Ad 3

Education makes a door to bright future

University admission and others information,International Scholarships, Postgraduate Scholarships, College Scholarship, Study Abroad Financial Aid, Scholarship Search Center and Exam resources for PEC, JSC, SSC, HSC, Degree and Masters Examinees in Bangladesh with take from update sports News, Live score, statistics, Government, Private, current Job Circular take from this site

Education is a way to success in life

University admission and others information,International Scholarships, Postgraduate Scholarships, College Scholarship, Study Abroad Financial Aid, Scholarship Search Center and Exam resources for PEC, JSC, SSC, HSC, Degree and Masters Examinees in Bangladesh with take from update sports News, Live score, statistics, Government, Private, current Job Circular take from this site

Education is a best friend goes lifelong

University admission and others information,International Scholarships, Postgraduate Scholarships, College Scholarship, Study Abroad Financial Aid, Scholarship Search Center and Exam resources for PEC, JSC, SSC, HSC, Degree and Masters Examinees in Bangladesh with take from update sports News, Live score, statistics, Government, Private, current Job Circular take from this site

Education makes a person a responsible citizen

University admission and others information,International Scholarships, Postgraduate Scholarships, College Scholarship, Study Abroad Financial Aid, Scholarship Search Center and Exam resources for PEC, JSC, SSC, HSC, Degree and Masters Examinees in Bangladesh with take from update sports News, Live score, statistics, Government, Private, current Job Circular take from this site

Education is a key to the door of all the dreams

University admission and others information,International Scholarships, Postgraduate Scholarships, College Scholarship, Study Abroad Financial Aid, Scholarship Search Center and Exam resources for PEC, JSC, SSC, HSC, Degree and Masters Examinees in Bangladesh with take from update sports News, Live score, statistics, Government, Private, current Job Circular take from this site

Showing posts with label Online Earning Tips. Show all posts
Showing posts with label Online Earning Tips. Show all posts

Monday, April 19, 2021

How to Get High Quality Backlinks ?? কিভাবে ব্যাকলিংক তৈরি করবেন (Step By Step)

ব্যাকলিংক হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের (এসইও) ক্ষেত্রে সবচাইতে বহুল ব্যবহৃত ও আলোচিত একটি শব্দ। আমরা সাধারণত কথায় কথায় বলে থাকি যে, গুগল এর দুইশতটির বেশী র‌্যাংকিং ফ্যাক্টর রয়েছে। এই দুইশতটি গুগল র‌্যাংকিং ফ্যাক্টরের মধ্যে Backlink হচ্ছে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্ব বিখ্যাত এসইও প্রতিষ্ঠান "Moz" গুগল র‌্যাংকিং ফ্যাক্টর নিয়ে রিসার্চ করার নিমিত্তে প্রায় একশত জন এসইও এক্সপার্টদের গুগল র‌্যাংকিং ফ্যাক্ট সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিল। Moz এর প্রশ্নের জবাবে গুগল র‌্যাংকিং ফ্যাক্টরে যে বিষয়টি সবচাইতে গুরুত্ব পেয়েছে সেটি হচ্ছে Backlink. তাছাড়া আজ থেকে ৪/৫ বছর পূর্বে একটি ওয়েবসাইটের র‌্যাংকিং এর ক্ষেত্রে শুধুমাত্র Backlink কে গুরুত্ব দেওয়া হত অর্থাৎ যার ওয়েবসাইটে যত বেশী Backlink থাকত তার ওয়েবসাইট/ব্লগ তত বেশী র‌্যাংক করতে পারত।

যারা ব্লগিং এ নতুন তাদের মধ্যে অনেকে Backlink বিষয়টি সঠিকভাবে বুঝতে পারেন না কিংবা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে Backlink কি পরিমান গুরুত্ব বহন করে সেটি অনুধাবন করতে পারেন না। আজকের পোস্টে জানতে পারবেন Backlink কি, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে ব্যাকলিংক কি পরিমান গুরুত্ব বহন করে, অনলাইনে ব্লগিং করে সফলতা পাওয়ার জন্য ব্যাকলিংক এর গুরুত্ব কতোটুকু??

সেই সাথে আরো জানতে পারবেন যে, কিভাবে আপনার ব্লগের কম্পিটিটরদের Backlink এনালাইস করতে হয় এবং কিভাবে কম্পিটিটরদের ব্লগের চাইতে বেশী পরিমানে ও প্রয়োজনীয় Backlink সংগ্রহ করে গুগল সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজের শীর্ষে অবস্থান করে সার্চ ইঞ্জিন হতে ব্লগের ট্রাফিক বৃদ্ধি করা যায়?

ব্যাকলিংক কি?

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) এর পরিভাষায় Backlink বলতে একটি ওয়েব পেজের সাথে অন্য আরেকটি ওয়েব পেজ লিংক করানোকে বুঝায়। সেই ওয়েব পেজটি হতে পারে একটি ব্লগ/ওয়েবসাইটের মূল ডোমেইন অথবা কোন একটি পোস্টের লিংক। আপনার ব্লগের প্রতিটি Backlink কে ব্লগের এক একটি ভোট হিসেবে মনে করতে পারেন।

এই Backlink আবার দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি হচ্ছে Internal Backlink এবং অপরটি External Backlink. যখন আপনার নিজের ওয়েব পেজের লিংক নিজের ব্লগ/ওয়েবসাইটের কোন একটি পেজ/পোস্টের সাথে লিংক হবে তখন সেটি Internal Backlink হিসেবে গণ্য হবে। অন্যদিকে যখন আপনার নিজের ওয়েব পেজের লিংক অন্য কোন ব্লগ/ওয়েবসাইটের পেজ/পোস্টের সাথে লিংক হবে তখন সেটিকে External Backlink হিসেবে গণনা করা হবে।

অধিকাংশ ব্লগে Backlink এর ডেফিনেশন এ ভাবে দিতে দেখেছি যে, আপনার নিজের ব্লগের লিংক যখন অন্য কোন ব্লগের সাথে যুক্ত হয় তখন সেটিকে Backlink বলে। এটি সম্পূর্ণ ভূল ধারনা। Backlink শুধুমাত্র অন্যের ব্লগের সাথে লিংক হয়ে গঠন করে না, নিজের ব্লগের/পেজের সাথে যুক্ত হয়েও গঠন করে।

উদাহরনস্বরূপঃ ধরুন আপনার ব্লগের Url অথবা পোস্টের Url আপনার ব্লগের সাথে লিংক করলেন অথবা অন্য কোনো ব্লগের মালিক আপনার ব্লগ/পোস্টের Url তার ব্লগের সাথে লিংক করল। এ ক্ষেত্রে আপনার যে লিংকটি আপনার অথবা অন্য যে ব্লগের সাথে যুক্ত হয়েছে সেই ব্লগ হতে আপনার ব্লগ একটি Backlink পেয়েছে বলে ধরে নেয়া হবে।

মনে করুন আপনার ব্লগটির নাম “ব্লগার ট্রিকস” এবং যার ব্লগের সাথে আপনার ব্লগের লিংকটি যুক্ত হয়েছে তার ব্লগের নাম “এসইও ট্রিকস”। এ ক্ষেত্রে আপনি “এসইও ট্রিকস” নামক ব্লগটি হতে আপনার ব্লগের একটি Backlink পেয়েছেন বলে গন্য হবে। এ ভাবে আপনি যতটি ব্লগের সাথে নিজের ব্লগের Url যুক্ত করবেন আপনার ব্লগের Backlink তত বাড়তে থাকবে। এটি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ব্যাকলিংক হচ্ছে Off Page এসইও এর একটি কার্যকরী অংশ।

