করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে আটকে যাওয়া চলতি বছরের এসএসসি-এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার সম্ভাব্য একটি সময়সূচি গত কয়েকদিন আগে ঘোষণা করা হয়। এবার সেই পরীক্ষা কিভাবে নেওয়া হবে ও ফলাফল কিভাবে প্রকাশ করা সেই নিয়ম জানানো হয়েছে।
University admission and others information,International Scholarships, Postgraduate Scholarships, College Scholarship, Study Abroad Financial Aid, Scholarship Search Center and Exam resources for PEC, JSC, SSC, HSC, BBA, MBA, IBA, EMBA, Degree and Masters Examinees in Bangladesh with take from update sports News, Live score, statistics, Government, Private, current Job Circular take from this site
University admission and others information,International Scholarships, Postgraduate Scholarships, College Scholarship, Study Abroad Financial Aid, Scholarship Search Center and Exam resources for PEC, JSC, SSC, HSC, Degree and Masters Examinees in Bangladesh with take from update sports News, Live score, statistics, Government, Private, current Job Circular take from this site
University admission and others information,International Scholarships, Postgraduate Scholarships, College Scholarship, Study Abroad Financial Aid, Scholarship Search Center and Exam resources for PEC, JSC, SSC, HSC, Degree and Masters Examinees in Bangladesh with take from update sports News, Live score, statistics, Government, Private, current Job Circular take from this site
University admission and others information,International Scholarships, Postgraduate Scholarships, College Scholarship, Study Abroad Financial Aid, Scholarship Search Center and Exam resources for PEC, JSC, SSC, HSC, Degree and Masters Examinees in Bangladesh with take from update sports News, Live score, statistics, Government, Private, current Job Circular take from this site
University admission and others information,International Scholarships, Postgraduate Scholarships, College Scholarship, Study Abroad Financial Aid, Scholarship Search Center and Exam resources for PEC, JSC, SSC, HSC, Degree and Masters Examinees in Bangladesh with take from update sports News, Live score, statistics, Government, Private, current Job Circular take from this site
University admission and others information,International Scholarships, Postgraduate Scholarships, College Scholarship, Study Abroad Financial Aid, Scholarship Search Center and Exam resources for PEC, JSC, SSC, HSC, Degree and Masters Examinees in Bangladesh with take from update sports News, Live score, statistics, Government, Private, current Job Circular take from this site
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে আটকে যাওয়া চলতি বছরের এসএসসি-এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার সম্ভাব্য একটি সময়সূচি গত কয়েকদিন আগে ঘোষণা করা হয়। এবার সেই পরীক্ষা কিভাবে নেওয়া হবে ও ফলাফল কিভাবে প্রকাশ করা সেই নিয়ম জানানো হয়েছে।
♦ একই টপিকে একাধিক ফরম্যাটের প্রশ্ন
কাঙ্ক্ষিত চাকরি পাওয়ার আগ পর্যন্ত সম্ভাব্য অনেক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। এসব বিষয়ে কৌশল করে এমনভাবে প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব, যাতে একাধিক ধারার চাকরির জন্য নিজেকে তৈরি করা যায়।
একবার যিনি পূর্ণাঙ্গ মৌলিক প্রস্তুতি নিয়ে ফেলতে পারেন, তাঁর একাধিক চাকরি পাওয়া নিশ্চিত হয়ে যায়। যেমন—সর্বশেষ বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় সংবিধান থেকে একটি প্রশ্ন ছিল এমন যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পরিচালিত হয়? ঠিক এই প্রশ্ন লিখিত পরীক্ষায় এলে এভাবে আসতে পারে ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি কী? সংবিধানের আলোকে ব্যাখ্যা করুন।’
ঠিক এই টপিকটিই যখন ভাইভা বোর্ডে জানতে চাইবে, তখন তাঁরা জিজ্ঞেস করতে পারেন, ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণে কী কী সমস্যা আছে? এসব সমস্যা আপনি কিভাবে মোকাবেলা করবেন?’
