, ঐখানে যেয়োনাকো তুমি,
বোলোনাকো কথা অই যুবকের সাথে;
ফিরে এসো সুরঞ্জনা:
নক্ষত্রের রুপালি আগুন ভরা রাতে;

ফিরে এসো এই মাঠে, ঢেউয়ে;
ফিরে এসো হৃদয়ে আমার;
দূর থেকে দূরে – আরও দূরে
যুবকের সাথে তুমি যেয়োনাকো আর।

কী কথা তাহার সাথে? – তার সাথে!
আকাশের আড়ালে আকাশে
মৃত্তিকার মতো তুমি আজ:
তার প্রেম ঘাস হয়ে আসে।

সুরঞ্জনা,
তোমার হৃদয় আজ ঘাস :
বাতাসের ওপারে বাতাস –
আকাশের ওপারে আকাশ।


         তুমি 
    – রাজদ্বীপ দত্ত


যখন আঁধারেরা নামে,
তোমার প্রতিক্ষার শোকগাথায়-
তখন আমি অর্ধনিমগ্ন ।
গলা চিপা ঘুপচি আঁধারে
স্মৃতির জাবর কাটি ।
ওই জনাকীর্ণ নিস্তব্ধতায়
তুমি মনে রেখো আমায় ।
আলোময় ওই বিশাল গোলকধাধায় হয়তো হারাবো
কিন্তু তুমি মনে রেখো আমায় ।
আবার যখন নিভে যাবে আলো ;
যখন ওই অলস আলোটাকে-
বুভুক্ষের মতো গিলবে আঁধার
“রাতজাগা পাখি”,
তুমি ভুলে যেয়ো না আমায় ।
যেদিন তোমার মনের চাতক পাখিটা
মুক্ত হয়ে উড়বে,
ওই সাদা মেঘেদের দলে-
তুমি মনে রাখবে তো আমায়!
গুটিয়ে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত
শামুকের মতো
হয়তো খোলসবন্দি হবো শীঘ্রই!
সেদিন
তুমি ভুলে যাবে নাতো আমায়?


 ভালবাসার সময় তো নেই 
         – রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ


ভালবাসার সময় তো নেই
ব্যস্ত ভীষন কাজে,
হাত রেখো না বুকের গাড় ভাজে।

ঘামের জলে ভিজে সাবাড়
করাল রৌদ্দুরে,
কাছএ পাই না, হৃদয়- রোদ দূরে।

কাজের মাঝে দিন কেটে যায়
কাজের কোলাহল
তৃষ্নাকে ছোয় ঘড়ায় তোলা জল।

নদী আমার বয় না পাশে
স্রোতের দেখা নেই,
আটকে রাখে গেরস্থালির লেই।

তোমার দিকে ফিরবো কখন
বন্দী আমার চোখ
পাহারা দেয় খল সামাজিক নখ।


   তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা 
                          – শহীদ কাদরী


শুধু একটি বার বল ভালবাসি
তোমাকে আর কোনদিন ভালবাসতে হবে না।
মরুভূমির তপ্ত বালিতেও পা দিতে হবে না।
আমার জন্য তোমকে নিশি রাতে পা ভিজাতে হবে না।
আকাশ বাতাস শুনুক তোমার প্রতিধ্বনি।
সবাই জানুক কেউ আমাকে ভালবেসেছিল।
আমার হৃদয়ের ডাকে কেউ সাড়া দিয়েছিলো।
শুধু এতটুকুই আমি চাই, এর চেয়ে বেশি চাই না।
কাছে আস বা না আস, তাতে আমার কোন আপত্তি নেই।
হৃদয়কে না হয় একটি বার হলেও সান্তনা দিতে পারব
কেউতো অন্তত একটি বার হলেও প্রাণের ছোয়া দিয়েছিল।
কয়েক সেকেন্ড এর জন্য হলেও শুকিয়ে যাওয়া নদীতে
আবার ঝড়ের বেগে অশ্রুর বন্যা বয়েছিল।
শুধু এতটুকুই আমি চাই, এর চেয়ে বেশি চাই না।
এর জন্য তুমি কি চাও?
হয়তোবা আমি তোমাকে আকাশের চাঁদটি এনে দিতে পারবোনা
পূর্ব দিকে উঠা সূর্যটিকেও হাতে তুলে দিতে পারবোনা।
কিন্তু পারবো তোমার জন্য আমি রজনীর পর রজনী জেগে থাকতে
পারবো আজীবন তোমার জন্য অপেক্ষা করতে।
হয়তো আমার এই শুন্য হৃদয়ে এক সময় কেউ স্থান করে নিবে
কিন্তু তুমিতো আর আমার হলে না।
কি হবে ভরে এই শুন্য হৃদয় ?
আমি তো চাইনি অন্য কেউ এসে আমার হৃদয়ে গোলাপ ফুটাক
পোড়া মন আবার সতেজ হয়ে উঠুক।
আমি চেয়েছি শুধু তোমার মুখ থেকে একটি বার হলেও
প্রতিধ্বনি হয়ে বেজে উঠুক একটি শব্দ “ভালবাসি”
শুধু এতটুকুই আমি চাই, এর চেয়ে বেশি চাই না।
                         
   
 
                       বউ 
                   - নির্মলেন্দু গুণ

কে কবে বলেছে হবে না? হবে,বউ থেকে হবে ।
একদিন আমিও বলেছিঃ ‘ওসবে হবে না ।’
বাজে কথা। আজ বলি, হবে, বউ থেকে হবে ।
বউ থেকে হয় মানুষের পুনর্জন্ম, মাটি,লোহা,
সোনার কবিতা, —কী সে নয়?