Backlink এর কয়েকটি উপাদান

Backlink এর কয়েকটি উপাদান রয়েছে যেগুলোর জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে ব্যাকলিংক এতটা গুরুত্ব বহন করে। নিচে পয়েন্ট আকারে আমি সেই বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলো ধরব। এই বিষয়গুলো বুঝার ফলে আপনি সঠিকভাবে উপযুক্ত Link Building করতে পারবেন।
  • Link Juice: যখন আপনার ব্লগের কোন একটি পোস্ট অন্য কোন ব্লগের সাথে যুক্ত হয়ে Backlink গঠন করবে তখন আপনার পোস্টটি লিংকৃত পোস্ট হতে কিছুটা Link Juice নিয়ে আসবে। পক্ষান্তরে আপনার ব্লগ/পোস্টের সাথে যখন অন্য কোন ব্লগের লিংক যুক্ত হবে তখন ঐ ব্লগটি আপনার পোস্ট হতে Link Juice নিয়ে যাবে। এই ধরনের Link Juice পোস্টের র‌্যাংক বৃদ্ধি সহ Domain Authority বৃদ্ধি করে।
  • NoFollow Link: সার্চ ইঞ্জিন বট বা Crawler যখন একটি ব্লগ Crawl করে তখন ব্লগের কোথাও Nofollow লিংক দেখতে পেলে লিংকটিকে বেশী গুরুত্ব না করে বাইপাস করে চলে যাবে। সেই ক্ষেত্রে আপনার ব্লগে যত বেশী NoFollow Backlink তৈরি করুন না কেন সেটি সার্চ ইঞ্জিনের কাছে খুব বেশী গুরুত্ব বহন করতে পারবে না। কারণ একটি NoFollow লিংক পোস্ট হতে Link Juice বহন করতে পরে না।
  • DoFollow Link: Nofollow এর সম্পূর্ণ বিপরীত হচ্ছে DoFollow লিংক। সার্চ ইঞ্জিন বট বা Crawler যখন ব্লগ Crawl করে তখন ব্লগের কোথাও DoFollow লিংক দেখতে পেলে লিংক Throw করে ঐ লিংকের পেজটিতে চলে যায়। সেই সাথে যে পোষ্টের সাথে লিংক করা ছিল ঐ পোষ্টটি থেকে কিছু Link Juice সাথে করে নিয়ে যায়। একটি ওয়েবসাইটের র‌্যাংকিং এর ক্ষেত্রে DoFollow Backlink এর অনেক মূল্য রয়েছে।
  • Internal Links: আপনার নিজের ওয়েব পেজের লিংক নিজের ব্লগ/ওয়েবসাইটের কোন একটি পেজ/পোস্টের সাথে লিংক হলে তখন সেটি Internal Link হিসেবে গণ্য হবে। সার্চ ইঞ্জিনের কাছে Internal Backlink এর গরুত্ব খুবই কম।
  • External Links: আপনার নিজের ওয়েব পেজের লিংক অন্য কোন ব্লগ/ওয়েবসাইটের পেজ/পোস্টের সাথে লিংক হলে তখন সেটিকে External Link হিসেবে গণনা করা হয়। সার্চ ইঞ্জিনের কাছে External Backlink এর গুরুত্ব অনেক বেশী এবং ওয়েবসাইটের র‌্যাংকিং বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
  • Root Domain Links: এটি দ্বারা বুঝায় কতটি Unique ডোমেইন হতে আপনি Backlink তৈরি করছেন। ধরুন আপনি আমার ব্লগের ভিন্ন ভিন্ন ১০ টি পোস্ট হতে ১০ টি ব্যাকলিংক ক্রিয়েট করলেন। এ ক্ষেত্রে আপনার Backlink হবে ১০ টি কিন্তু Root Domain Link হবে একটি। কারন আমার মূল ডোমেইন এড্রেস হচ্ছে একটি। এ ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন ব্লগ হতে ব্যাক লিংক তৈরি করলে Root Domain Links এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার ব্লগের র‌্যাংকিং বাড়তে থাকবে।
  • Low Quality Link: এক সময় ছিল যখন যেন তেন ব্লগ হতে Backlink সংগ্রহ করতে পারলে র‌্যাংক করা যেত কিন্তু গুগল এর এলগরিদম আপডেট হওয়ার ফলে শুধুমাত্র Low Quality ওয়েবসাইট হতে ব্যাকলিংক ক্রিয়েট করলে কোন ফায়দা হবে না। ব্যাকলিংক নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই High Domain Authority সম্পন্ন ওয়েবসাইট হতে Backlink ক্রিয়েট করতে হবে।
  • Irrelevant Links: আপনার ব্লগ/পোস্টের বিষয়বস্তুর (Niche) সাথে মিল নেই এমন কোন ব্লগ/পোস্ট হতে Backlink ক্রিয়েট করে কোন লাভ নেই। আপনার ব্লগের বিষয় “এন্ড্রয়েড টিপস এন্ড ট্রিকস” কিন্তু লিংক করলেন “হেলথ টিপস” বিষয়ের ব্লগের সাথে। এ ধরনের Backlink এর কোন মূল্য নেই।

এসইও এর ক্ষেত্রে Backlink এর সুবিধা কি?                        

এক সময় ছিল যখন যে কোন ধরনের Backlink হলে একটি ব্লগের র‌্যাংক করা সম্ভব হত কিন্তু গুগল Penguin Algorithm এর নতুন নিয়ম চালু করার ফলে মানসম্পন্ন Backlink ব্যতীত গুগল সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাংক করাটা আরো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বর্তমান সময়ে Low Quality এর ব্যাকলিংক দিয়ে কোনভাবে ভালো ফলাফল আশা করা যায় না।

এখন ব্যাকলিংক ক্রিয়েট করার ক্ষেত্রে Domain Authority ও Page Authority দেখে নিতে হবে। আপনি যদি ব্যাকলিংক ক্রয় করার বিষয় ভেবে থাকেন, তাহলে ক্রয় করার পূর্বে অবশ্যই আপনার ব্যাকলিংক প্রোভাইডারদের সাথে এ বিষয়টি ক্লিয়ার করে নিবেন। তা না হলে তারা আপনাকে Low Quality এর Backlink তৈরি করে দেবে যেটি আপনার ব্লগ র‌্যাংক করার জন্য কোন উপকার হবে না।

এসইও এর ক্ষেত্রে Backlink আপনার ব্লগের জন্য নিম্নলিখিত উপকারগুলো করবে-
  1. Faster Indexing
  2. Improve Organic Rank
  3. Improve Page and Domain Authority
  4. Referral Traffic
  5. Building Relationship 

১। Faster Indexing

একটি ব্লগের পোস্ট সার্চ ইঞ্জিন যত কমসয়ের মধ্যে Index করবে সার্চ ইঞ্জিনে হতে পোস্টটি তত দ্রুত ট্রাফিক জেনারেট করতে পারবে। কারণ একটি পোস্ট Index না হওয়া পর্যন্ত সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজে শো হবে না।

এ ক্ষেত্রে আপনার নতুন পোস্টগুলো ভালোমানের ব্লগের সাথে Backlink তৈরি করতে পারলে সার্চ ইঞ্জিন ক্রলার ঐ ব্লগের পোস্টে ক্রল করার মাধ্যমে আপনার পোস্টটি পেয়ে দ্রুত Index করে নিবে। নরমালি নতুন একটি পোস্ট সম্পর্কে সার্চ ইঞ্জিন ধারনা নিতে কিছুটা সময় নেয়। তাছাড়া আপনার ব্লগটি নতুন হলে পোস্ট সম্পর্কে সার্চ ইঞ্জিনের ধারনা নিতে লম্বা সময় লাগতে পারে। নতুন পোস্ট কম সময়ের মধ্যে Index করাতে চাইলে Backlink এর গুরুত্ব অপরিসীম।

২। Improve Organic Rank

Backlinks নিঃসন্দেহে একটি ব্লগের সার্চ র‌্যাংকিং বৃদ্ধি করবে। বিশ্ব বিখ্যাত সকল এসইও কোম্পানি ও এসইও এক্সপার্টগণ সবসময় বলে থাকেন একটি ভালোমানের পোস্টে যত বেশী ব্যাকলিংক থাকবে সার্চ ইঞ্জিনে পোস্টটি তত বেশী র‌্যাংক করতে সক্ষম হবে। 

৩। Improve Page and Domain Authority

এক সময় গুগল এর নিজেস্ব র‌্যাংকিং সিস্টেম ছিল (১ থেকে ১০) কিন্তু কয়েক বছর পূর্বে গুগল তাদের র‌্যাংকিং সিস্টেমের গোপনীয়তা রক্ষার্থে র‌্যাংকিং পদ্ধতি বাতীল করে দিয়েছে। সে জন্য বর্তমানে Page Authority ও Domain Authority এর মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইটের র‌্যাংক পরিমাপ করা হয়। সাধারণত Page Authority ও Domain Authority ০১ থেকে ১০০ পর্যন্ত হয়ে থাকে। একটি ওয়েবসাইটের PA and DA যত বেশী থাকে সেই ওয়েবসাইটের র‌্যাংক তত ভালো হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর একটি ব্লগের PA and DA বৃদ্ধিতে Backlink গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

৪। Referral Traffic

যে সমস্ত ব্লগে প্রচুর পরিমানে ট্রাফিক রয়েছে সে সমস্ত ব্লগ হতে Backlink তৈরি করতে পারলে Referral Traffic এর মাধ্যমে আপনার ব্লগে প্রচুর পরিমানে ট্রাফিক পাওয়ার সম্ভবনা তৈরি হয়ে যায়। কারণ ভালোমানের ব্লগে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর থাকে এবং সেই ব্লগের পোস্টের ভীতরে Anchor Text হিসেবে আপনার ব্লগের লিংক শেয়ার করলে ঐ পোস্টের ৮০% ভিজিটর ব্যাকলিংকে ক্লিক করে আপনার ব্লগের পোস্ট পড়তে আসবেই। এ ধরনের Backlink পাওয়া অনেক দুরুহ ও কষ্টসাধ্য বিষয়। তবে ইচ্ছা করলে Guest ব্লগিংয়ের মাধ্যমে এ ধরনের ব্যাকলিংক ক্রিয়েট করতে পারেন। কারণ Guest ব্লগিং ছাড়া কেউ এ ধরনের Backlink দিতে চাইবে না।

৫। Building Relationship

Backlink নিঃসন্দেহে বিভিন্ন ব্লগ এবং পাঠকের মধ্যে এক ধরনের Relationship তৈরি করে। ব্যাকলিংকের মাধ্যমে যেমনি একটি ব্লগের সাথে আরেকটি ব্লগের লিংকিং সম্পর্ক ঘটে অন্য দিকে পাঠকগণ এক ব্লগ থেকে লিংকের মাধ্যমে অন্য ব্লগের সাথে পরিচয় ঘটে। এতেকরে পাঠকের কাছে আপনার ব্লগের আর্টিকেল ভালো লাগলে ব্লগটি সাবস্ক্রাইব সহ ফেইসবুক ও টুইটাই পেজগুলো লাইক করে নিতে পারে। এ ভাবে Backlink ব্লগের Relationship তৈরি করে ব্লগের র‌্যাংক এবং ট্রাফিক বৃদ্ধি করবে।

কিভাবে Backlink তৈরি করবেন?

