Ad 3

Friday, February 1, 2019

How to Write a Feature Article-কিভাবে হতে পারেন একজন আর্টিকেল রাইটার অথবা ফিচার রাইটার

How to Write a Feature Article??-কিভাবে হতে পারেন একজন আর্টিকেল রাইটার অথবা ফিচার রাইটার??????

বর্তমান সময়ে পুরো অনলাইন জুড়ে ক্ষুদে লেখক/লেখিকাদের অভাব নেই। তবে গুণগতমান সম্পন্ন ও সৃষ্টিশীল লেখক/লেখিকা খুব কমই দেখা যায় এবং তাদের মধ্যে বেশির ভাগই শখের বশীভূত হয়ে লেখালেখি করে থাকে। অনেকেই এটাকে জীবনের লক্ষ্য হিসেবেও বেছে নেয়। মূলত লেখার মান ভাল করতে হলে এবং সৃষ্টিশীল লেখক হতে হলে বেশ কিছু বিষয়ের দিকে নজর রাখতে হয়। যেগুলো মেনে চললে আপনিও আপনার লেখাটিকে প্রাণবন্ত ও সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন। তাই আপনারা যারা লেখালেখি পছন্দ করেন বা ভালো লেখক/লেখিকা হবার স্বপ্ন দেখেন তাদের এ বিষয়গুলোর দিকে সবসময় নজর দেওয়া উচিত।

১. ভালো লিখতে হলে পড়তে হবে।  হ্যাঁ, আপনি যদি ভালো লেখক হতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে অবশ্যই একজন ভালো পাঠক হতে হবে। পড়তে হবে অনেক বেশি পড়তে হবে। পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি আপনার পছন্দের লেখক/লেখিকা অথবা আপনি যে বিষয়ের উপর লিখতে পছন্দ করেন সেই বিষয়ের প্রেক্ষাপটে লেখা বিভিন্ন লেখক/লেখিকার বই গুলো পড়তে পারেন। আপনি যত বেশি পড়বেন আপনার মেধা তত বিকশিত হবে। আপনি তত বেশি জ্ঞান অাহরণ করতে পারবেন। আর আপনি কোনো বিষয়ে যত বেশি ধারনা রাখতে পারবেন আপনি তত সুন্দর ভাবে সাজিয়ে-গুছিয়ে লিখতে পারবেন। সুতরাং, ভালো লেখক/লেখিকা হওয়ার প্রথম শর্ত হলো ভালো পাঠক হওয়া।

২. কল্পনা করা শিখতে হবে। আমরা জানি, বাস্তবে ঘটে যাওয়া অভিজ্ঞতা থেকে খুব সহজেই সাজিয়ে-গুছিয়ে লেখা যায় কারণ সে ঘটনাটি আমাদের চোখের সামনেই ঘটে থাকে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমরা সবাই সব পরিস্থিতিরই বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারি না। অন্যের পরামর্শ নিয়ে, বই-পুস্তক পড়ে অথবা বিভিন্ন মুভি দেখে প্রেক্ষাপট গুলো উপলব্ধি করার চেষ্টা করি। আর লেখালেখি করতে গেলে অনেক বিষয়েই জ্ঞান থাকতে হয়। বিভিন্ন বিষয়কে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে উপস্থাপন করতে হয়। তাই আপনার কল্পনার জগৎ যত বেশি প্রসারিত হবে আপনি তত সহজেই যেকোনো বিষয়ের উপর সুন্দর ভাবে সাজিয়ে-গুছিয়ে উপস্থাপন করতে পারবেন।