গোলাপ, শেফালি, যুঁই, ভোরের আকাশে প্রজাপতি,
ভালোবাসা, ভাগ্য, ভাড়াবাড়ি ইতিপূর্বে এভাবে মিশেনি ।
ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল, দুইজন্ম এবার মিশেছে, দেখা যাক ।

হতচ্ছাড়া ব্যর্থ প্রেম, গাঁজা, মদ, নৈঃসঙ্গ আমার
ভালোবেসে হে তরুণ, তোমাকে দিলাম, তুমি নাও ।
যদি কোনদিন বড় কবি হও, আমার সাফল্য
কতদূর একদিন তুমি তা বুঝিবে ।

আমি কতো ভালোবাসা দু’পায়ে মাড়িয়ে অবশেষে,
কল্পনার মেঘলোক ছেড়ে পৌঁছেছি বাস্তব মেঘে ।
আজ রাত বৃষ্টি হবে মানুষের চিরকাম্য দাবির ভিতরে ।

তার শয্যাপাশে আমার হয়েছে স্থান, মুখোমুখি,
অনায়াসে আমি তা বলি না, বলে যারা জানে দূর থেকে ।
আমি কাছে থেকে জানি, বিনিময়ে আমাকে হয়েছে দিতে
জীবনের নানা মূল্যে কেনা বিশ্বখানি, তার হাতে তুলে ।
অনায়াসে আমিও পারিনি । ক্রমে ক্রমে, বিভিন্ন কিস্তিতে
আমি তা দিয়েছি, ফুলে ফুলে ভালোবেসে যেভাবে প্রেমিক ।

প্রথমে আত্মার দ্যুতি, তারপর তাকে ঘিরে মুগ্ধ আনাগোনা ।
স্বর্গের সাজানো বাগানে পদস্পর্শে জ্বলে গেছি দূরে, তারপর
পেয়েছি বিশ্রাম । আজ রাত সম্পর্কের ভিতরে এসেছি ।

সবাই মিলবে এসে মৌন-মিহি শিল্পে অতঃপর,
তোমার প্রদত্ত দানে পূর্ণ হবে পৃথিবী আমার ।

             বনলতা সেন 
               – জীবনানন্দ দাশ


হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,
সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে
অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে
সেখানে ছিলাম আমি; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;
আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
আমারে দুদণ্ড শান্তি দিয়েছিলো নাটোরের বনলতা সেন।

চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,
মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের ’পর
হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা
সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর,
তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে; বলেছে সে , ‘এতোদিন কোথায় ছিলেন?’
পাখির নীড়ের মত চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন।

সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতন
সন্ধ্যা আসে; ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল;
পৃথিবীর সব রঙ নিভে গেলে পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন
তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙে ঝিলমিল;
সব পাখি ঘরে আসে — সব নদী- ফুরায় এ-জীবনের সব লেনদেন;
থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।


      যদি ভালবাসা পাই 
                  – রফিক আজাদ


যদি ভালবাসা পাই আবার শুধরে নেব
জীবনের ভুলগুলি
যদি ভালবাসা পাই ব্যাপক দীর্ঘপথে
তুলে নেব ঝোলাঝুলি
যদি ভালবাসা পাই শীতের রাতের শেষে
মখমল দিন পাব
যদি ভালবাসা পাই পাহাড় ডিঙ্গাবো
আর সমুদ্র সাঁতরাবো
যদি ভালবাসা পাই আমার আকাশ হবে
দ্রুত শরতের নীল
যদি ভালবাসা পাই জীবনে আমিও পাব
মধ্য অন্তমিল।
প্রেমের কবিতা: সেরা ৩০টি ভালোবাসার কবিতা || বাংলা সেরা প্রেমের কবিতা সমগ্র || Best Romantic Bangla Premer Kobita


Thursday, April 15, 2021

ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতি || ইসলামী ব্যাংক লোন কিভাবে পাবেন? || How To get Islami Bank Limited loan

অধিকাংশ লোকজন ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে জানেন না। বিশেষকরে ইসলামী ব্যাংক লোন নেওয়ার পদ্ধতি অন্যান্য ব্যাংকের চাইতে কিছুটা ভিন্ন হওয়ার কারনে ইসলামি ব্যাংক থেকে লোন নিতে সমস্যা পড়তে হয়। তাছাড়া ইসলামি ব্যাংকের সুদের (মুনাফা) বিষয়টি নিয়ে সকলের মাঝে ভিন্ন মতবাদ থাকার কারনে লোন নিতে আরো ঝামেলা পোহাতে হয়। এই সকল বিষয় নিয়ে আজ আলোচনা করব।

ইসলামিক ব্যাংক লোন বা ইসলামিক ব্যাংক থেকে লোন, সেটা হতে পারে ইসলামিক ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড কিংবা হতে পারে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক অথবা অন্যান্য যে সকল ৮ টি ইসলামিক ব্যাংক আছে। সে ক্ষেত্রে অনেকের কমপ্লেন হচ্ছে যে, আপনারা ইসলামিক ব্যাংকের লোনের জন্য গিয়েছেন কিন্তু তারা লোন দেয়নি। ইসলামী ব্যাংক সুদ খায়, ইসলামী ব্যাংক সবচেয়ে বড় প্রতারক। ইসলামিক ব্যাংক সম্পর্কে এই ধরনের নানা কমপ্লেন লোক মুখে শুনা যায়।