এতক্ষণ দীর্ঘ আলোচনার পর এবার Backlink এর মূল পয়েন্টে আসলাম। আমার বিশ্বাস উপরের আলোচনা ও বিশ্লেষন থেকে আপনি ব্যাকলিংক এর নাড়ীভূড়ি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা পেয়ে গেছেন। Backlink তৈরি করার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করার পূর্বে পুনরায় আপনাকে একটি বিষয় জানিয়ে রাখছি যে, ব্যাকলিংক তৈরি ক্ষেত্রে আপনি শুধুমাত্র Quantity এর উপর গুরুত্ব না দিয়ে Quality এর উপর গুরুত্ব দেবেন।

কারণ অতিরিক্ত ব্যাকলিংক তৈরি করতে গেলে গুগল কম গুরুত্বপূর্ণ লিংকগুলোকে পেনালাইজড করে স্প্যাম হিসেবে ধরে নিবে। এতেকরে আপনার সেই Backlink গুলো র‌্যাংক বৃদ্ধির পরিবর্তে র‌্যাংক বৃদ্ধিতে বিপরীতমুখি কাজ করবে।

Backlink তৈরি বা বৃদ্ধির কয়েকটি উপায় সংক্ষেপে দেখে নিন-
  1. Quality Content (Most Important)
  2. Guest Blogging
  3. Submit to Web Directories
  4. Broken Link Building
  5. Competitors Backlinks

১। Quality Content

আপনার ব্লগে ভালোমানের আর্টিকেল লিখতে পারলে Backlink পাওয়া সময় স্বাপেক্ষ ব্যাপার মাত্র। সাধারণত একটি প্রবাদ আছে যে, যার ভীতরে প্রতিভা আছে সে জ্বলে উঠবেই। আপনার ব্লগের কন্টেন্ট সবার চাইতে কোয়ালিটি সম্পন্ন হলে অন্যরা আপনার ব্লগের পোস্ট তাদের ব্লগে অবশ্যই শেয়ার করবে। আপনি সাধারণ সেন্সে চিন্তা করে দেখুন, আপনার ব্লগে কোন ভালোমানের ইউনিক কন্টেন্ট না থাকলে কেন শুধু শুধু অন্যরা আপনার ব্লগের পোস্ট শেয়ার করতে যাবে। পোস্ট শেয়ার করার পিছনে অবশ্যই একটি কারন লাগবে। আর সেই কারন হতে হবে কোয়ালিটি সম্পন্ন আর্টিকেল।

ভালোমানের লেখক হওয়া বা ভালোমানের আর্টিকেল লিখার কয়েকটি টিপস দেখুন-
  • বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধান সংক্রান্ত বিষয়ে লিখুন। একজন ভিজিটর শুধু শুধু কারন ছাড়া অনলাইনে ব্লগ পড়তে আসে না। কোন না কোন সমস্যায় পড়ে সমাধানের জন্য খোঁজতে খোঁজতে আপনার ব্লগে আসে। এ ক্ষেত্রে সমাধান পেলে অবশ্যই আপনার পোস্টের লিংক বিভিন্ন মাধ্যমে শেয়ার করবে।
  • সব শ্রেণীর পাঠক সহজে বুঝতে পারে এমন ভাষা ব্যবহার করে লিখুন। বিশেষকরে ইংরেজী ব্লগের ক্ষেত্রে সহজ শব্দ ব্যবহার করে লিখার চেষ্টা করুন। এতেকরে অল্প শিক্ষিত ও বেশি শিক্ষিত সহ সর্বস্তরের পাঠক লেখার ভাষা বুঝতে পারবে। নিজেকে মেধাবি হিসেবে হাসিল করার জন্য শুধু শুধু জঠিল বাক্য ব্যবহার করে সহজ বিষয়কে কঠিন করবেন না।
  • বর্তমান সময়ে অনলাইনে সব ধরনের আর্টিকেল পাওয়া যায়। তারপর যে কোন বিষয়কে একটু ইউনিক আঙ্গিকে অন্যদের চাইতে আলাদা স্টাইলে লিখার চেষ্টা করবেন।
  • কোন একটি বিষয়ে লেখার পর সেটির শেষের দিকে উদাহরন দিয়ে আরো পরিষ্কার করার চেষ্টা করবেন। এতেকরে পাঠকের কাছে আপনার লেখার গ্রহনযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে।
  • বিভিন্ন এক্সপার্টদের সাথে ইন্টারভিউ এর আয়োজন করে সেটি ব্লগে শেয়ার করতে পারেন। এটি আপনার ব্লগের পাঠকের কাছে মূল্য বাড়িয়ে তুলবে।
আপনার ব্লগে ভালোমানের কন্টেন্ট শেয়ার করার পর সেটিকে সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে পাঠকের কাছে পৌছে দিতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই অল্প কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে। কারণ নরমালি সার্চ ইঞ্জিন আপনার নতুন পোস্টটি ইনডেক্স করতে কিছুটা সময় নেবে। সে জন্য আপনার লেখাটি দ্রুত পাঠকের কাছে পৌছে দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে Backlink তৈরি করতে চাইলে পোস্টটি পাঠকের কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে। 

আপনি যে বিষয়ে পোস্ট লিখেছেন সেই পোস্টের প্রধান কীওয়ার্ড গুগল সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে আপনার ব্লগের কম্পিটিটরদের ব্লগ খোজে তাদের ব্লগের যোগাযোগ ফরমের মাধ্যমে আপনার ব্লগের নতুন পোস্টটি সম্পর্কে জানিয়ে দিতে পারেন। এতে করে তারা অবশ্যই মেইলে প্রাপ্ত লিংকে ক্লিক করে আপনার পোস্টটি পড়ে নিবে।
তাছাড়াও চাইলে আপনার ব্লগের কাঙ্খিত পোস্টের Trending Topic খোঁজে পাওয়ার জন্য BuzzSumo ফ্রি টুল এর সাহায্য নিতে পারেন।

২। Guest Blogging

একজন ব্লগার তার নিজের এবং ব্লগের আত্মপ্রকাশ ঘটানোর জন্য সবচাইতে সহজ উপায় হচ্ছে Guest Blogging. নতুন ব্লগাররা Guest Blogging ব্যতীত কোনভাবে নিজের ব্লগের জন্য Backlink ক্রিয়েট করতে পারবে না। আপনি কোন একটি ব্লগে ভালোমানের ইউনিক পোস্ট শেয়ার করতে পারলে সেই ব্লগের এ্যাডমিন নরমালি ঐ পোস্টের ভীতরে আপনাকে ২/৪ টি Backlink দিতে কোন দ্বিধাবোধ করবে না।

তবে গ্যাস্ট ব্লগিং অনুমোদন করে এমন ভালোমানের ব্লগ পাওয়াটা অনেক দুরুহ বিষয়। অধিকাংশ ভালোমানের ব্লগ গ্যাস্ট পোস্ট রিসিভ করতে চায় না। আর কিছু কিছু ব্লগ রয়েছে যেগুলো গ্যাস্ট পোস্ট রিসিভ করে কিন্তু তাদের অনেক Term and Condition থাকে বিধায় সবার জন্য Guest Blogging করা সম্ভব হয়ে উঠে না। আবার কিছু কিছু ব্লগ রয়েছে যেগুলোতে গ্যাস্ট ব্লগিংয়ের মাধ্যমে পোস্ট করা যায় কিন্তু প্রথম অবস্থায় কোন Backlink দিতে চায় না।

তবে আমার বিশ্বাস আপনি যে কোন ব্লগে ভালোমানের কন্টেন্ট দিয়ে গ্যাস্ট ব্লগিং করলে এ্যাডমিন আপনাকে অন্তত একটি হলেও Backlink দেবে। একটি ভালোমানের ব্লগের একটি ব্যাকলিংক আপনার ব্লগের জন্য অনেক মূল্যবান হয়ে উঠতে পারে।

কিভাবে Guest Blog খোঁজে পাবেন?