লক্ষ করলে দেখবেন, একই টপিকে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় শুধু রেফারেন্স জানলেই উত্তর করা যাচ্ছে। লিখিত পরীক্ষায় বিশদভাবে বর্ণনা করা লাগছে। আর ভাইভায় বাস্তব সমস্যাকে সামনে আলোচনা করে সমাধান করতে হচ্ছে। কী বুঝলেন? আসলে লিখিত পরীক্ষা ও ভাইভা হলো বিস্তারিত পড়ার বিষয়। কিন্তু প্রিলিমিনারিতে মূল ব্যাপার বা কি-ওয়ার্ড মাথায় থাকলেই হলো! এখন প্রশ্ন হতে পারে, শুধু প্রিলিমিনারি-সংশ্লিষ্ট পড়া পড়ব, নাকি লিখিত-ভাইভাসহ পড়ব? আমি বলব, প্রিলি পাস করলেই যেহেতু লিখিত পরীক্ষার প্রসঙ্গ আসে, তাহলে আগে প্রিলির জন্য তৈরি থাকুন।
আবার অনেকে জিজ্ঞেস করেন, প্রিলি পাসের পর লিখিত পরীক্ষার জন্য বেশি সময় থাকে না। এই অল্প সময়ে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি কিভাবে নেবেন, এই আলোচনায় এসব বিষয়ও তুলে ধরা হয়েছে।
♦ প্রিলিতে ফেল করার কারণ
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফলে কে কত বেশি নম্বর পেল, সেটা জরুরি না। পাস হলো কি না সেটাই দেখা হয়। তাই শুধু পাস করাকে টার্গেট করে জটিল ও কঠিন টপিক পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়া উচিত! কিন্তু বেশির ভাগ প্রার্থী কোনো কিছু বাদ না দিয়ে গোগ্রাসে সব পড়তে গিয়ে শেষে দরকারি অনেক কিছুরই প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পান না! অনেকের বেলায় প্রিলি ফেলের অন্যতম কারণ হচ্ছে ‘বেশি পড়া’! বিসিএস প্রিলির প্রশ্ন সহজ বা কঠিন যা-ই হোক না কেন, পাস করতে কোনোভাবেই ১২৫-১৩০ এর বেশি নম্বর লাগবে না! আর জুডিশিয়ারিতে সাধারণত ৫৫-৬৫ এর বেশি লাগে না। শুনে অবাক হলেও বাস্তবে এটাই সত্যি!
♦ পড়াশোনা গুছিয়ে নেবেন যেভাবে
প্রথমত, বিসিএস, জুডিশিয়ারি, ব্যাংক ও আইন কর্মকর্তা পদের সিলেবাস থাকলে সেগুলো একসঙ্গে নিয়ে বসুন। এবার সব সিলেবাসের কমন জায়গাগুলো সংকলন করে আলাদাভাবে একটি নিজস্ব সিলেবাস বা প্রস্তুতি গাইডলাইন তৈরি করুন। বিগত বছরের প্রশ্ন পর্যালোচনা করে গুরুত্বের ভিত্তিতে টপিক র্যাংকিং করুন। এবার আপনার প্রথম কাজ এই টপিকগুলো আগে শেষ করা।
♦ কমন বিষয়বস্তু চিহ্নিত করুন
বিসিএস প্রিলিমিনারিতে ২০০ নম্বর, জুডিশিয়ারিতে ১০০ নম্বর এবং ব্যাংকে ৮০-১০০ নম্বর থাকে। জুডিশিয়ারির প্রিলিতে সাধারণ বিষয় অর্থাৎ বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান, গণিত, বিজ্ঞান ইত্যাদি মিলিয়ে মোট ৪০ নম্বর থাকে। বিসিএসের প্রস্তুতি থেকে এই ৪০ নম্বরের মধ্যে বেশির ভাগই নিশ্চিত করা যায়।