আজকের এই লেখাটি শুধু মাত্র তাদের জন্য যারা আসলে ইসলামিক ব্যাংকের বেসিক জিনিসটি এখনো ক্লিয়ার হতে পারেননি। আপনি সর্বপ্রথম একটি জিনিস মনে রাখবেন যে, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হচ্ছে সুদযুক্ত এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ইন্টারেস্ট নেয়। তাই বাংলাদেশের অন্য যে কোন ব্যাংক হউক না কেন সেটা শতভাগ সুদ মুক্ত না। বর্তমান বিশ্বে এমন কোথাও এমন কোন ব্যাংক নাই যেটি ১০০% সুদ মুক্ত।

বাংলাদেশে যে সমস্ত ইসলামী ব্যাংক আছে তারা তাদের নিজেদের সাধ্যমত চেষ্টা করছে সুদ মুক্ত থাকার জন্য কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে সেটি সম্ভব না। তবে সকল ইসলামি ব্যাংক গুলো সুদ মুক্ত হওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।

বাংলাদেশের সকল ইসলামি ব্যাংক গুলোর কিছু দুর্বলতা আছে তারাও অন্যান্য ব্যাংকের মত ল্যাভ্যাংশ নেয় এবং তারাও অন্যান্য ব্যাংকের মত জরিমানা করে, এ ধরনের নানা অভিযোগ আছে। তবে আজকে আমরা সেই সকল বিষয় বা অভিযোগ নিয়ে আলোচনা করব না। আমরা এখানে শুধুমাত্র ইসলামিক ব্যাংকের লোন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব।

ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতি || ইসলামী ব্যাংক লোন কিভাবে পাবেন? || How To get Islami Bank Limited loan

ইসলামি ব্যাংকের সংখ্যা

বাংলাদেশের মোট ৮ টি ইসলামিক ব্যাংক রয়েছে। যথা—
  1. ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড।
  2. শাহ্জালাল ইসলামি ব্যাংক।
  3. আল আরাফাহ্ ইসলামি ব্যাংক লিমিটেড।
  4. সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংক লিমিটেড।
  5. আইসিবি (ICB) ইসলামিক ব্যাংক।
  6. ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক লিমিটেড।
  7. এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড।
  8. সোনালি ব্যাংক লিমিটেড।

ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতি

বাংলাদেশের বিভিন্ন ইসলামী ব্যাংকের যে সমস্ত লোন সার্ভিস আছে সেটা ব্যাংক কর্তৃক্ষ লোন বলতে রাজি নয়। তারা এটাকে ইনভেস্টমেন্ট বলে থাকে। ইসলামি ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে কত পর্যন্ত লভ্যাংশ দিতে হবে এবং ইন্টারেস্ট ফি বা ইন্টারেস্টের পরিমাণ কত সেটাও এখানে বলে দেওয়া হবে।

আপনি কোন ক্ষেত্রে এ লোনটি পেয়ে থাকবেন এবং লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার কি কন্ডিশন মানতে হবে এবং কি জন্য আপনি লোন পাবেন না সবকিছুই কিন্তু আজকের পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করব। এ ছাড়াও ইসলামি ব্যাংক লোন সর্বোচ্চ কত দিনের জন্য পাবেন এবং কি কি কাজে লোনটি পেয়ে থাকবেন সে সম্পর্কে জানানো হবে।

ইসলামী ব্যাংক লোন নেওয়ার পদ্ধতি

ইসলামী ব্যাংক মূলত ছয় ভাবে ঋণ প্রদান করে থাকে। প্রথমে যেটা রয়েছে সেটা হচ্ছে নতুন বাড়ি ক্রয়ের জন্য, তার পরবর্তী রয়েছে নতুন ফ্যাট ক্রয় কিংবা পুরাতন বাড়ি ক্রয় করতে আপনি ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন (ইনভেস্ট) নিতে পারেন।

তাছাড়া ইসলামী ব্যাংক আরো তিন ভাবে ঋণ প্রদান করে থাকে। নতুন বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে আপনি লোন নিতে পারবেন, ফ্ল্যাট নির্মানের ক্ষেত্রে ঋণ নিতে পারবেন এবং বাড়ি সংস্কার ও বর্ধিত করনের জন্যও ঋণ নিতে পারবেন।

এছাড়াও ইসলামী শরীয়াহ্ অনুমোদন করে, এমন সকল খাতেই বাংকের ইসলামী ব্যাংকিং বিভাগ বিনিয়োগ (লোন) করে। যেমন, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি, রিয়াল এস্টেট ইত্যাদি। তবে আজকের পোস্টে আমরা শুধুমাত্র ইসলামি ব্যাংকের হোম লোন নিয়ে আলোচনা করব।

ইসলামি ব্যাংক হোম লোন

ইসলামী ব্যাংক থেকে যদি আপনি ঋণ নেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে বাড়ি তৈরীর জন্য সর্বোচ্চ ৩০ লক্ষ এবং সর্বনিম্ন ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আপনার পিছনে ইনভেস্ট করবে। আর ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার সবচেয়ে ভালো সুবিধা হচ্ছে এটাই যে, আপনি যে সকল জিনিসপত্র কিনবেন, যেমন-রড সিমেন্ট বালি বালি, এ ক্ষেত্রে মূলত তারা সকল মালামাল নিজে কিনে দিবে, আপনাকে কিনতে দিবে না, কেন না সবসময় তারা এটাকে ইনভেসমেন্ট বলে থাকে।