গ্যাস্ট পোস্ট রিসিভ করে এমন অনেক ব্লগ অনলাইনে খোঁজে পাওয়া যাবে। এই কাজটি আপনি গুগল সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে করতে পারেন। কিভাবে সার্চ করে সেগুলো গুগল থেকে বের করবে সেটা সম্পর্কে মোটামোটি ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করব।
  • [Your Keyword] “guest post”
  • [Your Keyword] “Write for us”
  • [Your Keyword] “guest blog”
  • [Your Keyword] “guest posting”
  • [Your Keyword] “guest blogging”
  • [Your Keyword] “Submit a guest post”
  • [Your Keyword] “submit post”
  • [Your Keyword] “Submit blog post”
  • [Your Keyword] “Add blog post”
  • [Your Keyword] “Submit an article”
  • [Your Keyword] “Submit your content”
  • [Your Keyword] “Suggest a guest post”
এভাবে আপনি সহজে গুগল থেকে আপনার ব্লগের সাথে রিলিটেড টপিকের গ্যাস্ট ব্লগ খোঁজে বের করতে পারেন। কিছু ব্লগ পাবেন যেগুলো আপনাকে তাদের ব্লগে রেজিস্ট্রেশন করার অনুমতি দেবে আবার কিছু ব্লগ যারা শুধুমাত্র পোস্ট রিসিভ করে থাকে। তাছাড়া কোন ব্লগ আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে এবং সেখানে আপনি গ্যাস্ট ব্লগার হিসেবে কাজ করতে চাইলে সেই ব্লগের এ্যাডমিন এর সাথে সরাসরি কিংবা ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন।

এতেকরে যারা গ্যাস্ট ব্লগার রিসিভ করে না তারাও আপনার অনুরোধে আপনাকে গ্যাস্ট ব্লগার হিসেবে যুক্ত করে নিতে পারে। তবে গ্যাস্ট ব্লগিং এর ক্ষেত্রে অবশ্যয় লক্ষ্য রাখবেন আপনি যে ব্লগে গ্যাস্ট ব্লগিং করছেন সেই ব্লগ যেন আপনার ব্লগের বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত হয়। তা না হলে গ্যাস্ট ব্লগিং করে প্রাপ্ত Backlink আপনার ব্লগের জন্য কোন ধরনের মূল্য নিয়ে আসতে পারবে না।

৩। Submit to Web Directories

Directory Submission বলতে এমন কিছু ওয়েব সাইটকে বুঝায় যেগুলো বিভিন্ন ব্লগ/ওয়েবসাইট-কে তাদের তথ্য ভান্ডারে জমা রাখে। Directory সাইটের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে যে, একজন ভিজিটর যাতে খুব সহজেই তার সার্চকৃত কাঙ্খিত ওয়েবসাইট পেয়ে যায় এবং সেই ওয়েব সাইটগুলো থেকে সেবা নিতে পারে। একটি নুতন ব্লগকে অনলাইন জগতের সাথে দ্রুত পরিচয় ঘটনার জন্য Directory Submission গুরুত্ব অপরিসীম।

অনলাইনে অনেক Web Directories রয়েছে যেগুলো আপনি গুগলে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। তবে Directory Submission করা পূর্বে অবশ্যই সেগুলো যাচাই করে নিবেন। তা না হলে গণহারে Backlink তৈরির ফলে আপনার ব্লগটি স্পামিং এর সমস্যায় পড়তে পারে। এ বিষয়টি নিয়ে আমি ভবিষ্যতে একটি বিস্তারিত পোস্ট শেয়ার করা চেষ্টা করব।

৪। Broken Link Building

অনলাইনে বিলিয়ন বিলিয়ন ওয়েবসাইট/ব্লগ রয়েছে। প্রতিদিন নিত্য নতুন ব্লগ তৈরি হচ্ছে আবার অনেকে প্রতিযোগিতায় ঠিকতে না পেরে ব্লগিং ছেড়ে দিচ্ছে। তাছাড়া অনেকে প্রতিনিয়ত তাদের পোস্ট আপডেট করছে এবং পরিবর্তনের করছে। এই আপডেট ও পরিবর্তনের ফলে আপনার ব্লগ ঐ সমস্ত ব্লগ হতে এক সময়ের প্রাপ্ত Backlink গুলো হারাচ্ছে। যার ফলে আপনার ব্লগের Broken Link বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এই ধরনের Broken Link সার্চ ইঞ্জিন কোনভাবে পছন্দ করে না। Broken Link এর ফলে সার্চ ইঞ্জিন আপনার ব্লগের লিংকটি সম্পর্কে দ্বিধাদ্বন্দের মধ্যে থাকে যে, আসলে আপনার পোস্ট আদৌ একটিভ আছে কি না? তাছাড়া Broken Link এর কারনে ভিজিটররা বিরক্তিকর পরিস্থিতিতে পড়েন যেটি আপনার ব্লগে র‌্যাংকিং হ্রাস করার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে।

অনলাইনে বিভিন্ন পেইড ও ফ্রি টুলস রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে খুব সহজে ব্লগের Broken Link গুলো ফাইন্ড আউট করা যায়।

৫। Competitors Backlinks

আপনি যে বিষয় নিয়ে ব্লগিং করছেন এবং যে বিষয়ের উপর পোস্ট লিখেছেন সেই বিষয়ের টার্গেটেড কীওয়ার্ড লিখে গুগলে সার্চ করলে কাঙ্খিত কীওয়ার্ডে কোন কোন ব্লগ র‌্যাংক করছে সে বিষয়ে ধারনা পেয়ে যাবেন। তারপর ঐ সমস্ত ব্লগগুলোর লিংক বিভিন্ন টুলস এর সাহায্যে এনালাইস করে তারা কোন কোন ব্লগ বা প্লাটফর্ম হতে Backlink নিয়েছে সে বিষয়ে ধারনা নিতে পারেন। তারপর তারা যে যে ব্লগ/ওয়েবসাইট হতে ব্যাকলিংক নিয়েছে আপনিও সেই ব্লগ/ওয়েবসাইট হতে Backlink ক্রিয়েট করার চেষ্টা করতে পারেন।

Competitors Backlinks চেক করার জন্য aherfs টুলস হচ্ছে সবচাইতে জনপ্রিয়। সাধারণত এ ধরনের অপশন এনালাইস করার জন্য ভালোমানের কোন ফ্রি টুলস নেই বিধায় আমি আপনাদের বিষয়টি হাতে কলমে দেখাতে পারছি না। তবে খুব শীঘ্রই আমি aherfs টুলস এর মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করব।

৬। অন্যান্য উপায়ে Backlink তৈরি

উপরের ৫ টি উপায় ছাড়াও আপনি আরো কিছু টেকনিক অবলম্বন করে বিভিন্ন ব্লগ/ওয়েবসাইট হতে Backlink তৈরি করতে পারেন। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে উপরের সবগুলো পদ্ধতিতে ব্যাকলিংক বৃদ্ধি করার জন্য সাজেস্ট করব। এখন নিচে যে উপায়গুলো শেয়ার করছি সেগুলো গুরুত্ব সহকারে না নেওয়ার জন্য আপনাদের রিকোমেন্ট করব।

কারণ এগুলোর মাধ্যমে আপনি হয়ত Backlink ক্রিয়েট করতে পারবেন কিন্তু সেগুলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে খুব বেশী গুরুত্ব বহন করবে না। তবে আপনার ব্লগটি নতুন হয়ে থাকলে শুধুমাত্র ফোরাম পোস্টের মাধ্যমে Backlink ক্রিয়েট করতে পারেন। নতুন অবস্থায় এটি আপনার ব্লগকে বিভিন্ন মাধ্যমে পরিচয় ঘটিয়ে দিতে সাহায্য করবে।
  • ফোরাম পোষ্ট করে।
  • অন্যের ব্লগে কমেন্ট করে।
  • ফোরামে কমেন্ট করে।
  • প্রেস রিলিজের মাধ্যমে।
  • লিংক এক্সচেন্জ করে।
  • ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে।
  • ব্যাকলিংক ক্রয় করে (Paid Backlinks)। 

কি কি দেখে Backlink তৈরি করবেন?

উপরের সকল আলোচনা ও বিশ্লেষন থেকে আপনি ইতোপূর্বে পরিষ্কার ধারনা পেয়ে গেছেন যে, কি কি বিষয় দেখে ও কি কি বিষয় বিবেচনা করে আপনার ব্লগের জন্য Backlink তৈরি করবেন। তারপরও পোস্টটি শেষ করার পূর্বে পুরো বিষয়টি আবারো একবার সামারাইজ করে নিচ্ছি।
  • অবশ্যই ভালোমানের ব্লগ থেকে Backlink ক্রিয়েট করবেন। যে সকল ব্লগের Domain Authority ও Page Authority ভালো সেই সকল ব্লগ হতে ব্যাকলিংক নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
  • আপনার বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত নয় এমন ব্লগ থেকে Backlink নিয়ে কোন লাভ নেই। কাজেই আপনার ব্লগের Niche এর সাথে মিল রয়েছে এমন ব্লগ থেকে ব্যাকলিংক তৈরি করবেন।
  • সবসময় DoFollw Backlink ক্রিয়েট করার চেষ্টা করবেন।
  • বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্যাকলিংক তৈরি না করাটাই ভালো। কারন স্প্যামিং হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • পেইড Backlink নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনার ব্যাকলিংক প্রোভাইডারের সাথে ভালোভাবে কথা বলে নিবেন। তবে আমার মতে পেইড ব্যাকলিংক না নেওয়াটাই উত্তম।
  • একই ব্লগ/ওয়েবসাইট হতে বার বার Backlink ক্রিয়েট না করে ভিন্ন ভিন্ন ব্লগ হতে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
  • আপনার ব্লগের কম্পিটিটরদের ব্লগ থেকে Backlink নেওয়ার চেষ্টা করবেন। তাহলে সহজে পোস্ট র‌্যাংক করতে পারবে।

অর্গানিক ও পেইড ব্যাক লিংক কি?