লিখিত পরীক্ষায় বিসিএসের সাধারণ ৯০০ নম্বরের প্রায় সব টপিক জুডিশিয়ারির রিটেনের সাধারণ অংশের ৪০০ নম্বরের মধ্যে থাকে। কিন্তু বিসিএসের গণিতের তুলনায় জুডিশিয়ারির গণিত অনেকটা সহজ হয়। তাই আগে জুডিশিয়ারির গণিত শেষ করতে পারলে বিসিএসের জন্য গণিতের প্রস্তুতির অনেকটাই সম্পন্ন হয়ে যাবে। ব্যাংকের ২০০ নম্বরের রিটেনের মধ্যে অনুবাদ, ফোকাস রাইটিং, বাংলা-ইংরেজি রচনা, গণিতের পাটিগণিত অংশ প্রায় সবই বিসিএস-জুডিশিয়ারির মধ্যে থেকেই থাকে। ব্যাংকের প্রশ্নে লিখিত পরীক্ষায় খুব সাম্প্রতিক ইস্যু বেশি থাকে, যা বিসিএস বা জুডিশিয়ারির বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির সঙ্গে খুব মিলে যায়। ব্যাংকে জেনারেল পদে অঙ্ক বেশি আসে। কিন্তু প্রস্তুতি একই রকম।
আইন কর্মকর্তা পদের লিখিত পরীক্ষায় সম্পত্তি সম্পর্কিত আইন ও ব্যবসায় আইন থেকে বেশি প্রশ্ন আসে। জুডিশিয়ারিতে সম্পত্তি সম্পর্কিত পুরো ১০০ নম্বরের একটি পরীক্ষা হয়। তাহলে জুডিশিয়ারি প্রস্তুতির পড়া আইন কর্মকর্তা পদে কাজে লাগছে। এ ক্ষেত্রে বাড়তি পড়তে হচ্ছে ‘ব্যবসায় আইন’।
আইন কর্মকর্তা পদের পরীক্ষায় সাধারণ বিষয়ে যে অল্প কিছু প্রশ্ন আসবে, জুডিশিয়ারির প্রস্তুতি থাকলে তা সহজেই উত্তর করা যাবে। এ ক্ষেত্রে শুধু সময়জ্ঞানকে সুন্দরভাবে কাজে লাগাতে জানতে হবে। কারণ এই নিয়োগ (আইন কর্মকর্তা) পরীক্ষায় অল্প সময়ে টু দ্য পয়েন্টে তুলনামূলক বেশি লিখতে হয়!
এবার আসি টপিক নির্বাচনে। যেমন—বাংলায় জুডিশিয়ারি সিলেবাসে কিছু কবি-সাহিত্যিকের নাম উল্লেখ আছে। বিসিএসে এর চেয়ে কিছুটা বেশি আছে। বিসিএসের সাহিত্য অংশে আদি যুগ ও মধ্যযুগ থাকলেও জুডিশিয়ারিতে এদিক থেকে তেমন প্রশ্ন আসে না। তাহলে এখানে আপনাকে অবশ্যই আগে জুডিশিয়ারির বাংলা সিলেবাস শেষ করে সময় পেলে বিসিএসের বাদ পড়া টপিক পড়তে হবে।
প্রায় সব নিয়োগ পরীক্ষায় মৌলিক বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান থেকে প্রশ্ন আসে। এসব বিষয়ে একবার কষ্ট করে জোরালো প্রস্তুতি নিতে পারলে নিয়োগ পরীক্ষাগুলোতে ভালো করা যাবে।
♦ মৌলিক জ্ঞান বাড়াতে হবে
বিভিন্ন বিষয়বস্তুর ওপর শুদ্ধভাবে বাংলা-ইংরেজিতে লিখতে পারা; গণিতের বেসিক অপারেশন যেমন—যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ ইত্যাদি সমাধান করতে পারা এবং বাংলাদেশের ভৌগোলিক বিষয়, ইতিহাস, ঐতিহ্য, জাতীয় পর্যায়ের সুবিধা-অসুবিধা, চ্যালেঞ্জ, টার্গেট, চলমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ইত্যাদি সম্পর্কে জানা সাধারণ বেসিক বা মৌলিক জ্ঞানের মধ্যে পড়ে।
♦ মৌলিক জ্ঞান বাড়ানোর উপায়
১। নির্ভরযোগ্য পত্রিকার অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক ও মতামত পাতায় মনোযোগ দিন। পুরো পত্রিকায় চোখ বুলান। এতে আপনি আপডেটেড হয়ে যাবেন। প্রতিদিন ইংরেজি পত্রিকার প্রিন্টেড বা অনলাইন ভার্সন থেকে ন্যূনতম একটি খবর জোরে রিডিং পড়ুন। পত্রিকার খবর থেকে নতুন নতুন বাক্য বিন্যাস ও শব্দ খাতায় লিখে শিখুন। শেখা বাক্যের কাঠামো ও শব্দ বাস্তবজীবনে ব্যবহার শিখুন। টিভিতে খবর দেখুন। অনুসন্ধানী প্রতিবেদন দেখুন।