এছাড়া আপনার যে বাড়ি আছে সেই বাড়ি সংস্কারনের করে বর্ধিতকরণ করতে পারেন। এক্ষেত্রে ইসলামি ব্যাংক আপনাকে সর্বনিম্ন ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনভেস্ট করে থাকবে। প্রথমে যেহেতু বলেছি তারা এটাকে সবসময় ইনভেস্ট বলে থাকে কিন্তু ঋণ বলতে রাজি নয়।

ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়ার শর্ত

সরকারি কিংবা বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য এক বছর চাকরির অভীজ্ঞতা থাকতে হবে। অর্থাৎ আপনার চাকরির অভীজ্ঞতা এক বছর হলে আপনি ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। বাড়ি ওয়ালাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই বাড়ি ভাড়ার আয়ের প্রমান পত্র দেখাতে হবে। সরকারি বা বেসরকারি চাকরিজীবী যাদের ব্যাংক একাউন্টে বেতন হয় তাদের সর্বশেষ ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর দরকার হবে। তবে যাদের বেতন ক্যাশে হয়, তাদের আলাদা করে ভেরিফাই করা হবে।

ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, আর্কিটেকের জন্য সর্বনিম্ন এক বছর একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত হতে হবে অর্থাৎ দেখা গেল ছয় মাস এই প্রতিষ্ঠান আরো ছয় মাস আরেক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেন, এই জিনিসটা হবে না। যে কোন একটা প্রতিষ্ঠানে একটানা মিনিমাম এক বছর কর্মরত থাকতে হবে।

ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যবসার বয়স সর্বনিম্ন এক বছর হতে হবে, যদি আপনি এই কাজটা করে থাকেন তাহলে আপনি ইসলামী ব্যাংক ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনি যদি একজন ব্যবাসায়ি হয়ে থাকেন তাহলে লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বশেষ ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর দরকার হবে। এছাড়াও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যে সকল ডকুমেন্ট নেওয়া হবে সেগুলো হচ্ছে ট্রেড লাইসেন্স, টিন সার্টিফিকেট।

গ্যারান্টর কে হবেন?

ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার ২ জন গ্যারান্টর থাকতে হবে। বাবা-মা ভাই-বোন আত্মীয়-স্বজন বা কাছের মানুষকে আপনি গ্যারান্টর করতে পারবেন। এটা সম্পূর্ণ আপনার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। তবে অবশ্যই যারা আর্থিকভাবে সচ্ছল তাদেরকে গ্যারান্টর করতে হবে।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট

ইসলামী ব্যাংক থেকে হোম লোন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার নিজস্ব ব্যক্তিমালিকানার একটা জমি থাকতে হবে কিংবা আপনার পিতার নামে যে কোন একটা জমি থাকলে হবে। এছাড়াও এখানে দরকার হবে জমির মূল দলিল, এখানে সার্টিফাইড কপি গ্রহনযোগ্য হবে না। বিস্তারিত নিচে দেখুন—

প্রাইভেট প্লেটের ক্ষেত্রে
  • জমির মূল মালিকানা দলিল, বায়া দলিল।
  • সিএস, এসএ, আরএস ও বিএস খতিয়ানের জাবেদা নকল।
  • ডিসিআর, খাজনা রশিদ ও নামজারী খতিয়ান।
  • জেলা/সাব রেজিষ্ট্রি অফিস কর্তৃক ইস্যুকৃত ১২ (বার) বছরের নির্দায় সনদ (এনইসি)।
সরকারী প্লটের ক্ষেত্রে
  • প্লটের বরাদ্দ পত্র।
  • দখল হস্তান্তর পত্র।
  • মূল লীজ দলিল ও বায়া দলিল (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
  • লীজ দাতা প্রতিষ্ঠান হতে বন্ধক অনুমতি পত্র।
  • হস্তান্তর মূলে মালিক হলে হস্তান্তর অনুমতিপ্রত ও নামজারী, ডিসিআর ও খাজনা রশিদ।

ইসলামি ব্যাংকের লোনের ইন্টারেস্ট

সাধারণত ইসলামিক ব্যাংক লোনের ক্ষেত্রে ১৬% ইন্টারেন্স (মুনাফা) নিয়ে থাকে। এ ছাড়াও লোনের ধরণ, মেয়াদ ও লোনের এমাউন্টেবেদে ইন্টারেস্ট এর পরিমান সামান্য কম হতে পারে।

শেষ কথা

আশাকরি আপনি ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা পেয়েছেন। এ ছাড়াও ইসলামি ব্যাংকের অন্যান্য যে সমস্ত লোন (ইনভেস্টমেন্ট) রয়েছে সেই সকল ইসলামী ব্যাংক লোন নেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাইলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

Friday, April 2, 2021

যাচাই করে দেখুন ফেসবুক সম্পর্কে আপনি কতটা জানেন

যে ফেসবুকে বন্ধু-স্বজনদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন, ছবি ও ভাবনা শেয়ার করছেন, দেখুন তো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি সম্পর্কে আপনি কতটা জানেন। উত্তর নিচেই রয়েছে।

১.

যাচাই করে দেখুন ফেসবুক সম্পর্কে আপনি কতটা জানেন

২.

যাচাই করে দেখুন ফেসবুক সম্পর্কে আপনি কতটা জানেন

৩.

যাচাই করে দেখুন ফেসবুক সম্পর্কে আপনি কতটা জানেন

৪.