সহজভাবে বলা যায় যে, দীর্ঘ দিন ব্লগিং করার পর যখন ব্লগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেতে থাকে তখন অটোমেটিকভাবে অন্যান্য ব্লগের সাথে যে লিংক তৈরি হয় সেটিই হচ্ছে অর্গানিক ব্যাক লিংক। পক্ষান্তরে টাকার বিনিময়ে যে ব্যাক লিংকগুলি বিভিন্ন থার্ড পার্টি ব্লগ কিংবা ওয়েবমাস্টারদের নিকট থেকে কেনা হয়ে থাকে সেগুলি হচ্ছে পেইড ব্যাক লিংক। সুতরা বুঝতেই পারছেন অর্গানিক ব্যাক লিংকসের জন্য টাকা প্রয়োজন হয় না, অন্যদিকে পেইড লিংকস টাকার বিনিময়ে সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।

অর্গানিক নাকি পেইড ব্যাক লিংকস প্রয়োজন?

আমি আগেই বলেছি অর্গানিক বা অরিজিনাল ব্যাক লিংক ব্লগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সাথে সাথে অটোমেটিক বৃদ্ধি পেতে থাকে। তবে নতুন ব্লগ লাউঞ্চ করার পর আপনার ব্লগের বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত অন্য ব্লগে কমেন্ট এবং বিভিন্ন ব্লগে গ্যাস্ট ব্লগার হিসেবে জয়েনসহ ফোরামে অংশগ্রহনের মাধ্যমে সহজে ভালমানের ব্যাক লিংকস বৃদ্ধি করা যায়।

এ বিষয়টি নতুন অবস্থায় একটি ব্লগের ব্যাক লিংকস তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। যেহেতু অর্গানিক ব্যাক লিংক নিজে অথবা সময়ের সাথে সাথে অন্যরা আপনার ব্লগের গুরুত্ব বুঝে তাদের ব্লগের সঙ্গে যুক্ত করবে সেহেতু এই ধরনের লিংকস আপনার ব্লগের বিষয়ে সাথে মিল রয়েছে এমন ব্লগের সাথেই যুক্ত হয়ে ব্যাক লিংক তৈরি করবে অর্থাৎ আপনার ব্লগের বিষয় এবং যে ব্লগ হতে ব্যাক লিংকস তৈরি হয়েছে সেই ব্লগের বিষয় একই বা পাশাপাশি হবে।

অন্যদিকে যারা বিভিন্ন ওয়েবমাস্টার বা আইটি কোম্পানির নিকট হতে চুক্তির মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে ব্যাক লিংকস তৈরি করে থাকেন, তারা আপনার ব্লগের বিষয়ে সাথে মিল রয়েছে এমন ব্লগ হতে ব্যাক লিংক তৈরি করে দেন না। এ ক্ষেত্রে তাদের নেটওয়ার্ক এর আওতায় যে সমস্ত ওয়েবসাইট এবং ব্লগ রয়েছে সেই সমস্ত ব্লগ হতে খুব সহজে এবং অল্প সময়ে ব্যাক লিংক তৈরি করে দেন।

এ ক্ষেত্রে আপনার ব্লগের বিষয় ও লিংকস তৈরি হওয়া ব্লগের বিষয়ের মিল না থাকায় ব্যাক লিংকসগুলি ভিজিটর ও সার্চ ইঞ্জিন কারো নিকট হতে তেমন কোন গুরুত্ব বয়ে আনতে পারে না। আমি উদাহরনের মাধ্যমে বিষয়টি আপনাদেরকে আরো পরিষ্কার করছি। তবে উদাহরন দেওয়ার আগে আরো দুটি কথা শেয়ার করব। তারপর উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

এই পোস্টটি লিখার সূত্রপাত ঘটে আমার এক ক্লায়েন্টের মাধ্যমে। গতকাল একজন ওয়েব ডিজাইনার তার ওয়েবসাইটের এসইও করার জন্য আমার কাছে আসেন। প্রথমেই তার ওয়েবসাইটটি আমাকে দেখানোর জন্য বলি। তার সাইটটি ওয়ার্ডপ্রেসে হোস্টিং করা এবং ডোমেন ও হোস্টিং GoDaddy থেকে নেওয়া। তার ওয়েবসাইটের বিষয় ছিল ওয়েব ডিজাইনের স্কিল টেস্টিংয়ের উপর। প্রথমে দেখে আমি মনেকরেছিলান এটা খুব নরমাল একটি বিষয়।

তবে পরবর্তীতে সবকিছু দেখার পর বুঝতে পারলাম যে, ভালমানের অনেক কিছু রয়েছে। বিস্তারিত দেখে এবং আলোচনা করে বুঝতে পারলাম উনি মোটামোটি ভালমানের একজন ওয়েব ডিজাইনার। তিনি চেয়েছিলেন তার ওয়েবসাইটের পরিপূর্ণ এসইও সংক্রান্ত কাজ করাতে। আমি তার সাথে রাজি হয়েছিলাম এবং মোটামোটি সবকিছু ফাইনাল হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সমস্যা হল তাকে পর্যাপ্ত পরিমানে ব্যাক লিংকস তৈরি করে দিতে হবে।

তখন আমি তাকে বল্লাম ব্যাক লিংক তৈরি করতে হয় না। এটা সময়ের সাথে সাথে অটোমেটিক হয়ে যায়। এ বিষয়টি আপনি নিজে নিজেই করতে পারেন। কিভাবে করতে হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত বলে দিয়েছিলাম। কিন্তু সে আমার মতের সাথে কোনভাবে একমত হতে চায়নি। 

উদাহরণঃ ধরুন আপনি এ্যাপেক্স শো কোম্পানির একজন নিয়মিত ব্যবসায়ি। আপনার কোম্পানির নিয়মিত পন্য হচ্ছে বিভিন্ন নিত্য নুতন বাহারি ডিজাইনের শো। আপনি বিভিন্ন সময়ে ক্রেতাদের চাহিদানুসারে সময় উপযোগী নুতন নুতন শো ডিজাইন করে আপনার দোকানে রাখার চেষ্টা করবেন।

এ ক্ষেত্রে আপনি কখনো চাইবেন না যে, আপনার শো মার্কেটের ভীতরে একটি চায়ের দোকান বসিয়ে দিতে। কারণ সর্বস্তরের লোকজন জানেন এ্যাপেক্স হচ্ছে একটি ভালমানের শো কোম্পানি। এখানে চা খেতে যাওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না। তারপরও ভূলক্রমে কোন এ্যাপেক্স মার্কেটে চায়ের দোকান বসালে সেখানে চাঁ খেতে যাওয়া কাস্টমারের সংখ্যা কখনো ৫% এর বেশী হবে না।

ঠিক একই ভাবে আপনার ব্লগের ওয়েব ডিজাইন বিষয়ে লিখা কোন একটি পোস্ট আরেকজন কবিতা বা গল্প নিয়ে কাজ করা ব্লগের সাথে যুক্ত হয়ে ব্যাক লিংক তৈরি করলেও ঐ ব্লগের পাঠক আপনার ওয়েব ডিজাইন সংক্রান্ত ব্লগ পোস্টটি পড়তে আসবে না। কারণ একজন কবিতা পাঠকের কাছে ওয়েব ডিজাইন বিষয়টা মূল্যহীন।

তিনি স্বভাবত ওয়েব ডিজাইন বিষয়টি পড়তে চাইবেন না বা তিনি এই বিষয়টা বুঝবেনও না। এ ক্ষেত্রে তার কাছে বিষয়টি বিরক্তকর মনে হবে। অন্যদিকে সার্চ ইঞ্জিন ক্রলার যখন ঐ ব্লগে প্রাপ্ত আপনার ব্লগের লিংকটি পেয়ে লিংক ত্রো করে আপনার ব্লগে এসে দেখতে পাবে যে, আপনার ব্লগের আর্টিকেল এবং সেই ব্লগের আর্টিকেলের কোন মিল নেই তখন সার্চ ইঞ্জিন এটিকে স্প্যাম হিসেবে মার্ক করে নিবে। এ ক্ষেত্রে ঐ ব্লগ হতে প্রাপ্ত ব্যাক লিংকটি হিতের বিপরীত কাজ করবে।

উপরের আলোচনা ও বিশ্লেষণ থেকে আমি আপনাদের এই বিষয়টি বুঝাতে চেয়েছি যে, আপনি যে ভাবে ব্যাক লিংক তৈরি করুন না কেন সেটা যেন হয় আপনার ব্লগের কনটেন্টের সাথে সম্পৃক্ত। কোনক্রমেই যাতে চায়ের দোকানে আলু, পঠল ও মরিচ এর ব্যবসা শুরু করার মত না হয়। আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন নিয়ে কাজ করেন তবে ওয়েব ডিজাইন নিয়ে কাজ করছে এমন অন্যান্য ওয়েবসাইট হতে ব্যাক লিংক তৈরি করার চেষ্টা করবেন।