২। পত্রিকা বা বই পড়ার সময় বইয়ের দিকে তাকিয়ে মনোযোগের সঙ্গে পড়ুন। এতে বানান ঠিক হয়ে যাবে এবং বাক্য গঠন সুন্দর হবে। এই পর্যায়ে বানান ভুলের কারণে লিখিত পরীক্ষায় নম্বর একেবারে কমে যায়।
৩। সুযোগ পেলে স্বীকৃত জ্ঞানী বা বিখ্যাত লোকদের বক্তব্য শুনুন। বিতর্ক দেখুন। জাতীয় সংসদ, সুপ্রিম কোর্ট, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকে নজর রাখুন। মনে রাখবেন, তাঁরা যা বলছেন, দেশের মধ্যে সেসবই ঘটছে!
৪। একই পড়া একই বই থেকে বারবার না পড়ে আলাদা আলাদা বই পড়ুন।
৫। বাংলা, গণিত, ইংরেজি ও মৌলিক সাধারণ জ্ঞানের জোরালো প্রস্তুতি নিন।
৬। দৈনিক কার্যক্রমের যোগ, বিয়োগ, ভাগ, পূরণ ক্যালকুলেটর ছাড়া করুন। যেখানে-সেখানে কলম চালানোর অভ্যাস করুন। যত ধরনের অঙ্ক আছে, তার মূল কিন্তু যোগ, বিয়োগ, গুণ ও ভাগ। শুধু শিখতে হয় কখন কোনটা করতে হবে!
৮। যেটা যতটুকু পড়বেন, বুঝে পড়বেন, যেন চাইলেই সেসব টপিক নিয়ে জড়তা ছাড়া কমপক্ষে দুই মিনিট অনর্গল সঠিক তথ্য-উপাত্ত দিয়ে প্রেজেন্টেশন দিতে পারেন।
এভাবে ধাপে ধাপে পড়তে থাকলে এটাই আপনার পুঞ্জীভূত জ্ঞানে পরিণত হবে, যা প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভায় কাজে লাগবে।
একদিকে সব চাকরির প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষায় সাধারণ জ্ঞান অংশে অনেক নম্বর বরাদ্দ থাকে, অন্যদিকে ভাইভা তো সাধারণ জ্ঞান ছাড়া কল্পনাই করা যায় না। বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থপনায় যথাক্রমে ৩০, ২০ ও ১০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। একটু সচেতন হলেই প্রিলি পরীক্ষায় আপনার প্রধান অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে এই ৬০ নম্বর। এ ছাড়া বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে যথাক্রমে ২০০ ও ১০০ নম্বর বরাদ্দ থাকে, যা লিখিত পরীক্ষায় ইংরেজি, গণিত ও মানসিক দক্ষতায় বরাদ্দ মোট নম্বর অথবা ইংরেজি, সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে বরাদ্দ মোট নম্বরের সমান। এ ছাড়া বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ের লিখিত পরীক্ষায় যে ৪০ ও ৫০ নম্বরের রচনা বা প্রবন্ধ লিখতে হয়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তা সাধারণ জ্ঞাননির্ভর হয়ে থাকে। একইভাবে ব্যাংক জব পরীক্ষায় ফোকাস রাইটিং/কম্পোজিশন অংশে প্রধানত সাধারণ জ্ঞানভিত্তিক প্রশ্নেরই মুখোমুখি হতে হয়।