যাচাই করে দেখুন ফেসবুক সম্পর্কে আপনি কতটা জানেন

৫.

যাচাই করে দেখুন ফেসবুক সম্পর্কে আপনি কতটা জানেন

৬.

যাচাই করে দেখুন ফেসবুক সম্পর্কে আপনি কতটা জানেন

৭.

যাচাই করে দেখুন ফেসবুক সম্পর্কে আপনি কতটা জানেন

৮.

যাচাই করে দেখুন ফেসবুক সম্পর্কে আপনি কতটা জানেন

৯.

যাচাই করে দেখুন ফেসবুক সম্পর্কে আপনি কতটা জানেন

১০.

যাচাই করে দেখুন ফেসবুক সম্পর্কে আপনি কতটা জানেন

উত্তর মিলিয়ে নিন


১. (ক) ১৩ বছর। ফেসবুকের নীতিমালা অনুযায়ী, ১৩ বছরের কম বয়সী কেউ ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে না। এমনকি তার হয়ে অভিভাবকের নিবন্ধন করাও নিয়মবহির্ভূত।


২. (ঘ) ক্যালিফোর্নিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মেনলো পার্কের প্রধান কার্যালয়কে প্রায়ই পুরো এক শহরের সঙ্গে তুলনা করা হয়।


৩. (খ) ২ লাখ ডলার। শুরুতে thefacebook.com ডোমেইন নেমে ওয়েবসাইট চালু করলেও ফেসবুকের প্রথম প্রেসিডেন্ট শন পার্কারের পরামর্শে ২ লাখ ডলারে facebook.com কেনা হয়। ডোমেইন নেমের বদলে ফেসবুকের শেয়ার দিতে চেয়েছিলেন জাকারবার্গ। তবে ডোমেইনটির আগের মালিক রাজি হননি। কে জানে এখন নিশ্চয় আফসোস করেন।


৪. (ঘ) স্ন্যাপচ্যাট। ফেসবুকের মূল সেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে ফেসবুক অ্যাপ, মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, অকুলাস, ওয়ার্কপ্লেস, পোর্টাল এবং নোভি। অন্যদিকে দুজন সহপ্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে স্ন্যাপচ্যাট নামের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠা করেন ইভান স্পিগেল।


৫. (খ) ‘দ্য সোশ্যাল নেটওয়ার্ক’। অবশ্য ২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া মার্কিন চলচ্চিত্রটি মূল ঘটনা থেকে বেশ আলাদা বলে মনে করেন অনেকে।


৬. (গ) শেরিল স্যান্ডবার্গ। প্রথম প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) হিসেবে ২০০৮ সালে ফেসবুকে যোগ দেন শেরিল স্যান্ডবার্গ। ফেসবুকের পরিচালনা পর্ষদে প্রথম নারী সদস্যও তিনি।


৭. (ক) ৫০ জন। করোনাকালে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৫০ জনকে ভিডিও কনফারেন্সের সুযোগ করে দিতে গত বছর চালু করা হয় মেসেঞ্জার রুমস।


৮. (ঘ) বিজ্ঞাপন। আয়ের নানা উৎসের খোঁজ জারি রাখলেও ফেসবুকের মূল আয় এখনো বিজ্ঞাপন থেকেই আসে।


৯. (ক) ৪ ফেব্রুয়ারি। ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ফেসবুক চালু হয়েছিল বলে ধরে নেওয়া হয়।


১০. (খ) ২৪ ঘণ্টা। ২৪ ঘণ্টা পর স্টোরিজ থেকে যেকোনো পোস্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যায়।

Tuesday, March 9, 2021

ব্লগে বা ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর ১০টি সহজ ও কার্য়করী প্রক্রিয়া

 

কিভাবে ব্লগে ভিজিটর বাড়াবেন ১০০% কার্যকরী

আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের জন্য ভিজিটর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিজিটর ছাড়া ব্লগ বা ওয়েবসাইট যেনো প্রাণ ছাড়া মৃত দেহ।


এরজন্যই ভিজিটরকে বলা হয় আপনার ওয়েবসাইটের প্রাণ।
ধরেনিলাম আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে এবং আপনি সেখানে নিয়মিত অনেক কষ্ট করে জান, কিন্তু আপনার সেই কষ্ট কখনোই স্বার্থক হবে না যদি না আপনার ওয়েবসাইটে কোন ভিজিটর প্রবেশ না করে।


তাই আপনার কষ্টকে স্বার্থক করার জন্য যেমন আপনার ভিজিটর প্রয়োজন ঠিক আপনার ওয়েবসাইটিকে টিকিয়ে রাখতে হলেও আপনার সাইটে ভিজিটরের প্রয়োজন।
কারণ আপনার সাইটে ততদিন কোন ইনকাম হবে না যতদিন না আপনি আপনার ব্লগে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিজিটর না নিয়ে আসতে পারেন। যার ফলে আপনার দিনের পর দিন চলে যায় কিন্তু কোন টাকার মুখ আপনি দেখতে পারেন না। তাই আপনার ব্লগে টাকা ইনকাম করার জন্য হউক বা আপনার লেখার সঠিক মূল্য পাওয়ার জন্য অথবা আপনার পরিচিতি পাওয়ার জন্য হলেও আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর দরকার ।