এন্ড্রয়েড মোবাইল নিয়ে কাজ করলে এন্ড্রয়েড সংক্রান্ত ওয়েবসাইট হতে লিংক তৈরি করার চেষ্টা করবেন। ঠিক একই ভাবে আপনি যখন ইন্টারন্যাল ব্যাক লিংক তৈরি করবেন তখন খেয়াল রাখবেন পোষ্টটির সাথে পরিপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে এমন পোষ্ট লিংক হিসেবে যুক্ত করে দেবেন। অযথাই লিংক তৈরি করে পোষ্টটির মূল্য সার্চ ইঞ্জিনের কাছে কমিয়ে দেবেন না।

সর্বশেষঃ Backlink কি, কেন ও কিভাবে ব্যাকলিংক বৃদ্ধি করতে হয় ইত্যাদি বিষয়ে আপনাদের সহজে ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমাদের পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই ফেইসবুক ও টুইটার সহ বিভিন্ন সোসিয়াল মিডিয়াতে শেয়ার করতে ভূলবেন না। পোস্ট সম্পর্কে আপনার মতামত কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।
How to Get High Quality Backlinks ?? কিভাবে ব্যাকলিংক তৈরি করবেন (Step By Step)





কিভাবে অফ পেজ এসইও করবেন ২০২১??? সম্পূর্ণ গাইডলাইন- A to Z Tutorial for Off-page SEO 2021

আজকের পোস্টে অফ পেজ এসইও ২০২১ নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ গাইড শেয়ার করব। আপনার ব্লগের জন্য বর্তমান সময়ে কী কী অফ পেজ এসইও করতে হবে সে বিষয়ে এই পোস্ট থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন। সেই সাথে অতিতের অফ পেজ এসইও টেকনিক এবং সমসাময়িক অফ পেজ এসইও টেকনিক এর কতটুকো পার্থক্য রয়েছে সে বিষয়ে জানার পাশাপাশি আপনার ব্লগের অফ পেজ এসইও এর প্রয়োজনীয় সকল বিষয় জেনে নিয়ে ব্লগে নতুন টেকনিক এপ্লাই করতে পারবেন।

Contents

অফ পেজ এসইও কি?

কেন অফ পেজ এসইও গুরুত্বপূর্ণ?

অন পেজ এসইও এবং অফ পেজ এসইও এর মধ্যে পার্থক্য কি?

লিংক এবং অফ পেজ এসইও

কিভাবে অফ পেজ এসইও করবেন?

অফ পেজ এসইও করার উপায় কি?

১। ব্যাকলিংক তৈরি করা

২। সোশ্যাল মিডিয়া এনগেজমেন্ট

৩। গেস্ট পোস্টিং

৪। ফোরাম পোষ্টিং

৫। ব্রান্ডিং

৬। লোকাল এসইও

৭। গুগল মাই বিজনেস

৮। গুগল মাই বিজনেস রিভিউ 

অনেকে হয়ত বলবেন যে, তাহলে কি আপনি শুধুমাত্র অনুরোধ রাখার জন্য পোস্টটি করছেন? আমি আবারও বলব হ্যাঁ, শুধুমাত্র আমাদের ব্লগের পাঠকের অনুরোধ রাখার জন্য পোস্টটি শেয়ার করছি। কারণ এত কষ্ট করে এসইও বিষয়ে একটি পোস্ট লেখার পর সেই পোস্ট থেকে আশানুরূপ ভিজিটর পাওয়া যায় না। তার কারন হচ্ছে এসইও বিষয়ে আমাদের দেশের ২% এর কম লোকের আগ্রহ আছে। তাছাড়া এসইও বিষয়ে গুগলে একদম সার্চ করা হয় না বললেই চলে। সে জন্য এসইও নিয়ে পোস্ট লেখার কোন মানেই হয় না। তারপরও ব্লগের রেপুটিশন ও পাঠকের অনুরোধ রাখতে মাঝে মধ্যে এসইও নিয়ে লিখতে হয়।

তাছাড়াও অফ পেজ এসইও নিয়ে লেখার আরেকটি ক্ষুদ্র কারণ রয়েছে। এই পোস্ট লেখার পূর্বে অফ পেজ এসইও নিয়ে কয়েকটি বাংলা ব্লগ রিসার্চ করেছি। রিসার্চ করে আমি ৪-৫ টি ব্লগ পেয়েছি যারা অফ পেজ এসইও নিয়ে বাংলা ভাষায় লিখেছেন। তাদের মধ্যে জনাব ফারুক খাঁন সাহেবের ব্লগ এবং ভারতের কলকাতার মিস্টার রাহুল দাস এর “বাংলা টেক” ব্লগে অফ পেজ এসইও বিষয়ে ভালোমানের দুটি পোস্ট দেখতে পাই।

দুঃখের বিষয় হচ্ছে যে, জনাব ফারুক সাহেব সম্ভবত পোস্টটি ২০১৮ সালে শেয়ার করেছিলেন কিন্তু এখনো পর্যন্ত পোস্টের আর্টিকেল তেমন একটা আপডেট করেননি বিধায় তাঁর ব্লগের পোস্টটি বর্তমান সমেয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কারণ ২০১৮ সালের এসইও ট্রেন্ড এবং ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ের এসইও ট্রেন্ড এর মধ্যে বিস্তর একটা পার্থক্য রয়েছে। কাজেই তাঁর অফ পেজ এসইও এর টিপসগুলো খুব বেশি কাজে লাগবে না।

তাছাড়া অন্যান্য বাংলা ব্লগগুলোতে যে সকল অফ পেজ এসইও নিয়ে পোস্ট দেখতে পেয়েছি, তাদের সবার প্রায় একই অবস্থা। সবাই কয়েক বছর আগে পোস্ট করেছেন কিন্তু আর কখনো আপডেট করেননি। মূলত অফ পেজ এসইও এর পুরাতন পোস্ট দেখে আজকের এই পোস্ট লেখার প্রতি আমার আগ্রহ তৈরি হয়।

অফ পেজ এসইও কি?

অফ পেজ এসইও এর আরেক নাম হচ্ছে অফ সাইট এসইও। মূলত অফ পেজ এসইও এর কাজ ব্লগের বাহিরে করা হয় বিধায় এটাকে অফ পেজ এসইও বলা হয়। সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজে ভালো র‌্যাংক পেয়ে সার্চ ইঞ্জিন হতে অগ্রানিক ট্রাফিক বৃদ্ধি করার করার জন্য ওয়েবসাইটের বাহিরে যে সমস্ত এসইও এর কাজ করা হয় সেটাই অফ পেজ এসইও নামে পরিচিত। অফ পেজ এসইও এর সবচাইতে কমন কাজ হচ্ছে ব্যাকলিংক তৈরি করা, সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করা, ওয়েবসাইট প্রচার করা এবং ওয়েবসাইটের ব্রান্ড তৈরি করা।

কেন অফ পেজ এসইও গুরুত্বপূর্ণ?

কিছু কিছু নতুন এসইও এক্সপার্টরা না বুঝে বলে থাকে অফ পেজ এসইও এর দিন শেষ হয়েগেছে! কিন্তু গুগল পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিচ্ছে তারা এখনো একটি ওয়েবসাইট র‌্যাংক করার ক্ষেত্রে ব্যাকলিংককে বেশ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। সেই সাথে গুগল এখনো পর্যন্ত পেজ র‌্যাংকিং গুরুত্বের সহিত বিবেচনা করে সার্চ র‌্যাংকিং নির্ধারণ করছে। সুতরাং অফ পেজ এসইও এর গুরুত্ব এখনো রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

তাছাড়া গুগল এখনো একটি ওয়েবসাইটের ব্রান্ডিংকে বেশ গুরুত্বের সহিত বিবেচনা করে। যে সকল ওয়েবসাইট অনলাইনে প্রচুর পরিমানে জনপ্রিয়তা রয়েছে সেই সকল ওয়েবসাইটের ব্রান্ডিং এর কারনে গুগল এমনিতে তাদের ভালো র‌্যাংকিং প্রদান করে। সেই সাথে কোন একটি ওয়েবসাইট সম্পর্কে ইউজাররা ভালো রিভিউ করলে ও রিকোমেন্ডিশন করলে সেগুলোকে গুগল গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে সার্চ র‌্যাংকিং নির্ধারণ করে। কাজেই একটি ওয়েবসাইটের সার্চ র‌্যাংকিং বৃদ্ধি করে সার্চ ইঞ্জিন হতে ট্রাফিক বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে অফ পেজ এসইও এর অনেক গুরুত্ব রয়েছে।

অন পেজ এসইও এবং অফ পেজ এসইও এর মধ্যে পার্থক্য কি?

