Ad 3

Education makes a door to bright future

University admission and others information,International Scholarships, Postgraduate Scholarships, College Scholarship, Study Abroad Financial Aid, Scholarship Search Center and Exam resources for PEC, JSC, SSC, HSC, Degree and Masters Examinees in Bangladesh with take from update sports News, Live score, statistics, Government, Private, current Job Circular take from this site

Education is a way to success in life

University admission and others information,International Scholarships, Postgraduate Scholarships, College Scholarship, Study Abroad Financial Aid, Scholarship Search Center and Exam resources for PEC, JSC, SSC, HSC, Degree and Masters Examinees in Bangladesh with take from update sports News, Live score, statistics, Government, Private, current Job Circular take from this site

Education is a best friend goes lifelong

University admission and others information,International Scholarships, Postgraduate Scholarships, College Scholarship, Study Abroad Financial Aid, Scholarship Search Center and Exam resources for PEC, JSC, SSC, HSC, Degree and Masters Examinees in Bangladesh with take from update sports News, Live score, statistics, Government, Private, current Job Circular take from this site

Education makes a person a responsible citizen

University admission and others information,International Scholarships, Postgraduate Scholarships, College Scholarship, Study Abroad Financial Aid, Scholarship Search Center and Exam resources for PEC, JSC, SSC, HSC, Degree and Masters Examinees in Bangladesh with take from update sports News, Live score, statistics, Government, Private, current Job Circular take from this site

Education is a key to the door of all the dreams

University admission and others information,International Scholarships, Postgraduate Scholarships, College Scholarship, Study Abroad Financial Aid, Scholarship Search Center and Exam resources for PEC, JSC, SSC, HSC, Degree and Masters Examinees in Bangladesh with take from update sports News, Live score, statistics, Government, Private, current Job Circular take from this site

Showing posts with label How To get Bank loan. Show all posts
Showing posts with label How To get Bank loan. Show all posts

Friday, April 16, 2021

দেশে কয়েক ধরণের সঞ্চয়পত্র আছে !! কোন সঞ্চয়পত্র কিভাবে কিনবেন??

দেশে এখন চার ধরনের সঞ্চয়পত্র আছে। এই চারটির মধ্যে কোনটি সবচেয়ে আকর্ষণীয় বা কে সবচেয়ে মুনাফা দেয় এই প্রশ্নও করেন অনেকে। পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, পরিবার সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র এবং পেনশনার সঞ্চয়পত্র, বর্তমানে এ চার ধরনের সঞ্চয়পত্রই চালু রয়েছে দেশে।

কিন্তু সবগুলো সমান হারে সুদ দেয় না। সবচেয়ে বেশি মুনাফা পাওয়া যায় পেনশনার সঞ্চয়পত্র থেকে। সুদের হার মেয়াদ শেষে ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। সুতরাং বলাই যায় সেরা সঞ্চয়পত্র এটি। তবে সমস্যা হচ্ছে এই সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে অবসরপ্রাপ্ত হতে হবে। পরিবার সঞ্চয়পত্রেও কিন্তু মুনাফা মোটেই কম নয়।

পাঁচ বছর মেয়াদ শেষে এই সঞ্চয়পত্রে মুনাফা পাওয়া যায় ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ হারে। পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে মেয়াদ শেষে সুদের হার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র তিন বছর মেয়াদি। এই সঞ্চয়পত্রে মেয়াদ শেষে সুদের হার ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।

 নামের মধ্যেই রয়েছে পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র পাঁচ বছর মেয়াদের। পরিবার সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্রের নামের মধ্যে মেয়াদ উল্লেখ না থাকলেও এ দুটোও পাঁচ বছর মেয়াদি। আর তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র তিন বছর মেয়াদি। পরিবার সঞ্চয়পত্রের সুদ মাসিক ভিত্তিতে এবং তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্রের সুদ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তোলা যায়।

 মেয়াদের আগে ভাঙালে সুদ কম: মেয়াদভিত্তিক সঞ্চয়পত্র কেনা হলেও মেয়াদের আগেও এগুলো ভাঙানো যায়। যেমন পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র মেয়াদপূর্তির আগে নগদায়ন করলে প্রথম বছর শেষে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ, দ্বিতীয় বছর শেষে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ, তৃতীয় বছর শেষে ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং চতুর্থ বছর শেষে ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়।

তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র মেয়াদের আগে নগদায়ন করলে সুদের হার কম হয়। এক বছরের আগে নগদায়ন করলে কোনো সুদই পাওয়া যায় না। এই সঞ্চয়পত্রে প্রথম বছর শেষে নগদায়ন করলে ১০ শতাংশ এবং দ্বিতীয় বছর শেষে নগদায়ন করলে ১০ দশমিক ৫ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়।

পরিবার সঞ্চয়পত্র মেয়াদপূর্তির আগে নগদায়ন করলে প্রথম বছর শেষে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ, দ্বিতীয় বছর শেষে ১০ শতাংশ, তৃতীয় বছর শেষে ১০ দশমিক ৫ শতাংশ এবং চতুর্থ বছর শেষে ১১ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়। পেনশনার সঞ্চয়পত্র মেয়াদপূর্তির আগে নগদায়ন করলে প্রথম বছর শেষে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ, দ্বিতীয় বছর শেষে ১০ দশমিক ১৫ শতাংশ, তৃতীয় বছর শেষে ১০ দশমিক ৬৫ শতাংশ ও চতুর্থ বছর শেষে ১১ দশমিক ২০ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়।

কারা কোনটা কিনতে পারেন: সবচেয়ে বেশি সুদ দেওয়া পেনশনার সঞ্চয়পত্র সবাই কিনতে পারেন না। অবসরভোগী সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য এবং মৃত চাকরিজীবীর পারিবারিক পেনশন সুবিধাভোগী স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানেরাই পেনশনার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন।

১৮ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সের যেকোনো বাংলাদেশি নারী, যেকোনো বাংলাদেশি শারীরিক প্রতিবন্ধী নারী ও পুরুষ এবং ৬৫ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সী বাংলাদেশি নারী ও পুরুষেরা শুধু একক নামে কিনতে পারেন পরিবার সঞ্চয়পত্র। পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র ও তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র সবার জন্য উন্মুক্ত। ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী যেকোনো শ্রেণি-পেশার মানুষ একক বা যুগ্ম নামে এ দুই ধরনের সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন।

দেশে কয়েক ধরণের সঞ্চয়পত্র আছে !! কোন সঞ্চয়পত্র কিভাবে কিনবেন??


আগ্রহ আবার বাড়ছে: বিদায়ী ২০১৯-২০ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র খাতে বিনিয়োগ কমে এক বছরের ব্যবধানে এক-তৃতীয়াংশে নেমেছিল। আগের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ৪৯ হাজার কোটি টাকা থেকে নেমে হয়েছিল ১৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ এক অর্থবছরেই কমেছিল প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা।

২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে কড়াকড়ি আরোপ করায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান। এর মধ্যে অন্যতম কারণ ছিল অনলাইন পদ্ধতিতে কেনা, ব্যাংক হিসাব থাকা, এক লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) থাকা ইত্যাদি শর্ত আরোপ করা হয়।

 করোনাভাইরাসের ফলে নতুন বিনিয়োগ তো দূরের কথা, অনেক বিনিয়োগকারীকে বরং সঞ্চয় ভেঙেও খেতে হয়। তবে খারাপ পরিস্থিতি কেটে গেছে প্রায়। বিনিয়োগকারীরা সঞ্চয়পত্রে ফিরতে শুরু করেছেন। অনলাইনে কিনতেও এরই মধ্যে অভ্যস্ত হয়েছেন তাঁরা। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) সঞ্চয়পত্র থেকে ১৫ হাজার ৬৪২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার, যা আগের পুরো অর্থবছরের পুরো সময়ের চেয়েও ১ হাজার ২১৪ কোটি টাকা বেশি।

আগের অর্থবছরের প্রথম চার মাসে সঞ্চয়পত্র থেকে ৫ হাজার ৫২১ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছিল সরকার। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেবে বলে ঠিক করে সরকার। বর্তমানে সব শ্রেণির মানুষের জন্য নিরাপদ বিনিয়োগের নাম হচ্ছে সঞ্চয়পত্র। আবার নিশ্চিত ও সর্বোচ্চ মুনাফার কারণে সঞ্চয়পত্র কিনতে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে।

বর্তমানে এ চার ধরনের সঞ্চয়পত্র চালু রয়েছে। পরিবার সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্র পাঁচ বছর মেয়াদের। এ ছাড়া রয়েছে তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র। পরিবার সঞ্চয়পত্রের সুদ মাসিক ভিত্তিতে এবং তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্রের সুদ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তোলা যায়।