সরকারি ও বেসরকারি অন্য সব চাকরি পরীক্ষার প্রিলি, লিখিত ও ভাইভা—প্রতিটি ধাপে বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ও সমসাময়িক ঘটনাগুলো মোট নম্বরের উল্লেখযোগ্য অংশ দখল করে রাখে। উল্লেখ্য, তুলনামূলক বেশি নম্বরের সাধারণ জ্ঞানে একটু সচেতন ও সতর্ক থাকলেই ভালো করাও সহজ। গণিত, বিজ্ঞান বা ইংরেজিতে যেখানে আগে থেকে মজবুত মৌলিক জ্ঞান না থাকলে ভালো করা কষ্টসাধ্য, সেখানে সাধারণ জ্ঞানে কিন্তু আগে থেকে আপনার মৌলিক জ্ঞান ভালো না থাকলেও পরিকল্পিত পরিশ্রমে কারো সহযোগিতা ছাড়াই আপনি দক্ষ হয়ে উঠতে পারবেন এবং কিছু তথ্য টপিকভিত্তিক নোট করে পড়লে মনে রাখা যাবে আর ভালো নম্বর তোলা সহজ হবে। সুতরাং ঠিকঠাক গুরুত্ব দিলে চাকরির বাজারে আপনাকে সফল করতে অসাধারণ হয়ে উঠবে এই সাধারণ জ্ঞান।
যেভাবে শিখতে পারেন
♦ দৈনিক পত্রিকা পড়ার অভ্যাস করতে হবে। বাংলা ও ইংরেজি ভাষার এক বা একাধিক পত্রিকা পড়তে পারলে ভালো হয়। পত্রিকার সম্পাদকীয় পাতা, আন্তর্জাতিক পাতা, অর্থনীতি পাতা ছাড়াও প্রথম ও শেষ পাতা পড়তে হবে।
♦ বিবিসি, সিএনএন, আলজাজিরা প্রভৃতি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নিয়মিত চোখ রাখতে হবে। দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে নিজের মতামত দেওয়া শিখতে হবে।
♦ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত কোথাও পেলে তা ডায়েরিতে নোট করে রাখা যেতে পারে।
♦ যেসব বিষয়বস্তু কঠিন মনে হয়, সেগুলো ছন্দ বা সূত্র বানিয়ে মনে রাখা যেতে পারে। এ ছাড়া নিজের পরিচিত কোনো বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত করে মনে রাখা যেতে পারে। যেমন আপনার পরিচিত যদি কারোর নাম আকবর থাকে তাহলে সম্রাট আকবর সংশ্লিষ্ট তথ্যগুলো পরিচিত আকবরের সঙ্গে মিলিয়ে মনে রাখলে পরবর্তী সময়ে ব্রেন সহজে মনে করিয়ে দেবে।
♦ সব ঘটনার তারিখ বা সাল মনে রাখা সহজ নয়। শুধু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তারিখ ও সাল মনে রাখলেই হবে।
♦ বাংলাদেশ ও বিশ্বের দুটি মানচিত্র সংগ্রহে রাখতে হবে। মাঝে মাঝে মানচিত্রে চোখ বুলিয়ে নিজের পঠিত বিষয়ের সঙ্গে মেলালে স্মৃতিতে থাকবে।
♦ ফেসবুকের বিভিন্ন চাকরির গ্রুপ, পেজ থেকে সাধারণ জ্ঞানের নিয়মিত আপডেট পেতে পারেন। এ ছাড়া শুধু সাধারণ জ্ঞানের প্রস্তুতির জন্য ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রূপ রয়েছে। সেখানে সাধারণ জ্ঞানের আপডেট, মৌলিক প্রস্তুতিসহ সাধারণ জ্ঞানবিষয়ক বিভিন্ন লেখা পোস্ট করা হয়।
♦ সহায়ক গ্রন্থ হিসেবে বাংলাদেশের সংবিধান, অষ্টম, নবম, দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, নবম-দশম শ্রেণির ভূগোল, ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বই পড়া যেতে পারে। এ ছাড়া বাজারের প্রচলিত ভালো মানের একটা সাধারণ জ্ঞানের গাইড বই ও তথ্যভিত্তিক মাসিক ম্যাগাজিন পড়তে পারলে কাজে দেবে। আর সাম্প্রতিক বিষয়ের জন্য কালের কণ্ঠ পত্রিকার ‘চাকরি আছে’ পাতায় প্রতি মাসে সাম্প্রতিক মডেল টেস্ট (উত্তরসহ) দেওয়া হয়। বিগত মডেল টেস্ট থেকে বিভিন্ন চাকরি ও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন আসতে দেখা গেছে।