অন পেজ এসইও এবং অফ পেজ এসইও এর মধ্যে পার্থক্য বুঝার পূর্বে আমাদের ব্লগের অন পেজ এসইও সংক্রান্ত পোস্টটি পড়ে নিবেন। তাহলে আপনি অন পেজ এসইও সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা পেয়ে যাবেন। 

একটি ওয়েবসাইটের অন পেজ এসইও এর কাজ ওয়েবসাইটের ভীতরে করা হয়। যেমন- কনটেন্ট অপটিমাইজেশন, টাইটটেল ট্যাগ, ম্যাটা ট্যাগ, কিওয়ার্ড রিসার্চ ও ব্যবহার, ইন্টারন্যাল লিংকিং এবং ইমেজ অপটিমাইজ সহ আরো কিছু কাজ যেগুলো নিজে নিজে ওয়েবসাইট অপেন করে অপটিমাইজ করা সম্ভব হয়। 

কিন্তু অফ পেজ এসইও এর কাজ আপনার ওয়েবসাইটের ভীতরে করতে পারবেন না। তুলনামূলকভাবে অন পেজ এসইও এর চাইতে অফ পেজ এসইও করা অনেক কঠিন। কারণ অফ পেজ এসইও এর কাজ ব্লগের বাহিরে করতে হয় বিধায় অফ পেজ এসইও করা কিছুটা কঠিন ও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। বিশেষকরে লিংক বিল্ডিং করার ক্ষেত্রে একজন এসইও এক্সপার্টকে বেশ সমস্যা পড়তে হয়। এই দুইয়ের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হচ্ছে অন পেজ এসইও ওয়েবসাইটের ভীতরে করা যায় কিন্তু অফ পেজ এসইও ওয়েবসাইটের ভীতরে করা যায় না।

লিংক এবং অফ পেজ এসইও

আমি আগেও বলেছি ব্যাকলিংক হচ্ছে অফ পেস এসইও এর প্রাণ। একটি ওয়েবসাইটের কনটেন্ট হচ্ছে কিং এবং ভালোমানের কনটেন্ট হচ্ছে সব ধরনের এসইও এর রাজা। সার্চ র‌্যাংকিং বৃদ্ধিতে গুগল একটি ওয়েবসাইটের পোস্টের আর্টিকেল খুব গুরুত্বের সহিত যাচাই করার পর কোন ধরনের কোয়ালিটি ব্যাকলিংক পেলে, তবেই গুগল পোস্টের র‌্যাংক করায়। Moz এর ভাষ্য অনুসারে ৩ ধরনের লিংক রয়েছে। যথা-
  1. Natural Links: যখন অন্য কোন ওয়েবসাইট আপনার ওয়েবসাইটের কোন একটি পোস্ট শেয়ার করে তখন সেটাকে Natural Link হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। শুধুমাত্র ভালোমানের আর্টিকেল লিখতে পারলে কেবলমাত্র এ ধরনের লিংক পাওয়ার আশা করা যায়।
  2. Manually Built Links: এটা অনেকটা লিংক বিনিময় করার মত। সাধারণত চুক্তির মাধ্যমে অন্যের ব্লগের লিংক আপনার ব্লগে শেয়ার করা এবং আপনার ব্লগের লিংক অন্যের ব্লগে লিংকিং করাই হচ্ছে Mannually Links Bulding. 
  3. Self-Created Links: কমেন্ট ব্যাকলিংক, ইনফোগ্রাফিক, গেস্ট পোষ্ট, ফোরাম পোস্টিং এর মাধ্যমে লিংক তৈরি করাকে Self-Created Links বলে। কোয়ালিটি ও রেলিভেন্সি ছাড়া বর্তমানে এ ধরনের ব্যাংলিংকস র‌্যাংক বৃদ্ধি করতে পারে না।

কিভাবে অফ পেজ এসইও করবেন?

একসময় ছিল যখন খুব সহজে অফ পেজ এসইও করা সম্ভব হত। কারণ শুধুমাত্র যেন তেন উপায়ে ব্যাকলিংক তৈরি করতে পারলে একটি ওয়েসাইট সহজে গুগলে র‌্যাংক করতে পারত। কিন্তু সম্প্রতি গুগল র‌্যাংক ব্রেইন এলগরিদম আপডেট করার ফলে একটি ওয়েবসাইট গুগলে র‌্যাংক করানো আরো কঠিন হয়ে পড়েছে।

২০১৯ সালের পূর্বে একটি ওয়েবসাইটে যেকোন ধরনের NoFollow লিংক তৈরি করতে পারলেই গুগল সেই ওয়েবসাইটের লিংককে গুরুত্বের সহিত বিবেচনা করে র‌্যাংক দিয়ে দিত। কিন্তু গুগল র‌্যাংক ব্রেইন এলগরিদম আপডেট করার ফলে গুগল এখন NoFollow ব্যাকলিংককে কোন পাত্তাই দিচ্ছে না। সেই সাথে যে সকল DoFollow লিংক রিলেভেন্ট নয় সেগুলোকেও গুগল কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না। পাশাপাশি যে সকল রিলেভেন্ট DoFollow লিংক হতে ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আসে না, সেই ব্যাকলিংককেও গুগল ব্যাংকলিংক হিসেবে বিবেচনা করে না।

কাজেই আপনি যদি মনে করেন যে, শুধু শুধু অন্যের ওয়েবসাইটের কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করলেই আপনার ওয়েবসাইটের সার্চ র‌্যাংকিং বৃদ্ধি পাবে, তাহলে আপনি এখনো বোকার স্বর্গে বাস করছেন। বরংচ অন্যের ওয়েবসাইটে কারণ ছাড়া অতিরিক্ত লিংকিং করলে আপনার সাইটের র‌্যাংকিং ডাউন হওয়ার সম্ভবনা তৈরি হবে।

সেই সাথে পূর্বে একটি ওয়েবসাইটের পোস্ট বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করলেই গুগল সেই ওয়েবসাইটের পোস্টকে গুরুত্ব দিত। কিন্তু গুগল এখন বলছে যে, শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট শেয়ার করলেই হবে না। সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট শেয়ার করার পর যে পোস্টের এনগেজমেন্ট বেশি থাকবে সেই পোস্ট সার্চ র‌্যাংকিং পাবে। আর যে পোস্টে কোন ধরনের এনগেজমেন্ট থাকবে না সেই পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার হওয়া সত্বেও র‌্যাংকিং বৃদ্ধিতে কোন অবদান রাখতে পারবে না।

অফ পেজ এসইও করার উপায় কি?

আপনার মনে হয়ত প্রশ্ন জাগতে পারে যে, তাহলে এখন অফ পেজ এসইও করার উপায় কি? অবশ্যই উপায় আছে। তবে এতটা সহজে এখন অফ পেজ এসইও করতে পারবেন না। অফ পেজ এসইও করে র‌্যাংক বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে আপনাকে এখন থেকে আরো বেশি পরিশ্রম করতে হবে এবং স্মার্টনেস দেখাতে হবে। নিচের কয়েকটি অফ পেজ এসইও টেকনিক এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসােইটের র‌্যাংক বৃদ্ধি করতে পারবেন।

১। ব্যাকলিংক তৈরি করা

যারা শুধুমাত্র ব্লগিং করেন তাদের ক্ষেত্রে সার্চ র‌্যাংকিং বৃদ্ধি করার জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ অফ পেজ এসইও হচ্ছে লিংক বিল্ডিং করা। তবে ব্যাকলিংক তৈরি করার ক্ষেত্রেও কিছু রেসটিকশন রয়েছে। শুধুমাত্র কমেন্ট করে অবাঞ্চিত ব্যাকলিংক তৈরি করা যাবে না। আপনি যে ওয়েবসািইট থেকে ব্যাকলিংক তৈরি করবেন সেই ওয়েবসাইটের কোয়ালিটি এবং পোস্টের রেলিভেন্সি যাচাই করার পর যুক্তি যুক্ত উপায়ে ব্যাকলিংক তৈরি করতে হবে।

শুধু শুধু Private Blog Network (PBN) Backlink, Social Bookmarking, Forum Submission, Directory Submission এবং Image Submission করে কোন ফায়দা হবে না। এ ধরনের ব্যাকলিংক একসময় কাজ করত, কিন্তু বর্তমানে এগুলো সার্চ র‌্যাংকিং বৃদ্ধিতে কোন অবদান রাখতে পারছে না। ব্যাকলিংক তৈরি করার বিষয়ে আমি আর কিছু বলতে চাইছি না। কারণ ব্যাকলিংক তৈরি নিয়ে আমাদের ব্লগে একটি বিস্তারিত পোস্ট রয়েছে। পোস্টটি পড়লে ব্যাকলিংক সম্পর্কিত সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

২। সোশ্যাল মিডিয়া এনগেজমেন্ট

একসময় শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার বলা হত কিন্তু এখন সেটা সোশ্যাল মিডিয়াল এনগেজমেন্ট বলা হচ্ছে। কারণ বর্তমানে শুধুমাত্র ওয়েবসাইটের পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করলে র‌্যাংকিং বৃদ্ধিতে কোন ভূমিকা পালন করতে পারে না। সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করার পর সেই পোস্টের লিংকে ক্লিক করে যখন লোকজন ওয়েবসাইট ভিজিট করবে তখন সেই সোশ্যাল মিডিয়া এনগেজমেন্ট আপনার ওয়েবসাইটের র‌্যাংকিং বৃদ্ধি করতে পারবে।

সে জন্য আপনি যেকোন সোশ্যাল মিডিয়ার যেকোন পেজ ও গ্রুপে পোষ্ট শেয়ার করার পূর্বে যাচাই করে নিবেন যে, আপনার ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার মত কোন লোক সেখানে আছে কি না। এন্ড্রয়েড সংক্রান্ত একটি ফেসবুক গ্রুপে এসইও সংক্রান্ত পোস্ট শেয়ার করলে সেই পোস্ট কেউ পড়তে আসবে না। কাজেই অর্ডিয়ান্স টার্গেট করে সোশ্যাল মিডিয়াতে ওয়েবসাইটের পোস্ট শেয়ার করলে তবেই এনগেজমেন্ট পাওয়া সম্ভব এবং ওয়েবসাইটের র‌্যাংকিং বাড়ানো সম্ভব হবে।