আসুন জেনে নিই সঞ্চয়পত্র কিনতে চাইলে কি করবেন– ১. সব সঞ্চয়পত্রেরই নির্দিষ্ট ফরম রয়েছে। ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করেই এ ফরম পাবেন। সঞ্চয়পত্র কিনতে ফরম পূরণ করতে হবে এবং সঙ্গে দিতে হয় গ্রাহক ও নমিনির দুই কপি করে পাসপোর্ট আকারের ছবি। গ্রাহকের ছবি সত্যায়িত করতে হয় প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মচারীর মাধ্যমে। তবে নমিনির ছবির সত্যায়ন করতে হয় গ্রাহককে। ২. এক লাখ টাকার বেশি অঙ্কের সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বর (ইটিআইএন) থাকতেই হবে। এক লাখ টাকা পর্যন্ত অবশ্য ইটিআইএন লাগে না। ৩. গ্রাহক ও নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি অবশ্যই দিতে হবে। নমিনি নাবালক হলে লাগে জন্মনিবন্ধনের কপি। ৪. গ্রাহকের নিজ ব্যাংক হিসাবের চেকের কপি, যে হিসাবে গ্রাহকের মুনাফা ও আসল টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে জমা হবে, সে হিসাবের নম্বর লাগে। পেনশনার সঞ্চয়পত্র কেনার ক্ষেত্রে বাড়তি কাগজ হিসেবে লাগে সর্বশেষ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সনদ। ৫. পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, পরিবার সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্র চালু রয়েছে।

Thursday, April 15, 2021

ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতি || ইসলামী ব্যাংক লোন কিভাবে পাবেন? || How To get Islami Bank Limited loan

অধিকাংশ লোকজন ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে জানেন না। বিশেষকরে ইসলামী ব্যাংক লোন নেওয়ার পদ্ধতি অন্যান্য ব্যাংকের চাইতে কিছুটা ভিন্ন হওয়ার কারনে ইসলামি ব্যাংক থেকে লোন নিতে সমস্যা পড়তে হয়। তাছাড়া ইসলামি ব্যাংকের সুদের (মুনাফা) বিষয়টি নিয়ে সকলের মাঝে ভিন্ন মতবাদ থাকার কারনে লোন নিতে আরো ঝামেলা পোহাতে হয়। এই সকল বিষয় নিয়ে আজ আলোচনা করব।

ইসলামিক ব্যাংক লোন বা ইসলামিক ব্যাংক থেকে লোন, সেটা হতে পারে ইসলামিক ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড কিংবা হতে পারে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক অথবা অন্যান্য যে সকল ৮ টি ইসলামিক ব্যাংক আছে। সে ক্ষেত্রে অনেকের কমপ্লেন হচ্ছে যে, আপনারা ইসলামিক ব্যাংকের লোনের জন্য গিয়েছেন কিন্তু তারা লোন দেয়নি। ইসলামী ব্যাংক সুদ খায়, ইসলামী ব্যাংক সবচেয়ে বড় প্রতারক। ইসলামিক ব্যাংক সম্পর্কে এই ধরনের নানা কমপ্লেন লোক মুখে শুনা যায়।

আজকের এই লেখাটি শুধু মাত্র তাদের জন্য যারা আসলে ইসলামিক ব্যাংকের বেসিক জিনিসটি এখনো ক্লিয়ার হতে পারেননি। আপনি সর্বপ্রথম একটি জিনিস মনে রাখবেন যে, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হচ্ছে সুদযুক্ত এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ইন্টারেস্ট নেয়। তাই বাংলাদেশের অন্য যে কোন ব্যাংক হউক না কেন সেটা শতভাগ সুদ মুক্ত না। বর্তমান বিশ্বে এমন কোথাও এমন কোন ব্যাংক নাই যেটি ১০০% সুদ মুক্ত।

বাংলাদেশে যে সমস্ত ইসলামী ব্যাংক আছে তারা তাদের নিজেদের সাধ্যমত চেষ্টা করছে সুদ মুক্ত থাকার জন্য কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে সেটি সম্ভব না। তবে সকল ইসলামি ব্যাংক গুলো সুদ মুক্ত হওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।

বাংলাদেশের সকল ইসলামি ব্যাংক গুলোর কিছু দুর্বলতা আছে তারাও অন্যান্য ব্যাংকের মত ল্যাভ্যাংশ নেয় এবং তারাও অন্যান্য ব্যাংকের মত জরিমানা করে, এ ধরনের নানা অভিযোগ আছে। তবে আজকে আমরা সেই সকল বিষয় বা অভিযোগ নিয়ে আলোচনা করব না। আমরা এখানে শুধুমাত্র ইসলামিক ব্যাংকের লোন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব।

ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতি || ইসলামী ব্যাংক লোন কিভাবে পাবেন? || How To get Islami Bank Limited loan

ইসলামি ব্যাংকের সংখ্যা

বাংলাদেশের মোট ৮ টি ইসলামিক ব্যাংক রয়েছে। যথা—
  1. ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড।
  2. শাহ্জালাল ইসলামি ব্যাংক।
  3. আল আরাফাহ্ ইসলামি ব্যাংক লিমিটেড।
  4. সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংক লিমিটেড।
  5. আইসিবি (ICB) ইসলামিক ব্যাংক।
  6. ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক লিমিটেড।
  7. এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড।
  8. সোনালি ব্যাংক লিমিটেড।

ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতি

বাংলাদেশের বিভিন্ন ইসলামী ব্যাংকের যে সমস্ত লোন সার্ভিস আছে সেটা ব্যাংক কর্তৃক্ষ লোন বলতে রাজি নয়। তারা এটাকে ইনভেস্টমেন্ট বলে থাকে। ইসলামি ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে কত পর্যন্ত লভ্যাংশ দিতে হবে এবং ইন্টারেস্ট ফি বা ইন্টারেস্টের পরিমাণ কত সেটাও এখানে বলে দেওয়া হবে।

আপনি কোন ক্ষেত্রে এ লোনটি পেয়ে থাকবেন এবং লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার কি কন্ডিশন মানতে হবে এবং কি জন্য আপনি লোন পাবেন না সবকিছুই কিন্তু আজকের পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করব। এ ছাড়াও ইসলামি ব্যাংক লোন সর্বোচ্চ কত দিনের জন্য পাবেন এবং কি কি কাজে লোনটি পেয়ে থাকবেন সে সম্পর্কে জানানো হবে।

ইসলামী ব্যাংক লোন নেওয়ার পদ্ধতি

ইসলামী ব্যাংক মূলত ছয় ভাবে ঋণ প্রদান করে থাকে। প্রথমে যেটা রয়েছে সেটা হচ্ছে নতুন বাড়ি ক্রয়ের জন্য, তার পরবর্তী রয়েছে নতুন ফ্যাট ক্রয় কিংবা পুরাতন বাড়ি ক্রয় করতে আপনি ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন (ইনভেস্ট) নিতে পারেন।

তাছাড়া ইসলামী ব্যাংক আরো তিন ভাবে ঋণ প্রদান করে থাকে। নতুন বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে আপনি লোন নিতে পারবেন, ফ্ল্যাট নির্মানের ক্ষেত্রে ঋণ নিতে পারবেন এবং বাড়ি সংস্কার ও বর্ধিত করনের জন্যও ঋণ নিতে পারবেন।

এছাড়াও ইসলামী শরীয়াহ্ অনুমোদন করে, এমন সকল খাতেই বাংকের ইসলামী ব্যাংকিং বিভাগ বিনিয়োগ (লোন) করে। যেমন, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি, রিয়াল এস্টেট ইত্যাদি। তবে আজকের পোস্টে আমরা শুধুমাত্র ইসলামি ব্যাংকের হোম লোন নিয়ে আলোচনা করব।

ইসলামি ব্যাংক হোম লোন

ইসলামী ব্যাংক থেকে যদি আপনি ঋণ নেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে বাড়ি তৈরীর জন্য সর্বোচ্চ ৩০ লক্ষ এবং সর্বনিম্ন ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আপনার পিছনে ইনভেস্ট করবে। আর ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার সবচেয়ে ভালো সুবিধা হচ্ছে এটাই যে, আপনি যে সকল জিনিসপত্র কিনবেন, যেমন-রড সিমেন্ট বালি বালি, এ ক্ষেত্রে মূলত তারা সকল মালামাল নিজে কিনে দিবে, আপনাকে কিনতে দিবে না, কেন না সবসময় তারা এটাকে ইনভেসমেন্ট বলে থাকে।

এছাড়া আপনার যে বাড়ি আছে সেই বাড়ি সংস্কারনের করে বর্ধিতকরণ করতে পারেন। এক্ষেত্রে ইসলামি ব্যাংক আপনাকে সর্বনিম্ন ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনভেস্ট করে থাকবে। প্রথমে যেহেতু বলেছি তারা এটাকে সবসময় ইনভেস্ট বলে থাকে কিন্তু ঋণ বলতে রাজি নয়।

ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়ার শর্ত

সরকারি কিংবা বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য এক বছর চাকরির অভীজ্ঞতা থাকতে হবে। অর্থাৎ আপনার চাকরির অভীজ্ঞতা এক বছর হলে আপনি ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। বাড়ি ওয়ালাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই বাড়ি ভাড়ার আয়ের প্রমান পত্র দেখাতে হবে। সরকারি বা বেসরকারি চাকরিজীবী যাদের ব্যাংক একাউন্টে বেতন হয় তাদের সর্বশেষ ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর দরকার হবে। তবে যাদের বেতন ক্যাশে হয়, তাদের আলাদা করে ভেরিফাই করা হবে।

ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, আর্কিটেকের জন্য সর্বনিম্ন এক বছর একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত হতে হবে অর্থাৎ দেখা গেল ছয় মাস এই প্রতিষ্ঠান আরো ছয় মাস আরেক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেন, এই জিনিসটা হবে না। যে কোন একটা প্রতিষ্ঠানে একটানা মিনিমাম এক বছর কর্মরত থাকতে হবে।

ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যবসার বয়স সর্বনিম্ন এক বছর হতে হবে, যদি আপনি এই কাজটা করে থাকেন তাহলে আপনি ইসলামী ব্যাংক ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনি যদি একজন ব্যবাসায়ি হয়ে থাকেন তাহলে লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বশেষ ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর দরকার হবে। এছাড়াও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যে সকল ডকুমেন্ট নেওয়া হবে সেগুলো হচ্ছে ট্রেড লাইসেন্স, টিন সার্টিফিকেট।

গ্যারান্টর কে হবেন?

ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার ২ জন গ্যারান্টর থাকতে হবে। বাবা-মা ভাই-বোন আত্মীয়-স্বজন বা কাছের মানুষকে আপনি গ্যারান্টর করতে পারবেন। এটা সম্পূর্ণ আপনার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। তবে অবশ্যই যারা আর্থিকভাবে সচ্ছল তাদেরকে গ্যারান্টর করতে হবে।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট

ইসলামী ব্যাংক থেকে হোম লোন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার নিজস্ব ব্যক্তিমালিকানার একটা জমি থাকতে হবে কিংবা আপনার পিতার নামে যে কোন একটা জমি থাকলে হবে। এছাড়াও এখানে দরকার হবে জমির মূল দলিল, এখানে সার্টিফাইড কপি গ্রহনযোগ্য হবে না। বিস্তারিত নিচে দেখুন—

প্রাইভেট প্লেটের ক্ষেত্রে
  • জমির মূল মালিকানা দলিল, বায়া দলিল।
  • সিএস, এসএ, আরএস ও বিএস খতিয়ানের জাবেদা নকল।
  • ডিসিআর, খাজনা রশিদ ও নামজারী খতিয়ান।
  • জেলা/সাব রেজিষ্ট্রি অফিস কর্তৃক ইস্যুকৃত ১২ (বার) বছরের নির্দায় সনদ (এনইসি)।
সরকারী প্লটের ক্ষেত্রে
  • প্লটের বরাদ্দ পত্র।
  • দখল হস্তান্তর পত্র।
  • মূল লীজ দলিল ও বায়া দলিল (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
  • লীজ দাতা প্রতিষ্ঠান হতে বন্ধক অনুমতি পত্র।
  • হস্তান্তর মূলে মালিক হলে হস্তান্তর অনুমতিপ্রত ও নামজারী, ডিসিআর ও খাজনা রশিদ।

ইসলামি ব্যাংকের লোনের ইন্টারেস্ট

সাধারণত ইসলামিক ব্যাংক লোনের ক্ষেত্রে ১৬% ইন্টারেন্স (মুনাফা) নিয়ে থাকে। এ ছাড়াও লোনের ধরণ, মেয়াদ ও লোনের এমাউন্টেবেদে ইন্টারেস্ট এর পরিমান সামান্য কম হতে পারে।

শেষ কথা

আশাকরি আপনি ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা পেয়েছেন। এ ছাড়াও ইসলামি ব্যাংকের অন্যান্য যে সমস্ত লোন (ইনভেস্টমেন্ট) রয়েছে সেই সকল ইসলামী ব্যাংক লোন নেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাইলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।