♦ বিভিন্ন আলোচনাসভা, সেমিনারে অংশগ্রহণ এবং বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তথ্যভিত্তিক আলোচনা করলে ধীরে ধীরে সাধারণ জ্ঞান বাড়বে।
সাধারণ জ্ঞানের বিসিএস প্রিলির সিলেবাস
এই সিলেবাসের বিষয়গুলো পড়াশোনা করলে অন্যান্য চাকরির পরীক্ষার সাধারণ জ্ঞান অংশটার প্রস্তুতি হয়ে যাবে।
► বাংলাদেশ বিষয়াবলি (৩০)
১। বাংলাদেশের জাতীয় বিষয়াবলি (৬) :
প্রাচীনকাল থেকে সমসাময়িক কালের ইতিহাস, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি। বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস—ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের নির্বাচন; ছয় দফা আন্দোলন ১৯৬৬; গণ-অভ্যুত্থান ১৯৬৮-১৯৬৯; ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন; অসহযোগ আন্দোলন ১৯৭১; ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ; স্বাধীনতা ঘোষণা; মুজিবনগর সরকারের গঠন ও কার্যাবলি; মুক্তিযুদ্ধের রণকৌশল; মুক্তিযুদ্ধে বৃহৎ শক্তিবর্গের ভূমিকা; পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয়।
২। বাংলাদেশের কৃষিজ সম্পদ (৩) : শস্য উৎপাদন এবং এর বহুমুখীকরণ, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা
৩। বাংলাদেশের জনসংখ্যা, আদমশুমারি, জাতি, গোষ্ঠী, উপজাতিসংক্রান্ত বিষয়াদি। (৩)
৪। বাংলাদেশের অর্থনীতি (৩) : উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রেক্ষিত ও পঞ্চবার্ষিক, জাতীয় আয়-ব্যয়, রাজনীতি ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি, দারিদ্র্য বিমোচন ইত্যাদি।
৫। বাংলাদেশের শিল্প ও বাণিজ্য (৩) : শিল্পোৎপাদন, পণ্য আমদানি ও রপ্তানীকরণ, গার্মেন্টশিল্প ও এর সার্বিক ব্যবস্থাপনা, বৈদেশিক লেনদেন ও অর্থ প্রেরণ, ব্যাংক ও বীমা ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি।
৬। বাংলাদেশের সংবিধান (৩) : প্রস্তাবনা ও বৈশিষ্ট্য, মৌলিক অধিকারসহ রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিসমূহ, সংবিধানের সংশোধনীসমূহ।
৭। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা (৩) : রাজনৈতিক দলগুলোর গঠন, ভূমিকা ও কার্যক্রম, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের পারস্পরিক সম্পর্কাদি, সুধীসমাজ ও চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীসমূহ এবং এদের ভূমিকা।
৮। বাংলাদেশের সরকারব্যবস্থা (৩) : আইন, শাসন ও বিচার বিভাগসমূহ, আইন প্রণয়ন, নীতিনির্ধারণ, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার কাঠামো, প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস ও সংস্কার।
৯। অন্যান্য (৩) : বাংলাদেশের জাতীয় অর্জন, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনাসমূহ, জাতীয় পুরস্কার, বাংলাদেশের খেলাধুলাসহ চলচ্চিত্র, গণমাধ্যমসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি।
► আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি (মান ২০)
১। বৈশ্বিক ইতিহাস, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, ভূ-রাজনীতি। ৪
২। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্ক। ৪
৩। বিশ্বের সাম্প্রতিক ও চলমান ঘটনাপ্রবাহ। ৪
৪। আন্তর্জাতিক পরিবেশগত ইস্যু ও কূটনীতি। ৪
৫। আন্তর্জাতিক সংগঠনসমূহ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানাদি। ৪
► ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (মান ১০)
১। বাংলাদেশ ও অঞ্চলভিত্তিক ভৌগোলিক অবস্থান, সীমানা, পারিবেশিক, আর্থ-সামাজিক ও ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব। ২
২। অঞ্চলভিত্তিক ভৌত পরিবেশ (ভূ-প্রাকৃতিক), সম্পদের বণ্টন ও গুরুত্ব। ২
৩। বাংলাদেশের পরিবেশ : প্রকৃতি ও সম্পদ, প্রধান চ্যালেঞ্জসমূহ। ২
৪। বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক পরিবেশ পরিবর্তন : আবহাওয়া ও জলবায়ুর নিয়ামকসমূহের সেক্টরভিত্তিক (যেমন—অভিবাসন, কৃষি, শিল্প, মৎস্য ইত্যাদি) স্থানীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রভাব। ২
৫। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা : দুর্যোগের ধরন, প্রকৃতি ও ব্যবস্থাপনা। ২
ব্যাকলিংক হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের (এসইও) ক্ষেত্রে সবচাইতে বহুল ব্যবহৃত ও আলোচিত একটি শব্দ। আমরা সাধারণত কথায় কথায় বলে থাকি যে, গুগল এর দুইশতটির বেশী র্যাংকিং ফ্যাক্টর রয়েছে। এই দুইশতটি গুগল র্যাংকিং ফ্যাক্টরের মধ্যে Backlink হচ্ছে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্ব বিখ্যাত এসইও প্রতিষ্ঠান "Moz" গুগল র্যাংকিং ফ্যাক্টর নিয়ে রিসার্চ করার নিমিত্তে প্রায় একশত জন এসইও এক্সপার্টদের গুগল র্যাংকিং ফ্যাক্ট সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিল। Moz এর প্রশ্নের জবাবে গুগল র্যাংকিং ফ্যাক্টরে যে বিষয়টি সবচাইতে গুরুত্ব পেয়েছে সেটি হচ্ছে Backlink. তাছাড়া আজ থেকে ৪/৫ বছর পূর্বে একটি ওয়েবসাইটের র্যাংকিং এর ক্ষেত্রে শুধুমাত্র Backlink কে গুরুত্ব দেওয়া হত অর্থাৎ যার ওয়েবসাইটে যত বেশী Backlink থাকত তার ওয়েবসাইট/ব্লগ তত বেশী র্যাংক করতে পারত।
যারা ব্লগিং এ নতুন তাদের মধ্যে অনেকে Backlink বিষয়টি সঠিকভাবে বুঝতে পারেন না কিংবা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে Backlink কি পরিমান গুরুত্ব বহন করে সেটি অনুধাবন করতে পারেন না। আজকের পোস্টে জানতে পারবেন Backlink কি, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে ব্যাকলিংক কি পরিমান গুরুত্ব বহন করে, অনলাইনে ব্লগিং করে সফলতা পাওয়ার জন্য ব্যাকলিংক এর গুরুত্ব কতোটুকু??