৩। গেস্ট পোস্টিং

অনলাইনে অনেক ধরনের ওয়েবসাইট পাওয়া যায় যারা গেস্ট পোস্ট রিসিভ করে। আপনার ব্লগের সাথে রিলেভেন্ট ওয়েবসাইটে গেস্ট পোস্ট করতে পারেন। গেস্ট পোস্ট এর মাধ্যমে যে ব্যাকলিংক তৈরী করবেন তা আপনার ওয়েবসাইটের র‌্যাংকিং বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে। তাছাড়া গেস্ট ব্লগিং এর মাধ্যমে অনলাইনে বিভিন্ন ভালোমানের ব্লগারদের সাথে পরিচিত হয়ে কমিউনিটি তৈরি করা যায়। যা আপনাকে পরবর্তীতে ব্যাংকলিংক এনে দিতে সহায়তা করবে।

​তবে গেস্ট পোস্টের ক্ষেত্রেও লক্ষ্য রাখবেন, আপনি যে ব্লগটিতে লিখবেন সেটা আপনার নিস রিলিভেন্ট হতে হবে। সেই সাথে ঐ ব্লগের র‌্যাংক, ডোমেইন অথরিটি ও PA and DA যাচাই করার পর গেস্ট পোস্ট করবেন। যেই ব্লগের পোস্ট আমার ব্লগের বিষয়ে সাথে মিল নেই সেই ব্লগে কখনো গেস্ট ব্লগিং করবেন না। কারণ এতেকরে প্রাপ্ত ব্যাকলিংক আপনার ব্লগের র‌্যাংক বৃদ্ধিতে কোন ভূমিকা রাখতে পারবে না।

৪। ফোরাম পোষ্টিং

ব্যাকিলিংকস বৃদ্ধি করার জন্য ফোরাম পোস্টিং হচ্ছে অফ পেজ এসইও এর আরেকটি কৌশল। অনলাইনে অনেক ভালোমানের ফোরাম রয়েছে, যেগুলোতে জয়েন করে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়ে এবং সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে ব্যাকলিংক তৈরি করতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রেও আপনাকে খেয়ালা রাখতে হবে, যে ফোরাম থেকে লিংক বিল্ড করবেন সেটা যেন আপনার ব্লগ রিলেটেড হয়। তা না হলে ব্যাকলিংক ক্রিয়েট করে কোন ফায়দা হবে না।

৫। ব্রান্ডিং

আপনার ওয়েবসাইট এর ব্রান্ডিং তৈরি করতে পারলে অনায়াসে আপনার ওয়েবসাইটের র‌্যাংকিং বৃদ্ধি পাবে। সাধারণত একটি নরমাল ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে এটা সম্ভব হয় না। যে সকল ওয়েবসাইটের বয়স অনেক দিন হয়েছে এবং যাদের ওয়েবসাইট প্রচুর পরিমানে পরিচিত, কেবলমাত্র তারাই তাদের ওয়েবসাইটের ব্রান্ডিং তৈরি করতে পারে।

ওয়েবসাইটের ব্রান্ডিং তৈরি হলে মানুষ সরাসরি আপনার ওয়েবসাইটের নাম লিখে গুগলে সার্চ করতে থাকবে। যার ফলে গুগল আপনার ওয়েবসাইটকে সবার পরিচিত নামকরা ওয়েবসাইট হিসেবে ধরে নিয়ে র‌্যাংকিং অনায়াসে বৃদ্ধি করবে। সাধারণত অনলাইনে ও অফলাইনে প্রচুর পরিমানে প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইটের ব্রান্ডিং করা সম্ভব হয়।

৬। লোকাল এসইও

লোকাল এসইও হলো কোন নির্দিষ্ট অর্ডিয়েন্সকে টার্গেট করে ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাংক করানোর জন্য অপটিমাইজ করা। আপনার ওয়েবসাইটটি যদি কোন নির্দিষ্ট দেশ বা অঞ্চলের মানুষদের টার্গেট করে তৈরি করা হয়, তাহলে আপনাকে লোকাল এসইও এর প্রতি ফোকাস করতে হবে। কারণ বাংলা ওয়েবসাইট যেহেতু শুধুমাত্র বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষ বেশি ভিজিট করে সেহেতু আপনাকে বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষকে টার্গেট করে অফ পেজ এসইও করতে হবে।

সেই সাথে আপনার ওয়েবসাইট যদি কোন নির্দিষ্ট অঞ্চল বা জেলার মানুষকে টার্গেট করে তৈরি করা হয়, তাহলে আপনাকে সেই এলাকার অর্ডিয়েন্সকে টার্গেট করে লোকাল এসইও করতে হবে। বর্তমান সময়ে গুগল লোকাল এসইও এর প্রতি অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে এবং স্থানীয় ওয়েবসাইটগুলো যত ভালোভাবে লোকাল এসইও করছে, তত সহজে সফল হতে পারছে।

ধরুন, সিলেট জেলা শহরে আপনার একটি কম্পিউটার শপ আছে। আপনি কম্পিউটার ও ল্যাপটপ সহ আনুষাঙ্গিক ইলেকট্রনিক একসোসরিজ বিক্রি করেন। এ ক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটের অর্ডিয়েন্স হবে সিলেট জেলা ও আশপাশের কিছু জেলা। এ ধরনের ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে গ্লোবাল এসইও না করে লোকাল এসইও এর প্রতি বেশি ফোকাস করতে হবে।

৭। গুগল মাই বিজনেস

ব্যবসায়িক প্রোফাইল তৈরি করার জন্য Google My Business হচ্ছে গুগল এর একটি ফ্রি সার্ভিস। ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান বিষয়ে আপনার কোন ওয়েবসাইট থাকলে গুগল মাই বিজনেস এ আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে একটি প্রোফাইল ক্রিয়েট করে রাখতে পারেন। Google My Business প্রোফাইলে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সকল ধরনের তথ্য দিয়ে রাখতে পারবেন। বিশেষকরে কোন কোন দিনগুলোতে কতক্ষণ আপনার ব্যবসা চালু থাকে এবং কখন বন্ধ হয়, ইত্যাদি তথ্য সহ আরো অনেক তথ্য Google My Business প্রোফাইলে দিয়ে রাখতে পারবেন। যার ফলে গুগল আপনার ব্যবসার ধরণ জেনে নিয়ে কাষ্টমারদের সঠিক তথ্য দিতে পারবে।

Moz এর ভাষ্য অনুসারে সার্চ র‌্যাংকিং বৃদ্ধিতে Google My Business গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষকরে লোকাল বিজনেস এর ক্ষেত্রে একটি গুগল মাই বিজনেস প্রোফাইল ক্রিয়েট করে সেখানে সকল তথ্য সহ মোবাইল নাম্বার যুক্ত করে রাখলে গুগল একটি স্থানিয় ব্যবসার ওয়েবসাইটকে সহজে সার্চ র‌্যাংকিং প্রদান করে।

৮। গুগল মাই বিজনেস রিভিউ

এ বিষয়েও Moz বলছে গুগল মাই বিজনেস এর প্রোফাইলে অর্ডিয়েন্সদের পিজিটিভ রিভিউ থাকলে গুগল সার্চ র‌্যাংকিং বৃদ্ধি পায়। গুগল মাই বিজনেস পজিটিভ রিভিউ পাওয়ার জন্য আপনার ওয়েবসাইটের প্রোডাক্ট ও কনটেন্ট কোয়ালিটি সবসময় ভালো করতে হবে। তবে গুগল মাই বিজনেস পেজে আপনার অর্ডিয়েন্সরা নেগিটিভ রিভিউ দিলে আপনার র‌্যাংকিং হিতের বিপরীত হতে পারে। কজেই বিষয় মাথায় রেখে একটি গুগল মাই বিজনেস প্রোফাইল তৈরি করতে পারলে সহজে কোম্পানির সফলতা পাওয়া সম্ভব।

শেষ কথা

একটি নরমাল ব্লগ এবং ওয়েবসাইটের র‌্যাংকিং বৃদ্ধি করার জন্য বর্তমান সময়ে যত ধরনের গুরুত্বপূর্ণ অফ পেজ এসইও রয়েছে, তার প্রায় সব ধরনের টেকনিক আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়েছে। তবে আপনি যদি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য অফ পেজ এসইও করতে চান, তাহলে এগুলোর বাহিরেও আপনাকে আরো কিছু অফ পেজ এসইও এর কাজ করতে হবে।

বিভিন্ন কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক ওয়েবসাইটের অফ পেজ এসইও বিষয়ে আপনারা জানতে চাইতে আমাদের ব্লগের কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আপনাদের পজিটিভ কমেন্ট পেলে আমরা পোস্টটি বর্ধিত করার চেষ্টা করব।

কিভাবে অফ পেজ এসইও করবেন ২০২১???  সম্পূর্ণ গাইডলাইন- A to Z Tutorial for Off-page SEO 2021