যদিও ভিজিটর আনা খুব একটা সহজ কাজ না সকলের পক্ষে এটা সম্ভব পর হয়ও না কিন্তু তারপর ও আপনি যদি সঠিক উপায়ে সঠিকভাবে চেষ্টা করেন তাহলে আপনার সাইটেও নিয়ে আসতে পারবেন আশানুরুপ ভিজিটর ।


আজ আমি আপনাদেরকে এই বিষয়েই অবগত করবো যে কিভাবে আপনার সাইটে বা ব্লগে আশানুরুপ ভিজিটরে নিয়ে আসতে পারবেন খুব কম পরিশ্রমে এবং কম সময়ে।

ব্লগে বা ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর ১০টি সহজ ও কার্য়করী প্রক্রিয়া


তো যারা যারা ভাবছেন যে আপনাদের সাইটে আসলেই আশানুরুপ ভিজিটর নেই এবং আপনাদের সাইটে পার্যাপ্ত পরিমাণ ভিজিটর আনা দরকার কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও আপনাদের সাইটে পরিমাণমত ভিজিটর আনতে পারছেন না তাদের কে বলবো একবার আমার এই পোষ্টা মনোযোগ দিয়ে শেষ পযন্ত পড়েন এবং আমার দিক নির্দেশনা অনুযারী কাজ করে যান আমি আশা করি আপনারা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আপনাদের সাইটে আশানুরুপ ভিজিটির নিয়ে আসতে পারবেন।
তাই আমি আশা করি সবাই পুরো আর্টিকেলটিকে মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়বেন। যদি সত্যি আপনাদের ওয়েবসাইটে বা ব্লগে ভিজিটর বাড়াতে চান।

ব্লগে বা ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর ১০টি সহজ ও কার্য়করী প্রক্রিয়া

নিয়মিত আর্টিকেল পাবলিশ করুন

আপনার ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পাবলিশে আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত হতে হবে । আপনার ওয়েবসাইটে বা ব্লগে ভিজিটর পেতে বা ভিজিটর ধরে রাখতে হলে নিয়মিত হওয়াটা খুবই জরুরী ।


কারণ একটি ভিজিটর যখন দেখবে আপনি একটি নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট সময় পরপর আর্টিকেল পাবলিশ করে যাচ্ছেন তাহলে সেও নিয়মিত আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে ।


আর আপনি যদি নিয়মিত আপনার ব্লগে আর্টিকেল পাবলিশ করতে না পারেন তাহলে আপনি যত পরিশ্রমি করেন না কেন আপনার ব্লগে ভিজিটর আনাতে পারবেন না ।


নিয়মিত বলতে আপনাকে বুজতে হবে একটা নিদিষ্ট নিয়ম ও সময় মেনে তারপর আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে।


হয় আপনি প্রতিদিনে একটি করে আর্টিকেল পাবলিশ করবেন না হয় প্রতি সপ্তাহে একটি করে না হয় প্রতিমাসে একটি করবেন মানে একটি নির্দিষ্ট সময় ও নিয়ম মেনে করতে থাকবেন তাহলে দেখবেন আপনার ওয়বসাইটের বা ব্লগের ভিজিটর দিন দিন বেড়ে চলেছে এবং সেটা যথারীতি বাড়তে থাকবে।


অবশ্যই এমন ভাবে ওয়েবসাইটে বা ব্লগে পোস্ট করবেন না যে একটিনে ৪-৫টা তারপর এক সপ্তাহেও একটিও করলেন না ।


আপনার আর্টিকেল এর কোয়ালিটি বজায় রাখুন


আমাদের ওয়েবসাইটগুলোতে ভিজিটর না বাড়ার একটা প্রধান কারণ হলো আমরা যে আর্টিকেল গুলো লেখি সেই আর্টিকেল গুলোর কোয়ালিটি তেমন ভালো হয় না যার ফলে বেশিরভাগ ভিজিটর আমাদের ওয়েবসাইটে ঢুকেই বের হয়ে যায় এর ফলে আমাদের সাইটের বাউন্সরেট অনেক বেড়ে যায় এবং এতে সাইট বড় করা সম্ভবপর হয়ে উঠে না।


তাই আমাদেরকে অবশ্যই কোয়ালিটির উপর জোড় দিতে হবে। দরকার হলে আমরা আর্টিকেল কম পাবলিশ করবো তবুও আর্টিকেলের কোয়ালিটি বজার রাখার চেষ্টা করবো।


ধরুন আপনি এক সপ্তাহ সময় ‍নিয়ে খুব ভালোভাবে গুছিয়ে তথ্যবহুল এবং কোয়ালিটি সম্পন্ন একটি আর্টিকেল পাবলিশ করলেন আপনার ওয়েবসাইটে বা ব্লগে এবং সেই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনার সাইটে ধরুন ১সপ্তাহে ১০০০জন্য প্রবেশ করল এবং তারা দেখতে পারলো আপনার আর্টিকেলটিতে তো অনেক ভালো কিছু কথা লিখেছেন এবং অনেক ভালো ভালো তথ্য গুছিয়ে দিয়েছেন তাহলে সেই ১০০০জনের মধ্যে ৮০% ভিজিটরই আপনার সাইটের নামটি মনে রাখবে এবং তারা নিয়মিত আপনার সাইটে প্রবেশ করে ঘুরেঘুরে দেখবে আপনি নতুন কোন আর্টিকেল প্রকাশ করেছেন কিনা। কারণ সে একবার আপনার সাইটি থেকে উপকার পেয়েছে এবং আপনার আর্টিকেলটির কোয়ালিটিও ভালো পেয়েছে তাহলে কোন আপনার সাইটে দ্বিতীয়বার প্রবেশ করবে না।
এভাবে আপনার সাইটি আসতে আসতে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠবে এবং সবাই আপনার সাইটিকে অনেক পছন্দ করতে শুরু করবে।