সেই সাথে আরো জানতে পারবেন যে, কিভাবে আপনার ব্লগের কম্পিটিটরদের Backlink এনালাইস করতে হয় এবং কিভাবে কম্পিটিটরদের ব্লগের চাইতে বেশী পরিমানে ও প্রয়োজনীয় Backlink সংগ্রহ করে গুগল সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজের শীর্ষে অবস্থান করে সার্চ ইঞ্জিন হতে ব্লগের ট্রাফিক বৃদ্ধি করা যায়?
আজকের পোস্টে অফ পেজ এসইও ২০২১ নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ গাইড শেয়ার করব। আপনার ব্লগের জন্য বর্তমান সময়ে কী কী অফ পেজ এসইও করতে হবে সে বিষয়ে এই পোস্ট থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন। সেই সাথে অতিতের অফ পেজ এসইও টেকনিক এবং সমসাময়িক অফ পেজ এসইও টেকনিক এর কতটুকো পার্থক্য রয়েছে সে বিষয়ে জানার পাশাপাশি আপনার ব্লগের অফ পেজ এসইও এর প্রয়োজনীয় সকল বিষয় জেনে নিয়ে ব্লগে নতুন টেকনিক এপ্লাই করতে পারবেন।
Contents
অফ পেজ এসইও কি?
কেন অফ পেজ এসইও গুরুত্বপূর্ণ?
অন পেজ এসইও এবং অফ পেজ এসইও এর মধ্যে পার্থক্য কি?
লিংক এবং অফ পেজ এসইও
কিভাবে অফ পেজ এসইও করবেন?
অফ পেজ এসইও করার উপায় কি?
১। ব্যাকলিংক তৈরি করা
২। সোশ্যাল মিডিয়া এনগেজমেন্ট
৩। গেস্ট পোস্টিং
৪। ফোরাম পোষ্টিং
৫। ব্রান্ডিং
৬। লোকাল এসইও
৭। গুগল মাই বিজনেস
৮। গুগল মাই বিজনেস রিভিউ
অনেকে হয়ত বলবেন যে, তাহলে কি আপনি শুধুমাত্র অনুরোধ রাখার জন্য পোস্টটি করছেন? আমি আবারও বলব হ্যাঁ, শুধুমাত্র আমাদের ব্লগের পাঠকের অনুরোধ রাখার জন্য পোস্টটি শেয়ার করছি। কারণ এত কষ্ট করে এসইও বিষয়ে একটি পোস্ট লেখার পর সেই পোস্ট থেকে আশানুরূপ ভিজিটর পাওয়া যায় না। তার কারন হচ্ছে এসইও বিষয়ে আমাদের দেশের ২% এর কম লোকের আগ্রহ আছে। তাছাড়া এসইও বিষয়ে গুগলে একদম সার্চ করা হয় না বললেই চলে। সে জন্য এসইও নিয়ে পোস্ট লেখার কোন মানেই হয় না। তারপরও ব্লগের রেপুটিশন ও পাঠকের অনুরোধ রাখতে মাঝে মধ্যে এসইও নিয়ে লিখতে হয়।
তাছাড়াও অফ পেজ এসইও নিয়ে লেখার আরেকটি ক্ষুদ্র কারণ রয়েছে। এই পোস্ট লেখার পূর্বে অফ পেজ এসইও নিয়ে কয়েকটি বাংলা ব্লগ রিসার্চ করেছি। রিসার্চ করে আমি ৪-৫ টি ব্লগ পেয়েছি যারা অফ পেজ এসইও নিয়ে বাংলা ভাষায় লিখেছেন। তাদের মধ্যে জনাব ফারুক খাঁন সাহেবের ব্লগ এবং ভারতের কলকাতার মিস্টার রাহুল দাস এর “বাংলা টেক” ব্লগে অফ পেজ এসইও বিষয়ে ভালোমানের দুটি পোস্ট দেখতে পাই।