৩. শুধু পড়লে ও কল্পনা করা জানলেই হবে না। যথেষ্ট পরিমাণ লেখারও অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। প্রথম প্রথম হয়তো আপনি নিজের মতো করে সাজিয়ে লিখতে পারবেন না। তাই বলে লেখা বন্ধ করা যাবে না। যখনই মন চাইবে, যা মন চাইবে লিখে ফেলবেন। এমনকি লেখা গুলো অনলাইনে পাবলিস করবেন। এটা ভাববেন না যে- আপনার লোখা গুলো পড়ে অন্যরা হাসা-হাসি করতে পারে। বরং অনেকেই আপনাকে উৎসাহিত করবে। আর কেউ যদি আপনার ভুল ধরেও থাকে তাহলে মন খারাপ করা যাবে না। বরং এটা আপনার জন্য ভালো। এতে করে আপনি আপনার ভুল গুলো শুধরে নিতে পারবেন। লিখতে লিখতে এক সময় আপনি নিজেই আপনার উন্নতি উপলব্ধি করতে পারবেন। ইংরেজিতে একটি প্রবাদ বাক্য আছে- “practice makes a man perfect” অর্থাৎ- “গাইতে গাইতে গায়েন”। মোটকথা আপনি যেমনই লিখেন না কেন আপনাকে নিয়মিত লেখালেখি করতে হবে তবেই আপনি একটা সময় ভালো লেখক/লেখিকা হতে পারবেন।

৪. আপনি যখন একটি বিষয়ের উপর লেখার জন্য মন স্থির করবেন; সে বিষয় সম্পর্কে আপনি যতই জানেন না কেন, লেখা শুরু করার আগে উক্ত বিষয় সম্পর্কে “Google” ও “Youtube” থেকে ভালো ভাবে স্টাডি করে নিবেন। এতে করে আপনি সে বিষয় সম্পর্কে আরও সুনির্দিষ্ট কিছু ধারনা ও তথ্যসূত্র পাবেন। তা থেকে আপনি আপনার নিজের ভাষায় আরও সুন্দর ভাবে সাজিয়ে-গুছিয়ে লিখতে পারবেন।

৫. প্রতিটি গল্প বা আর্টিকেলের “শিরোনাম” একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই আপনি যে বিষয় নিয়ে লিখতে চান সে বিষয়ের মূলভাবের উপর ভিত্তি করে একটি সুন্দর ও অাকর্ষণীয় শিরোনাম নির্বাচন করবেন। এবং এটি আপনার লেখার শুরুতেই হাইলাইট করবেন। শিরোনামটি যেন খুব ছোট অথবা বেশি বড়ও না হয়। মোটকথা, শিরোনামটি এমন ভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে যাতে পাঠক আপনার লেখাটির শিরোনাম দেখেই তার মাঝে পুরো লেখাটি পড়ার আগ্রহ জন্মায়।

৬. লেখার শুরুর অংশ অর্থাৎ ভূমিকায় যথাসম্ভব নাটকীয়তা এবং ভণিতা আনতে হবে। গতানুগতিক ভূমিকায় বরাবরই পাঠক আকৃষ্টতা কম থাকে। তাই এ ক্ষেত্রে চিন্তা করে বের করতে হবে কিভাবে লেখাটি শুরু করলে পাঠক ভেতরে যেতে চাইবে, তার আগ্রহ জন্মাবে। এ কথা সবসময় মনে রাখতে হবে যে, যেকোন লেখা হুট করে শুরু করে দিলে পাঠে একঘেয়েমি চলে আসে। তাই চমৎকার সূচনার বিকল্প নেই।

৭. যেকোনো লেখার বানান একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। প্রতিটি লেখায় আপনাকে বানানের দিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ একজন ভালো পাঠক যখন আপনার লেখা পড়বে এবং পড়ার মাঝে যদি একটু পর পর বানান ভুল থাকে তাহলে সে আপনার লেখাটি পড়তে বিরক্তিবোধ করবে। এবং আপনার লেখা যতই ভালো হোক না কেন; শুধু ভুল বানানের কারণে আপনার লেখা পড়ার প্রতি সে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে। এবং আপনি আপনার মূল্যবান পাঠক হারাবেন। তাই সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন যেন বানান ভুল না হয়।