আর অন্যভাবে দেখলে আপনি দৈনিক ২-৫টা করে আর্টিকেল পাবলিশ করা শুরু করলেন কিন্তু একটি আর্টিকেল ও সেইরকম কোয়ালিটি নেই বললেই চলে তাহলে ভেবে দেখেন এরজন্য যদি আপনারসাইটে দৈনিক ৫০০০ ভিজিটরও প্রবেশ করে আপনার তেমন কোন লাভ হবে না কারণ আপনার আর্টিকেল এর কোয়ালিটি দেখে কেউ আপনার আর্টিকেলটি তো পড়বেই না এর সাথে তাদের মনে আপনার সাইট সর্ম্পকে একাটি খারাপ চিন্তা জন্মামে।


এর ফলে আপনার সাইটে তারা আর কখনো প্রবেশ করবে না এমনকি আপনার সাইটের নামটাও তারা ভালোভাবে লক্ষ্য করবে না।


তাই বেশি আর্টিকেল লেখার দিকে চিন্তা না দিয়ে যতটুকু লেখবেন ততটুকুতেই কোয়ালিটি বাজায় রাখার চেষ্টা করুন এতে আপনার ভিজিটর বাড়তে শুরু করবে।
আপনার ওয়েবসাইটটি বা ব্লগটি সার্চ ইন্জিনে সাবমিট করুন

আপনার ব্লগে বা ওয়েবসাইটে টার্গেটিব ভিজিটর আনতে সবচেয়ে বড় সাহায্য করতে পারে সার্চ ইন্জিন। কারণ সার্চ ইন্জিন থেকে মানুষ আপনার সাইটটিকে খুজে তার কোন কিছু জানার থাকলে এতে অটোমেটিক আপনার অরগানিক ভিজিটর বাড়তে থাকে আপনার তেমন কোন কষ্টই করা লাগে না।


আপনি যখন আপনার সাইটিকে বা ব্লগটিকে কোন সার্চ ইন্জিন এ সাবমিট করবেন তখন আপনার সাইট রিলেটেড কোন কিওয়ার্ড লিখে যখন কেউ সার্চ করবে সেই সার্চ ইন্জিন থেকে তখন সেই সার্চ ইন্জিন আপনার সাইটিকে সেই ভিজিটররের সামনে তুলে ধরবে এতে আপনি কোন কিছু না করেই আপানার সাইটের জন্য ভিজিটর পেয়ে যাচ্ছেন এর জন্য আপনাকে অবশ্যই কোয়ালিটি সম্পন্ন আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে এবং সার্চ ইন্জিন এ আপনার সাইটটিকে সাব মিট করতে হবে।
আপনার আর্টিকেল গুলোকে বেশি বেশি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

বাস্তবে আপনি একটি সমাজে বসবাস করেন বলে বাস্তবে আপনাকে আপনার আশেপাশে অনেকেই চিনে যার ফলে আপনি বাস্তবে অনেক মানুষের সাথে অনেক কিছু শেয়ার করতে পারেন কিন্তু অনলাইনে তো আপনাকে কেউ চিনে না তাহলে আপনি কিভাবে আপনার ব্লগ সাইটিকে প্রমোট করবেন।
এটা আপনি করতে পারেন বিভিন্ন সোশাল মিডিয়াতে আপনার একটি প্রোফাইল তৈরি করে ।

আপনি যখন আপনার নিজের জন্য একটি সোশাল মিডিয়া প্রেফাইল তৈরি করবেন তখন আপনার অনেক বন্ধু ও ফলোয়ার তৈরি হবে সেখানে আপনি আপনার ব্লগের আর্টিকেলগুলো আপনার সেই বন্ধুেদের সাথে শেয়ার করতে পারেন এবং আপনার বন্ধুেদের কে বলে দিতে পারেন তারা যেন তাদের বন্ধুদের সাথে সেটি শেয়ার করে।


এটা অনেক সময়ই আমরা যেমনটা ভেবে থাকি তেমনটা হয় না কারণ হয়ত আপনার বেশির ভাগ বন্ধুই আপনার আর্টিকেলটি শেয়ার করবে না। এতে অনেক সময়ই আমরা আমাদের বন্ধুদের দোষ দিয়ে থাকি আসলে কিন্তু এতে আপনার বন্ধুর কোন দোষ নেই কারণ আপনার আর্টিকেলটি তখনি কেউ শেয়ার দিবে যখন সে দেখবে যে আপনার আটিকেলটিতে আসলেই নতুন কিছু রয়েছে বা কিছু শেখার রয়েছ যা সবার কল্যাণে কাজে আসবে। তাই আপনি আপনার বন্ধুদের কাছ থেকে তখনি শেয়ার আশা করতে পারেন যখন আপনি তার মনের মত একটি পোষ্ট তাকে উপহার দিতে পারবেন।


তাই অবশ্যই ভালো টপিক ও নতুন কিছু যাতে সবাই শিখতে পারে সেই ভাবে আর্টিকেল লেখার ও পাবলিশ করার চেষ্টা করবেন তাহলে দেখবেন আপনার সোশাল মিডিয়াতে আপনার আর্টিকেলটি অনেকে শেয়ার হচ্ছে ও সেই সাখে আপনার সাইটে অনেক ভিজিটরও প্রবেশ করছে।


ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংক তৈরি করুন


অবশ্যই আপনার ব্লগের বেশ কিছু কোয়ালিটি সম্পন্ন ব্যাকলিংক তৈরি করুন। এটা আপনার ওয়েবসাইটের যেমন ভিজিটর বাড়াবে তেমনি এটা আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটিকে গুগলের র‌্যাংকিং করাতে সাহায্য করবে।


আপনাকে অবশ্যই কোয়ালিটি সম্পন্ন ওয়েবসাইটে বা ব্লগে ব্যাকলিংক তৈরি করতে হবে না হলে তেমন কোন লাভ আপনি ব্যাকলিংক থেকে পাবেন না।
আপনি যদি অনেক কষ্ট করে ১০০০ টি ব্লগে আপনার ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংক তৈরি করেন কিন্তু সেই ১০০০টি ব্লগের মধ্যে একটিও তেমন কোয়ালিটি সম্পন্ন না হয় তাহলে আপনার ব্লগের জন্য সেই ১০০০টি ব্যাকলিংক ও তেমন কাজের হবে না।
এই ১০০০টি ব্যাক লিংক তৈরি না করে আপনি একটু বেশি কষ্ট করে হলেও একটি কোয়ালিটি সম্পন্ন ব্লগে বা সাইটে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি ব্যাকলিংক তৈরি করেন এতে আপনার ১০০০টি নরমাল ব্যাকলিংকের চেয়ে বেশি কার্যকর হবে ।


ভিডিও মার্কেটিং

ভিডিও মার্কেটিং করে আপনারা অনেক ভিজিটর পেতে পারেন আপনাদের ব্লগের জন্য। কারণ বর্তমানে মানুষের কাছে কোন টেক্স ফরমেটের থেকে ভিডিও ফরমেট বেশি পছন্দ ।


এর জন্য আপনি ইউটিউবের সাহায্য নিতে পারেন। আপনারা হয়ত সকলেই জানেন যে ইউটিউব হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার ভিডিও পাবলিশ হয় এবং সেই ভিডিও দেখার জন্য প্রতিদিন প্রায় ৩০ মিলিয়ন মানুষ প্রবেশ করে ।


তাই বুজতেই পারছেন কত মানুষের আনাগোনা রয়েছে এই ইউুটিউবে। আপনিও এখান থেকে কিছু ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটের জন্য নিতে পারেন এরজন্য আপনাকে সাবার প্রথমে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হবে তারপর সেখানে আপনার ব্লগ রিলেটেড নানা ধরনের ভিডিও আপলোড করতে হবে। এবং সেই সব বিডিও এর মধ্যে এবং ভিডিও ডিসক্রিপশনে আপনার ব্লগের নামটি দিয়ে দিবেন এবং আপনার ইউটিউব ভিউয়ারদেরকে সবসময় অবগত করবেন আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ সর্ম্পকে তাহলে দেখবেন এখান থেকে অনেক ভিজিটর আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
সঠিক কিওয়ার্ড বাছাই করুন


আপনার আর্টিকেলটি থেকে ভালো ভিজিটর পেতে হলে অবশ্যই আপনার আর্টিকেল এর কিওয়ার্ড সঠিক হওয়া চাই। কারণ আপনার আর্টিকেল এর কিওয়ার্ড এর উপর নির্ভর করবে আপনার আর্টিকেলটি কতটা র‌্যাংক করবে গুগলে বা কত ভিজিটর পাবেন আপনি গুগল থেকে।


ধরুন আপনি এমন কিওয়ার্ড বাছাই করলেন আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য যে কিওয়ার্ডটি আপনার আগেই অনেকে বড় বড় ওয়েবসাইট বা ব্লগ ব্যবহার করে ফেলেছে তাহলে কিন্তু তাদেরকে টপকিয়ে আপনার সাইটি র্যাংক করানো সহজ হবে না আর কোন ভাবে র‌্যাংক করে ফেললও সেইসব সাইটের থেকে আপনার সাইটকে কেউ আগে প্রধান্য দেবে না।


আবার আপনি এমন কিছু কিওয়ার্ড বাছাই করলেন যা কেই সার্চই করে না তাহলেও কিন্তু আপনার ভিজিটর পাওয়র সম্ভাবনা নেই বলেলেই চলে। তাই সঠিকভাবে কিওয়ার্ড বাছাই করতে হবে ।


এমন কিওয়ার্ড বাছাই করতে হবে যে কিওয়ার্ডে যেমন তেমন কোন কম্পিটিটরও নাই আবার মুটামুটি সার্চ ভেলুও ভালো।
তাহলেই আপনি গুগল থেকে বা বিভিন্ন সার্চ ইন্জিন থেকে আপনার কাংখিত ভিজিটর পেতে পারবেন।


সর্বশেষ


আপনি যদি আমার এই পুরো আর্টিকেলটি সর্ম্পূণ মনোযোগ দিয়ে পরে থাকেন এবং এই অনুযায়ী কাজ করে যান তাহলে আমি আপনাকে গ্রারান্টি দিচ্ছি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়াবে।


কিন্তু এক দুই দিনে এটা সম্ভব নাও হতে পারে আপনি নিয়মিত কাজ করে যান আপনি আপনার উন্নতিটা নিজেই ধরতে পারবেন।


আশা করি আর্টিকেলটি সকলের ভালো লেগছে। ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং কোন সমস্যা হলে বা কোন কিছু বুজতে অসুবিধা হলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে পারেন