৮.  লেখার মাঝে কোনো বানানের ভুল/শুদ্ধ নিয়ে সন্দেহ হলে সাথে সাথে “Google” অথবা “বাংলা অভিধান” থেকে  সার্চ করে শুদ্ধ বানানটি দেখে নিবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই কোনো অলসতা গ্রহনযোগ্য নয়। আপনার লেখার গুণগত মান ঠিক রাখতে সঠিক বানানের বিকল্প নেই।

৯. প্রতিটি লেখার গঠনগত দিকেও নজর রাখা আবশ্যক। অনেকেই আছেন যারা তাদের লেখায় দু’লাইন পর পর এক লাইন স্পেস দিয়ে লিখে থাকেন। অাবার অনেকই কোনো স্পেসই রাখেন না। এভাবে যেকোনো লেখাই গঠনগত দিক থেকে তার সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলে। গঠনগত দিক থেকে আপনার লেখাটি সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলতে স্টেপ বাই স্টেপ এক লাইন স্পেস রাখাটা জরুরি। যেমনটা আমার এ লেখাটিতেই আমি প্রতিটি স্টেপ পর পর এক লাইন করে স্পেস রেখেছি। 

১০. যতি চিহ্নের ব্যবহারের দিকেও সর্বোচ্চ নজর দিতে হবে। কারণ- একটি ভুল যতি চিহ্ন ব্যবহারের কারণে একটি বাক্যের পুরো অর্থই বদলে যেতে পারে। আবার অনেকেই একটু পর পর একাধিবার (…../???/!!!) যতি চিহ্ন ব্যবহার করে থাকেন।  এতেও আপনার লেখাটি গাঠনিক সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলে। তাই যতি চিহ্নের সঠিক ব্যবহার জানতে হবে এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোনো যতি চিহ্ন বা শব্দ ব্যবহার করা যাবে না।

১১. কোনো লেখাতেই কখনই একই সাথে সাধু, চলিত বা আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করবেন না। তবে কোনো গল্পের ক্ষেত্রে বিভিন্ন চরিত্রের কথোপকথন বিভিন্ন ভাষায় হতে পারে। তবে তাতে অবশ্যই কোটেশন (” “) ব্যবহার করতে হবে। আর উপস্থাপকের ভাষা সবসময় সহজ ভাবে উপস্থাপন এবং সহজ ভাষা ব্যবহার করা ভালো। যাতে করে সব ধরনের পাঠকই আপনার লেখাটি সহজেই বুঝতে পারে।

১২. আপনার লেখা যাতে পাঠ্যবইয়ের রচনামুলক প্রশ্নের উত্তর না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। এজন্য ঢালাওভাবে তথ্য না দিয়ে যথাসম্ভব চমৎকার বিশেষণের প্রয়োগের মাধ্যমে লেখনীর ধার বাড়াতে হবে। সুন্দর বিশেষণ আপনার লেখার ওজন বাড়িয়ে দিবে।

১৩. আপনার উল্লেখিত বিষয়টি সুন্দর ও সাবলিল শব্দগুচ্ছ দ্বারা শুরু থেকে শেষ অবধি একটি পরিছন্নতা বজায় রেখে একেবারে শেষে সেই বিষয়ের মূলভাবের উপর ভিত্তি করে উপসংহার হিসেবে কিছু ছন্দময় বাক্যের দ্বারা আপনি আপনার লেখাটি সমাপ্তি করতে পারেন।

১৪. সর্বশেষ, আপনি যা লিখলেন তা প্রকাশ করার পূর্বে অবশ্যই একাধিক বার রিভিশন দিয়ে নিবেন। কারণ লেখার সময় বানানে বা অন্য কোনো অপূর্ণতা থাকতে পারে। একাধিক বার রিভিশন দিলে আপনার লেখাটিতে কোনো টাইপিং মিস্টেক বা কোনো অপূূর্ণতা থাকলে তা শুধরে নিতে পারবেন। যা সবার জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
How to Write a Feature Article-কিভাবে হতে পারেন একজন আর্টিকেল রাইটার অথবা ফিচার রাইটার

0 comments:

Post a Comment

Thanks for comments

Blog Archive